Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

নিজের বিয়ে নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি

$
0
0

নিজের বিয়ে ও জীবন নিয়ে ফেসবুকে এক চমৎকার স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। তার ইসলামী জীবন নিয়ে বলেছেন অনেক কথা যা  সবাইকে ভাবিয়ে তুলতে  বাধ্য। আমরা তার স্ট্যাটাস থেকে হুবুহু আপনার জন্য তুলে দিলাম। 

জীবনের শেষ প্রহর ঠিক চলে আসবে কিন্তু পরকালের জন্য কিছুই করা হবে না।-নাজনীন আক্তার হ্যাপী। 

আমার বিয়েতে মোহরানা ছিল মোহরে ফাতেমী (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা ফাতেমার জন্য যে মোহরানা নির্ধারণ করেছিলেন সেটাকে মোহরে ফাতেমী বলে) ,যা বর্তমান হিসাবে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা। বরকতের জন্য আমি নিজেই এই মোহরানা ঠিক করতে বলি আলহামদুলিল্লাহ!
আমি আমার বিয়ের আগে জানতে চাইনি আমার স্বামীর মাসিক ইনকাম কত বা আমার শ্বশুরের কত সম্পত্তি আছে!এসব জানতে চাইনি, কারণ এসব আমার চাওয়া ছিল না।চাওয়া ছিল শুধু একজন দ্বীনদার স্বামী। যে কিনা আমাকে ছোট্ট শিশুর মতো আগলে রাখবে, আমার দ্বীন মানার ব্যাপারে সাহায্য করবে, আমার হক বুঝবে, কোনোকিছু ভুল করতে গেলে ভালবাসা দিয়ে বোঝাবে এটা ঠিক না ওটা ঠিক, আমার পর্দা নিয়ে আমার চেয়ে বেশি সতর্ক থাকবে, ফজরে আমাকে ডেকে তুলবে, তাহাজ্জুদের তাকাজা দিবে, শরীয়তের জ্ঞান লাভের জন্য আমাকে সাহায্য করবে।ব্যাস! আর কিছু চাওয়া ছিল না।
আজকের দিনের আধুনিক মেয়েরা প্রেম যার তার সাথে করলেও বিয়ে করার বেলায় পয়সাওয়ালা, বাড়িওয়ালা, গাড়িওয়ালা সমাজে অবস্থানওয়ালা মানুষ চায়! আর মোহরানা হতে হবে তো অনেক টাকা। মানুষকে বলতে হবে না? আমার এত মোহরানা, অত মোহরানা!
আজকের মেয়েরা এটাকে গুরুত্ব দেয়না যে, ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ পড়ে কিনা! সুন্নতি লেবাস আছে কিনা! টাখনুর উপর কাপড় পরে কিনা! বাবা-মার সাথে ভাল ব্যবহার করে কিনা! সত্য বলে কিনা! গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করে কিনা!
এখন কথা হলো যে, যেসব মেয়েরা দ্বীন মানেনা তারা তো দ্বীনদার ছেলে খুঁজবে না। হ্যা তারা খুঁজবে না। নিজেরাও দ্বীন মানবে না। এবং যারা মানে তাদেরকে সমাজের ক্ষেত খামার মনে করবে। সুন্নতি লেবাস মানেই ব্যাটা ক্ষ্যাত! আনস্মার্ট! সমাজে নিয়ে চলা যায় না।
পরিশেষে পরিনাম কি জানেন? বলছি, মিলিয়ে নিন। আপনি বিয়ে করেছেন খুব টাকাওয়ালা এক লোককে। সমাজে তার নামডাক প্রচুর। আপনিও পরকিয়া করেন, তিনিও করেন। সে অফিস টুরের নামে নারী নিয়ে মাস্তি করে আর আপনিও এই সুযোগে আপনার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে থাকবেন, অনেক আবার বয়সের ছোট একটা ছেলেকে নিয়েও নোংরামিতে মেতে উঠেন। মাঝখান দিয়ে আপনাদের কোল জুড়ে সন্তান আসবে, বুয়ার কাছে মানুষ হবে, না শিখবে আদব না শিখবে ইসলাম। ছোটবেলা থেকে সে অবহেলায় বড় হয়ে আপনাদের চেয়ে দ্বীগুন খারাবীর মধ্যে নিজেকে শপে দিবে! এটাই চেয়েছিলেন তো?
বলে রাখা ভাল, অনেক বাবা মায়ের কাছে সন্তানের যত্ন নেওয়ার নাম, বাচ্চা ফুটতে না ফুটতে হাতে মোবাইল/ট্যাব/ল্যাপটপ ধরিয়ে বসিয়ে দেওয়া!
আর অবহেলা কি জানেন? আরেকবার জেনে নিন। আপনার সন্তানকে ইসলামের আদর্শে বড় না করা,আদব না শেখানো, হাতে প্রযুক্তি দিয়ে নষ্ট করা,চাওয়ামাত্র সব দেওয়া, টাকা দেওয়া। এসব করে তাকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। এটা তার প্রতি অবহেলা নয় কি?

 

তারপর আসি আপনার কথায়, ঐ যে বলছিলাম,যে যার মতো থাকা। স্বামীও আছে তার ছন্দে, সাথে আপনিও। একটু বোধহয় ভুল বললাম, এটা তো আপনাদের কাছে আধুনিকতা! সে যাই হোক! দিনশেষে কেউ সুখি নন। সুখ টাকা পয়সা দিয়ে হয়না রে বোন! জীবনের শেষ প্রহর ঠিক চলে আসবে কিন্তু পরকালের জন্য কিছুই করা হবে না।


সুখ শান্তি একমাত্র দ্বীনের মাঝে। ইসলামকে আল্লাহ পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। ইসলামের মাঝেই দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবি। পান্তাভাত খেয়েও অনেক দ্বীনদার মানুষ তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে, শুকরিয়া আদায় করতে পারে। এরজন্য তাদের পাঁচতারকা হোটেলের দামী খাবারের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ তারা জানেন জান্নাতে তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম ব্যবস্থা করা আছে। আর শুকরিয়া আদায় করতে পারেন কারণ তারা জানে অনেক মানুষ এই পান্তাও পায়না। না খেয়ে আছে তাদের চেয়ে আল্লাহ কত ভাল রেখেছেন!
বোন আমার, অনেক তো হলো মাকাল ফল ছেড়ে সঠিক ও সুন্দর পথে আসুন। হারাম সম্পর্ক আজ, এখনি শেষ করে দিন।নিজে দ্বীনের পথে আসুন, বিয়ে করুন দ্বীনদার কাউকে, আল্লাহর কসম করে বলছি, দুনিয়াটা জান্নাত হয়ে যাবে। জীবনের লক্ষ্য দ্বীনকে বানানো চাই। অশান্তি দূর হয়ে যাবে। চারিদিক শুধু তালাক! তালাক!তালাক!কারণে অকারণে তালাক! কারো কোনো সবর নেই!
এত তালাক কেন? দ্বীন নেই। তবে দ্বীন থাকলে যে তালাক হবে না তাও না। আবার কারো তালাক হওয়া মানে সে খারাপও না। কিন্তু কথা হলো সামান্য কারণেই এখন সবাই তালাকের সিদ্ধান্তে চলে যাচ্ছে। সবাই দুনিয়া সুন্দর করতে চায় ,আখিরাত না। যার ফলাফল কোথাও দু দন্ড শান্তি নেই। এখনো সময় আছে তওবা করে ফিরে আসি।

চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির ফেসবুক ওয়াল থেকে। 

The post নিজের বিয়ে নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

Trending Articles