জীবনে তো অনেক #গল্প পড়েছেন। এবার ফাউখোরদের বাস্তব গল্প পড়ুন। এখানে ৩টি ফাউ খাওয়া লোকদের বাস্তব গল্প আছে।
গল্প ১। ফাউ খেতে মই ভাড়া।
এক ফাউখোর বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেল। কিন্তু তাঁকে ঢুকতে দেয়া হলো না। সে দোকানে গিয়ে একটি মই ভাড়া করে আনলো। মই বেয়ে ঘরের দেয়ালে উঠে মেয়েদের দিকে উঁকিঝুঁকি মারতে লাগলো।
মহিলারা দেখে ধমকে উঠলো এই কে তুই? এভাবে বেহায়ার মতো মেয়েদেরকে দেখছিস। যা এখান থেকে।
তখন সে কোরআনের এই আয়াত পড়লো
অর্থঃ তুমি ভালো করেই জানো মেয়েদের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। আমরা কি চাই সেটাও তুমি ভালো করেই জানো।
গৃহকর্তা হাসি আটকাতে পারল না। নিচে নেমে তাঁকে খেতে বলল।
গল্প ২। লেখাহীন চিঠি।
মুহাম্মদ ইবনে আলী বর্ণনা করেন, এক ফাউখোর এক বিয়ে বাড়িতে ঢুক্তে চাইলো। নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধা দিল, প্রবেশ করতে দিল না। সে কোনো ভাবে জানতে পেরেছিল, বরের বড় ভাই আসেনি। সে এক টুকরো সাদা কাগজ ভাঁজ করে খামে ভরলো। খামের উপরে লিখলো “ভাইয়ের পক্ষ থেকে বরের প্রতি”।
গেটের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে জানালো, আমার কাছে বরের ভাইয়ের চিঠি আছে, চিঠি পৌঁছাতে হবে।
তাঁকে যেতে দেওয়া হলো। ভিতরে গিয়ে লোকদেরকে চিঠি দেখালে তাঁরা খামটা হাতে উল্টে পাল্টে দেখে মন্তব্য করলো,
আজব তো! আমরা আজ পর্যন্ত এমন অদ্ভুত চিঠি দেখিনি। প্রাপকের নামটি পর্যন্ত লেখা নেই।
: তাঁর চেয়েও আশ্চর্য্যের ব্যাপার কি জানেন? ভিতরের চিঠিতে কোন কিছু লেখাও নেই। সম্পূর্ণ সাদা কাগজ। প্রেরক অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন তো তাই কিছু লেখার সময় পাননি।
তাঁর কথা শুনে উপস্থিত সবাই হাসিতে ফেটে পড়লো। বুঝতে পারল সে ভিতরে আসার একটি কৌশল খাটিয়েছে। তাঁকে খানা খাইয়ে দিল।
৩। ফাউখোরের এলাকা
এক ফাউখোরের এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখল, আগে থেকেই অন্য এলাকার দুই ফাউখোর এসে বসে আছে।
মনে মনে বললো, পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি। সে দুই ফাউখোরকে বলল, বিয়ে বাড়র এই গ্যাঞ্জামে আপনারা নিশ্চয়ই কষ্ট পাচ্ছেন। আসুন আপনাদেরকে নিরিবিলি কোন স্থানে নিয়ে বসাই।
সে দোতলা উঠার মইয়ের নিকট তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে বলল, মই বেয়ে উপরে উঠে যান। খানা দেয়া হলে আপনাদের জন্য স্পেশাল খানা নিয়ে আসবো।
তাঁরা সরল মনে উপরে উঠে গেল। উপরে পৌঁছামাত্রই সে মই সরিয়ে ফেলল।
তাঁরা হতবাক হয়ে বলল, করেন কি? করেন কি? মই সরালেন কেন?
সে আর তাঁদের দিকে ফিরেও তাকালো না।
খাবার দেয়া হলো। মেহমানরা তৃপ্তি সহকারে খানা খেতে লাগলো।
উপরের দুইজন করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারলোনা। তাঁদের ভাগ্যে একটি হাড্ডিও জুটলো না।
খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ হলে সে মই লাগিয়ে ধমক লাগালো, জলদি নেমে এসো।
তাঁরা নেমে আসলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাটি থেকে বের করে দিল।
রাগত স্বরে বললো, বেরিয়ে যাও। আমার এলাকা দখল করতে এসেছো। আর কোনদিন এই এলাকায় দেখলে ট্যাং ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দেব।
গল্পের সুত্রঃ প্রতিভার গল্প ২ বই থেকে। এই বইয়ের আরো কিছু গল্প পড়ুন…
২৪. মিস্ত্রির রসিকতা
২৫. হাজ্জাজের ক্ষমা
২৬. ডাক্তারের রসিকতা
২৭. দুই বউকে সন্তুষ্ট করা
২৮. বুদ্ধির জোরে স্বীয় হত্যাকারীকে হত্যা।
২৯. দ্বিতীয় বিয়ে গোপনের কৌশল
The post ফাউ খাওয়ার গল্প (হাসির গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.