মায়ের জরায়ুর ভিতর শিশু একটি তরল পদার্থপূর্ণ থলির মধ্যে থাকে। ওই থলির আবরণের নাম অ্যামনিয়টিক মেমব্রেন। আর তরল পদার্থের নাম অ্যামনিয়টিক ফ্লুইড। পেট এবং জরায়ু সূচ দিয়ে ফুটো করে অ্যামনিয়টিক ফ্লুইড বের করাকে অ্যামনিওসিন্টেসিস বলে।
অ্যামনিওসিন্টেসিস কেন করা হয়?
রোগ নির্ণয়ের জন্যঃ
- গর্ভস্থ শিশুর সাড়ে তিন মাস থেকে চার মাস বয়সের মধ্যে ক্রোমোজোম বা জিন-সংক্রান্ত কোনো রোগ আছে কি না তা নির্ণয় করার জন্য।
- সেক্স-লিঙ্কড কোনো রোগ আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য।
- শিশুর কোনো নিউরাল টিউব ডিফেক্ট আছে কি না তা জানার জন্য।
- শিশুর জন্মগত মেটাবলিজমের রোগ নির্ণয়ের জন্য।
- RH নেগেটিভ মায়ের ক্ষেত্রে শিশুর রক্তের কতটা হিমোলাইসিস হয়েছে তা নির্ণয়ের জন্য।
- শিশুর সঠিক বয়স নির্ণয়ের জন্য।
- ক্যারিওটাইপিং-এর জন্য।
চিকিৎসা জন্য :
- হাইপারটনিক স্যালাইন/হাইপারটনিক ইউরিয়া/প্রস্টাগ্লানডিন ইত্যাদি দিয়ে গর্ভপাতের জন্য।
- অ্যাকিউট হাইড্রার্মনিয়স অবস্থায় মায়ের কষ্ট কমানোর জন্য বারে বারে অ্যামনিয়টি ফ্লুইড বের করে দেওয়ার জন্য।
- RH নেগেটিভ মায়ের শিশু যখন RH Iso immunisatiom-এ ভোগে তখন জরায়ুর ভিতরেই শিশুর শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হয়।
এই পরীক্ষার বিপদগুলি কি কি
মায়ের বিপদঃ
- সংক্রমণ।
- জরায়ুর ভিতর এবং বাইরে রক্তখরণ (গর্ভের ফুল বা জরায়ু থেকে)।
- অ্যামনিয়টিক মেমব্রেন ফুটো হয়ে যাওয়ার জন্য সময়ের আগেই প্রসব (premature labour)।
শিশুর বিপদঃ
- গর্ভপাত।
- শিশুর শরীরে আঘাত।
- অ্যামনিয়টিক ফ্লুইড লিঙ্ক করার জন্য জল কমে যাওয়া।
- ফিটোম্যাটারনাল হেমারেজ ইত্যাদি।
লেখকঃ ডাঃ অবিনাশ চন্দ্র রায়
লেখকের গর্ভবতী মা ও সন্তান বই থেকে নেওয়া।
The post অ্যামনিওসিন্টেসিস appeared first on Amar Bangla Post.