Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

কুরবানির ঈদের দিনের সংখ্যা (হাদীস)

$
0
0

31- عَنْعُقْبَةَبْنِعَامِرٍرَضِيَاللهُعَنْهُ،قَالَ: قَالَرَسُوْلُاللَّهِصَلَّىاللَّهعَلَيْهِوَسَلَّمَ: "يَوْمُعَرَفَةَ،وَيَوْمُالنَّحْرِ،وَأَيَّامُالتَّشْرِيْقِ،عِيْدُنَاأَهْلَالإِسْلاَمِ،وَهِيَأَيَّامُأَكْلٍوَشُرْبٍ".

(سننأبيداود،رقمالحديث 2419،وجامعالترمذي،رقمالحديث 773،واللفظلهما،وسننالنسائي،رقمالحديث 3004،وقالالإمامالترمذيعنهذاالحديثبأنه:  حسنصحيح،وصححهالألباني).

31 – অর্থ: ওক্‌বা বিন আমের [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “আরাফারদিন, কুরবানির দিন এবং আইয়ামে তাশরীকের দিন(কুরবানির দিনের পর আরো তিন দিন)এই দিনগুলি আমাদের ঈমানদার মুসলিম জাতির জন্য ঈদের দিন হিসেবেই পরিগণিত। আর এই দিনগুলি হলো পানাহার করার দিন”।

[সুনান আবু দাউদ, হাদীসনং 2419, জামে তিরমিযী, হাদীস নং 773 এবং সুনান নাসায়ী, হাদীসনং 3004, তবে হাদীসের শব্দগুলি সুনান আবু দাউদ এবং জামে তিরমিযী থেকে নেওয়া হয়েছে। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:

ওক্‌বা বিন আমের বিন আবস আলজুহানী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] একজন বিশিষ্ট সম্মানিত সাহাবী। তিনি সাহাবীগণের মধ্যে মর্যাদা সম্পন্ন কারী, ফিক্‌হশাস্ত্রবিদ (আইনশাস্ত্রে জ্ঞানী), ফারায়েজের (সম্পত্তির অংশ বন্টনের) বিদ্বান এবং বিখ্যাত বাচনভঙ্গিবিশিষ্ট কবি ও ইসলামী বিজয়ের সেনাপতি ছিলেন।

ওক্‌বা কুরআন তেলাওয়াতে সর্বোত্তম কণ্ঠ সুরের কারী ছিলেন। তাঁর কুরআন তেলাওয়াত শুনে সাহাবীগণের হৃদয় মুগ্ধ হয়ে যেতো ও তাঁদের অন্তরে বিনয় নম্রতা সৃষ্টি হতো। এবং আল্লাহর ভক্তিভরা ভয়ে তাঁদের চোখ থেকে অশ্রু উদ্বেলিত হতো। তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর সাথে সর্বপ্রথমে উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, অতঃপর আরোও সমস্ত যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন।

তিনি মিশর বিজয়ের সেনাবাহিনীর একজন নেতা ছিলেন। তাই আমীরুল মুসলেমীন মোয়াবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর এই কৃতিত্বের পুরস্কার হিসেবে তাঁকে তিন বছরের জন্য মিশরের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। অতঃপর তাঁকে (গ্রীস দেশের) ভূমধ্য সাগরের রোডস দ্বীপ জয় করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা 55টি। তিনি সন 58 ‍হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন এবং মিশরের বিখ্যাত রাজধানী কায়রো শহরে তাঁকে দাফন করা হয়। (রাযিয়াল্লাহু আনহু)

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1- এই হাদীসটির দ্বারা একটি বিষয় সাব্যস্ত হয়, আর সেই বিষয়টি হলো এই যে,আরাফার দিন, কুরবানির দিনএবংকুরবানির দিনের পর আইয়ামে তাশরীকের আরো তিন দিন ধরে কুরবানির ঈদের দিনের সংখ্যা হলো সর্ব মোট পাঁচ দিন। তবেকুরবানিও হাদয়ী জবাই করাশুরু হয় ইয়াওমুন্নাহারের দিন। এবং সেই দিনটি হয় জুলহিজ্জা মাসের দশ তারিখের দিন। তাই কুরবানি ও হাদয়ী জবাই করা চলতে থাকবে কুরবানির দিনের পর আইয়ামে তাশরীকের আরো তিন পর্যন্ত অর্থাৎ কুরবানির দিনের পরেও আরো তিন দিন। সুতরাং জুলহিজ্জা মাসের দশ তারিখ থেকে তেরো তারিখ পর্যন্ত কুরবানি ও হজ্জের হাদয়ী জবাই করার কাজ চালু রাখা বৈধ হবে।

2- আরাফার দিন, কুরবানির দিন এবং কুরবানির দিনের পর আইয়ামে তাশরীকের আরো তিন দিন কুরবানির ঈদেরদিনগুলির অন্তর্ভুক্ত। তাই কুরবানির ঈদের দিনের সর্ব মোট সংখ্যা হলো পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিন হলো পানাহার করার দিন।কিন্তু যে ব্যক্তি কিরান অথবা তামাত্তু হজ্জ পালন করবে এবং হজ্জ পালন করার হাদয়ী জবাই করার ক্ষমতা রাখবে না, সে ব্যক্তির জন্য আইয়ামে তাশরীকের (কুরবানির দিনের পর তিন দিন) দিনগুলিতে রোজা রাখা বৈধ। অনুরূপভাবে যারা হজ্জ পালন করার কাজে লিপ্ত হবে না, তাদের জন্য আরাফার দিনে রোজা রাখার মহা মর্যদার বিষয়টিও নির্ধারিত রয়েছে।

3। প্রকৃত ইসলাম ধর্মে ঈদের আসল অর্থ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো এই যে, ঈদের সময় সমস্ত মুসলমান সেই মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে। যেই মহান আল্লাহ তাদেরকে তাঁর ইবাদত উপাসনা করার শক্তি ও সুযোগ প্রদান করেছেন।

4। প্রকৃত ইসলাম ধর্মে সারা বছরের মধ্যে কুরবানির দিনগুলির মধ্যে  ইয়াওমুন্নাহারের দিন জুলহিজ্জা মাসের দশ তারিখের দিনটি সব চেয়ে বশি মর্যাদাপূর্ণ দিন। তাই এই কুরবানির ঈদের দিনটি হলো সবচেয়ে মহান এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ দিন আর এই ইদুল আদহা হলো ইদুল ফিতেরের চেয়েও অনেক বড়ো ও উত্তম ঈদ।

সূত্র : নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খন্ড

এই হাদীসটি আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। পবিত্র ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন।

The post কুরবানির ঈদের দিনের সংখ্যা (হাদীস) appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

Trending Articles