Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

প্রশ্নঃ পরনারীর সাথে সহবাস করার উপায় কি?

$
0
0

প্রশ্নঃ আমি একজনের সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চাই। কিন্তু তাকে বলতে পারতেছিনা। একটা উপায় দেন please

উত্তরঃ অবৈধ উপায়ে পরনারীর সাথে বা তাঁর আশে-পাশের সম্পর্কিত ভাবীর সাথে কিংবা প্রতিবেশির বোনের সাথে কিভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে অনেকেই ম্যাসেজ দিয়ে উপায় জানতে চান। আমরা তাদের  সেসব প্রশ্নের এড়িয়ে যায় কিংবা ম্যাসেজ প্রদান কারী ব্যক্তিকে বলে দেয় এটি অসামাজিক এবং ইসলাম বহিভূর্ত  কাজ। কাজেই আপনি এ থেকে বিরত থাকুন এবং আপনাকে এসব কৌশল শিখিয়ে আপনার পাপের অংশীদার আমরা হতে রাজি নয়।

কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি বিপদগামী চিন্তা-ভাবনা পুরুষদের জন্য এ নিয়ে একটি ছোট খাটো উত্তর আমাদেরকে লিখতেই হবে।

এমন এক প্রশ্ন করা হয়েছি  স্বয়ং রাসূলে করীম (সাঃ)-মের কাছেও। সেদিন এক যুবক রাসূল (সাঃ)-এর কাছে যিনা করার অনুমতি প্রার্থণা করেন। যেসব যুবক বিবাহ ব্যতীত পরনারীর সাথে যৌন সম্পর্ক (ব্যভিচার) স্থাপন  করতে চান, আশা করি তারা এই হাদিস থেকে শিক্ষা অর্জন করে আল্লাহর অবাধ্যতার পথ থেকে ফিরে  আসবেন।

হাদিসঃ “  একদা এক মজলিসে এক যুবক এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ,আমাকে যিনা করার অনুমতি দিন।’একথা শুনে উপস্থিত সবাই চমকে উঠলেন এবং তাকে তিরস্কার করতে লাগলেন, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (আদরের সহিত) আমার কাছে এসো, সে কাছে এল। বললেন, বসো, সে বসলো।

এরপর (তার ঊরুতে হাত রেখে) বললেন, ‘তুমি কি তোমার মায়ের জন্য এটা পছন্দ করবে?’

সে বলল, না ইয়া রাসূলুল্লাহ। আল্লাহ আমাকে আপনার প্রতি উৎসর্গিত করুন।

কোনো মানুষই তার মায়ের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাহলে তোমার মেয়ের জন্য?’

যুবকটি বলল, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত।

কোনো মানুষই তার মেয়ের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’

নবীজী (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তোমার বোনের জন্য?’

যুবক বলল, ‘না ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার বোনের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’

নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে তোমার ফুফুর জন্য?’

যুবক বলল,‘না ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত।

কোনো মানুষই তার ফুফুর জন্য এটা পছন্দ করবে না।’

নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তোমার খালার জন্য?’

যুবক বলল, না কক্ষনো না। আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গিত করুন।

কোনো মানুষই তার খালার জন্য এটা পছন্দ করবে না।’

এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার শরীরে হাত রাখলেন এবং দুআ করলেন- ইয়া আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করুন, তার অন্তর পবিত্র করুন এবং তার চরিত্র রক্ষা করুন।

বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষার ফলাফল এই হল যে, পরবর্তী জীবনে সে (রাস্তায় চললে) কোন দিকে চোখ তুলেও তাকাত না।

– [মুসনাদে আহমদ ৫/২৫৬-২৫৭ ]

* এই হাদীস থেকে আমরা শিক্ষা পায় যে, একজন পুরুষ যার সাথে যেনা করবে সে নিশ্চই অন্য একজনের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু কিংবা খালা… তাই সে যেমন নিজ মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালাদের কে সম্মানের চোখে দেখে তেমন যদি অপরের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালাদেরকেও সম্মানের সাথে দেখে তাহলে সে এই অপরাধ করতে পারবেনা !

