পাকিস্তান সংবিধানের আর্টিকেল ৬২ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। পানামা পেপার কেইসে নওয়াজ শরীফ একজন অসৎ লোক বলে প্রমানিত হওয়ায়, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তাকে #প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ডিসকোয়ালিফাই করেছে, এই সুত্রে নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
পাকিস্তানের বিচার বিভাগ প্রমান করেছে তাদের স্বাধীনতা আছে সিটিং প্রধানমন্ত্রীকে আইনি ধারায় অনুপযুক্ত বলে রায় দেয়ার। শুধু তাই নয়, নওয়াজ শরীফ একই সাথে আজীবনের জন্য কোন রাজনৈতিক দলের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছেন।
এবার আসি বাংলাদেশে। যেই দেশের এক অংশের লোক 'আই হেইট এভ্রিথিং রিলেটেড টু পাকি' বলে স্বস্তির ঢেকুর তুলে। নিজেদের এমন বাহাদুর আর উন্নত মনে করে যে দেশ যখন সবদিক থেকে দেউলিয়া, তখন তারা উন্নয়নে খাবি খায়। এই তারাই বিচারের আগে রায় দেয়। বিচারের নামে প্রহসনে ঢোলের তালে নাচে। রায় পছন্দ না হলে নিজেরাই রায় দেয়। আইন পাল্টে রায় কার্যকর হলে দাত কেলিয়ে হাসে আর মিষ্টি খায়।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আজ ভারতের জ্বলুনি ধরে গেছে। আর সেই সাথে জ্বলছে আমাদের 'আই হেইট পাকি' গ্রুপ। পাকিস্তানকে এত হেইট না করে, করে দেখান তো আরেক শাহাবাগের আন্দোলন। চিৎকার করে ঢোলের তালে নেচে দাবী করুন তো দেখি "'দেশে প্রকৃত আইনের শাসনতন্ত্র চাই। সকল ব্যাংক ডাকাতের বিচার চাই। সকল ধর্ষক আর খুনির দ্রুত বিচার চাই। সেই আইনের বিচার চাই যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমুহ থাকবে রাজনীতির সকল ধরা ছোঁয়ার বাইরে, প্রকৃত স্বাধীন।"
দেখুন পাকিস্তান আজ কোথায়, আর আমরা কোথায়। তারা আজ করাপশানের দায়ে তাদের সিটিং প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে, আর আমাদের বিরাট বিরাট সব রাজনীতিবিদ সকল আইনের ধোয়া ছোঁয়ার বাইরে থেকে ইল্যিগাল টাকার পাহাড় বানিয়ে বুক ফুলিয়ে চলে। পাকিস্তানের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি আজ ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার পর্যন্ত বহির্বিশ্বে বিক্রি করে, আর আমাদের তেমন কোন ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি নাই। পাকিস্তানের ইজ এ মেজর প্লেয়ার ইন দ্যা ইন্টারন্যাশনাল এরিয়া, আর আমরা নিজেদের অঞ্চলেই ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। পাকিস্তানের সীমান্তে ভারত সাবধানে চলে, আর আমাদের সীমান্তে আমরা ভারতের গুলি খেয়ে মরি।
শুধু ৭১ এর দিকে দৃষ্টিপাত না করে এবার ১৭ এর দিকে দৃষ্টিপাত করুন। করতে চাইলে আমরাও অনেক কিছু করতে পারি, কিন্তু আমরা নিজেদের বাহাদুরি আর প্রশংসায়, রাজনৈতিক চাটামি আর তেলনিতে এতটাই অন্ধ যে বুঝতেই পারছি না দিন দিন আমরা কোন তলানিতে চলে যাচ্ছি।
লেটস বি হোনেস্ট এন্ড টেইক এ ডিপ লুক ইনসাইড। এবার আসল জাগরন হোক।
লেখিকাঃ সাবিনা আহমেদ।
The post দিনে দিনে আমরা কোন তলানিতে চলে যাচ্ছি? | সাবিনা আহমেদ appeared first on Amar Bangla Post.