প্রশ্নঃ আমি আমার বউয়ের মলদ্বার দিয়ে সহবাস করতে চায়। সে রাজি আছে, সে বলে করতে এখন আমি কি করবো?
উত্তরঃ ইসলামের দৃষ্টি এটা জগন্য অপরাধ ও কবীরা গুনাহ। এই পথে যৌন মিলন করা স্বাস্থ্য সম্মত নয় যা আমরা আমাদের পূর্বে করা পোস্ট গুলোতে উল্লেখ্য করেছি।
এটা বিকৃত ও অসুস্থ যৌনাচার। এই পথে কেউ যৌনাচার করে তাহলে তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে। এই পথে যৌন মিলন ইসলাম কোনো ভাবেই অনুমোদন করে না।
এই অপকর্মের কারণে মহান আল্লাহ লূত (আঃ)-এর জাতিকে পাথর বর্ষণ করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এটা জানার পরও যদি আপনি ধ্বংস ও অভিশাপ প্রাপ্ত দলে নিজেকে যুক্ত করতে চান তাতে আমাদের কি করার আছে।
আমরা মানুষের ভালো চায়। তাই আমরা মানুষকে ভালোর পথে আহ্বান করি। স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে সে শুধু যোনি পথ দিয়ে নয় বরং পায়ুপথ দিয়েও যৌন সুখ উপভোগ করতে চাই তাহলেও স্বামীকে তাঁর এ ডাকে সারা দেওয়ার উচিৎ নয়। এবং স্ত্রীরও উচিৎ নয় স্বামীর এ ধরনের অসভ্য ও বিকৃত যৌন সহবাসের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার। আপনার স্ত্রী হয়তো জানেনা ইসলামে পায়ুপথে সহবাস করা হারাম এবং সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভূক্ত।
হ্যাঁ, এটাই সত্য, মুসলিম হলেও আমাদের দেশের অনেক নারীই জানেনা মলদ্বার দিয়ে সহবাস করা হারাম এবং কবীরা গুনাহের কাজ। আমরা এ সত্যটি জানতে পারছি বর্তমানের আধুনিক যুগের মেয়েদের কাছ থেকেই। আধুনিক যুগের মেয়েরা ঋতুস্রাব চলাকালে সহবাস করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি জানলেও তারা পায়ুপথে সহবাসের সম্পর্কে ইসলামের বিধি-নিষেধ জানেনা। অথচ ইসলামে ঋতুস্রাব চলাকালে এবং পায়ুপথে সহবাস করার হারাম। নারীর মলদ্বারে যৌন সহবাস করার সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুণ।
কেউ যদি প্রশ্ন আমাদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন যে, আমরা এসব কিভাবে জানি? তাদের প্রশ্নের জবাব হচ্ছেঃ “প্রতিদিনই আমাদের সাথে অসংখ নারী পুরুষ তাদের যৌন সমস্যা নিয়ে আমাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের মনের লুকায়িত প্রশ্নের জবাব খুঁজে। আমরা এসব তথ্য তাদের শেয়ার করা ঘটনা ও প্রশ্ন থেকেই জানতে পারি। খুব বেশি দিন হয়নি, এক নারী পাঠিকা তাঁর মলদ্বারে ব্যথা নিয়ে আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন পায়ুপথে সহবাস করার পর থেকেই তাঁর এ ব্যথা। জবাবে আমরা বলেছিলাম এপথে সহবাস করা তো হারাম। তখন সে নারী পাঠিকা বলেছেন, তিনি এটি জানেন না।
The post প্রশ্নঃ আমি স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করতে আগ্রহী appeared first on Amar Bangla Post.