এইতো গেল হাদিসের কথা।

অপর দিকে কেউ যদি পাপ কাজরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ (তাওবা না করে) তাহলে পরকালে তাঁর বাসস্থান হবে জাহান্নাম। এখন আমাদের কি কারোর এক সেকেন্ড বেঁচে থাকার গ্যারান্টি আছে? না, নেই। আপনি যৌন-সঙ্গম অবস্থারতই হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারেন।

দ্বিতীয়ত্বঃ আপনি যখন বিয়ে করবেন তখন কি আপনি চাইবেন আপনার স্ত্রী কুমারীহীন হোক অথবা বিয়ের পর পরপুরুষের সাথে মেলা-মেশা, যৌনাচার করুক? না, আপনি এটি কখনো চাইবেন না। কোন নারীও চায় না তাঁর স্বামী কুমারীহীন হোক অথবা বিয়ের পরেও অন্য কোন নারীর সাথে যৌন-সম্পর্কে লিপ্ত হোক। কেউ যদি কোন পরনারীর  সাথে অবৈধ উপায়ে যৌন-সম্পর্কে লিপ্ত হয় তখন কি হয়?

১। উভয়েরই যৌবনের পবিত্রতা নষ্ট হয়।

২। পারস্পরিক অধিকার নষ্ট হয়।

৩। আল্লাহর অবাধ্যতা হয়।

৪। নিকৃষ্ট পাপাচারের অধ্যায় শুরু হয়।  

৫। এ থেকে রচনা হতে পারে আরো গুরুতর অপরাধের অধ্যায়।

যখন কেউ ভালো কাজের নিয়ত বা খারাপ কাজের নিয়ত করে তখন কি হয়?

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কেউ যখন ভালো কাজের নিয়ত করে তখনও সওয়াব হয়, খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকার নিয়ত করলেও সওয়াব হয়।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সৎকাজ ও পাপকাজের সীমা চিহ্নিত করে দিয়েছেন এবং সেগুলোর বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি কোনো সৎকাজের সঙ্কল্প ব্যক্ত করেও তা সম্পাদন করতে পারেনি, আল্লাহ তার আমলনামায় একটি পূর্ণ নেকি লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন। আর সঙ্কল্প পোষণের পর যদি ওই কাজটি সম্পাদন করা হয়, তাহলে আল্লাহ তার আমলনামায় ১০টি নেকি থেকে শুরু করে ৭০০

এমনকি তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি নেকি লিপিবদ্ধ করে দেন। আর যদি সে কোনো পাপ কাজের ইচ্ছা পোষণ করে; কিন্তু তা সম্পাদন না করে, তবে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার আমলনামায় একটি পূর্ণ নেকি লিপিবদ্ধ করেন। আর যদি ইচ্ছা পোষণের পর সেই খারাপ কাজটি

সে করেই ফেলে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার আমলনামায় শুধু একটি পাপই লিখে রাখেন।’ (বোখারি : ৬০১০)।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার ১০ গুণ। আর যে অসৎকাজ নিয়ে এসেছে, তাকে অনুরূপই প্রতিদান দেয়া হবে এবং তাদের জুলুম করা হবে না।’ (সূরা আনআম : ১৬০)।

আমরা ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছি আপনি খারাপ কাজে সংকল্প করার নিয়ত করে ফেলেছে। সম্পাদনার করার  পূর্বে ফিরে আসুন। তাহলে  আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।

আরো পড়ুনঃ পরনারীর সাথে সহবাস করার ক্ষতি

আরো শুনুনঃ নারী ও জিনা ব্যভিচারের শাস্তি (বাংলা ওয়াজ ২০১৭)

উত্তর দিয়েছেনঃ সৈয়দ রুবেল।  ( প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম) 

এই প্রশ্নের উত্তর টি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুল করবেন না। 

The post প্রশ্নঃ পরনারীর সাথে সহবাস করার উপায় কি? appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

Trending Articles