এদেশ একটি ইসলামী দেশ। শতকরা ৯০ ভাগ জন মানুষ মুসলমান যাদের ধর্ম ইসলাম। ইসলামের অবাধ যৌনতা নিষিদ্ধ। ফলে এদেশে অবাধ যৌনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তর। যা করতে নিষেধ করা হয় তা আরও বেশি করা হয়। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিতে এ কাজের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামের সুখ ও শাস্তির কথা উল্লেখ করে ভাল—মন্দ দেখে চলতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। এদেশে যৌনতার প্রধান মাধ্যম বিয়ে। বিয়ে বৈধভাবে জৈবিক চাহিদা মিটানোর বা যৌন প্রবৃত্তি চরিতার্থের প্রধান এবং ধর্ম ও রাষ্ট্র স্বীকৃত মাধ্যম। কিন্তু এতে অবাধ যৌনতা থেকে থাকেনি। আড়ালে আবডালে এখন তা ইসলামী সমাজের প্রতি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ। এ অবাধ যৌনতার সুযোগে কেহ কেহ নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে অকালে যৌবন হারিয়ে ফেলে। পরে বিয়ে করা বউকে যৌনমিলনে সুখী করতে পারেনা। আবার অনেকেই প্রকৃত যৌন জ্ঞানের অভাবে স্ত্রীকে খুশী করতে পারেনা। তাই বলে যদি কেহ ইসলামী ধ্যান—ধারনায় জীবন পরিচালনা করে তাহলে এসবের জন্য কোন আশংকাই থাকবে না।
বিবাহ হল পুরুষ ও নারীর আইন সম্মত যৌনসম্ভোগের অধিকার। অবশ্যই শুধু যৌনসম্ভোগে এই বিবাহের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। এদেশে অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের আগে পর্যন্ত যুবক-যুবতী ধৈর্য ধরে বিয়ের পরে সুন্দর সুষ্ঠ উপভোগ করবে বলে প্রস্তুত হতে থাকে এ সঙ্গম কষ্টসাধ্য সন্দেহ নেই। তাই অনেক সময়েই বিয়ের ঠিক পরেই, অর্থাৎ অবাধে রতিক্রিয়া করার ছাড়পত্র পাবার পরই যুবক যুবতী খুব বেশী মাত্রায় রতিসম্ভোগ লেগে যায়। এ বাড়াবাড়িতে অনেকের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। মিলনের নানা পদ্ধতি উপযুক্ত কলাকৌশল এবং কি উপায়ে মিলনকে বেশী আনন্দপ্রদ করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেরই জ্ঞান থাকে না।
অনেকের ধারণা আছে, পুরুষ নারীর যৌন সংস্পর্শ অত্যন্ত ঘৃণার বস্তু। অনেকে ভুল বুঝে নাপাক বলে আখ্যা দেয়। কারণ অনেক পুরুষ তাদের কাম পাত্রীর প্রতি মনোযোগ না দিয়ে নারী লোলুপ হয়ে নারী দেহ ভোগ করে। এরূপ ভোগ্য ঘৃণ্য, এ লালসা কুশ্রী ও কর্দয তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এ সঙ্কোচই পরস্পরের নিবিড় ভালবাসায় ভাবের স্বচ্ছন্দ আদান-প্রদানে অন্য রূপ নেয়। এ অবস্থায় ভোগ কদর্য নয়। উভয় উভয়ের সাহায্য সম্পূর্ণতায়, ভোগের আশায় পরস্পরের দেহ সমুদ্রে অবগাহন করে। কোন ব্যবধান রাখতে চায় না। সমাজে অতি তৃপ্তিদায়ক এ সম্ভোগের অনুভূতি। এও সত্য যে, এ এ সম্ভোগ পুরুষ নারী উভয়ে তৃপ্তি না থাকলে পরস্পরের ভালবাসা স্থায়ী হয় না। পুরুষের তৃপ্তি সহজেই আসে কিন্তু নারীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেয়া কঠিন। তবে সাধনায় সবই আয়ত্ব হয়। দাম্পত্য জীবন মধুর ও স্থায়ীভাবে আনন্দদায়ক করতে হলে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটির সম্যক জ্ঞান থাকা দরকার। সাধনার দরকার। দাম্পত্য মিলনকে আনন্দায়ক করতে হলে মিলনের মাত্রা, সময় মিলনকালীন নানা অভ্যাস মিলনের নানা উপায় ধৈর্য ধরে অনেকক্ষণ বা অল্পক্ষণ রতিক্রিয়া করার শক্তি ইত্যাদি সাধনার দ্বারা আয়ত্ব করতে হবে। স্বামী এবং স্ত্রীর রতি কামনা অবসান হয় না। চেষ্টার দ্বারা পরস্পরের ভাবের আদান প্রদান উভয় এ রতিকামনার পার্থক্যের সমস্যা সাধন করতে পারে।
পুরুষ যৌনক্রিয়ায় খুব সহজেই উদ্দিপ্ত হয়। কিন্তু নারী কামবাসনাকে জাগাতে হয় এবং পুরুষের মত এত সহজে নারী কামোত্তেজিতা হয় না। কাজেই পরস্পরের রতিধারনের তীব্রতার সততা সাধিত সাধিত না হলে পুরুষ হয়ত সহজেই উদ্দিপ্ত হয়ে রতিক্রিয়া শেষে শুক্রস্খলন করে ক্লান্তিতে ঢলে পড়লে নারী অতৃপ্ত থেকে বিরক্তি বোধ করবে। এভাবে দাম্পত্য ব্যবহারে প্রায়ই পুরো আনন্দ লাভ করতে না পারলে ফলে স্ত্রীর দেহমন নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। হিস্টিরিয়া, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদির প্রদান কারণও এটাই। যৌনক্রিয়ার পুরুষ কর্তা জোর কর্মা। অর্থাৎ পুরুষ যৌনক্রিয়া করে এবং নারী সে কাজে নিজের দেহ দেয় মাত্র। যুগ যুগান্ত থেকে এ ধারণাই চলে আসছে। নারীরাও সে কামনা-বাসনায় তীব্রতর এটাকে যেন আমল দেয়াই হয়নি। নারীও নিজের বাসনা চেপে রেখে স্বামীর ভোগ লালসার কাছে নিজের আহুতি দিয়ে আসছে। পুরুষ স্ত্রীর যৌনবাসনার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে রতিক্রিয়া করে আর নারী নিজেকে উপলক্ষ্য রূপে স্বামীর প্রবল ইচ্ছার কাছে সঁপে দিয়ে বিতৃষ্ণা ভোগ করে। এক্ষেত্রে স্বামীকে দেখতে হবে স্ত্রীর রতিতৃপ্তি লাভ হল কিনাঃ না হলে জানতে হবে কেন হল না এবং নানা উপাচারে চেষ্টা করে স্ত্রীর রতি তৃপ্তিতে সাহায্য করতে হবে। সব সময়েই মনে রাখতে হবে যে পুরুষ যেমন একই রতিক্রিয়া সম্পাদন করতে পারে না; দরকার হয় একটি মেয়ের- তেমন সে মেয়ে রতিপুলক লাভে সাহায্য করার দায়িত্বও তাঁর।
পড়ুন>> স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম
পুরুষ নারীর রতিবাসনার পার্থক্য আছে অর্থাৎ দু’য়ের রতিবাসনা সমান তীব্র নয়। এমন অনেক পুরুষ আছে যাদের রতিক্ষমতা অসাধারণ রকমের বেশি এবং রতিক্রিয়াতেও এরা অসাধারণ পটু। এ সমস্ত পুরুষ নিজেদের অসাধারণ রতিক্ষমতা স্ত্রীর ওপর প্রয়োগ করলে স্ত্রীর আনন্দ পাওয়া দূরে থাক রতিক্রিয়া অপরিসীম কষ্টে এবং যন্ত্রণার কারন হয়ে পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক কোন পুরুষ ২/৩ বারের কম স্ত্রী সহবাস করে তৃপ্ত হয় না। এরা প্রতিবারেই অন্তত ১০/১২ মিনিটের আগে শুক্রস্খলন হয় না অথচ তাঁর স্ত্রী হয়ত ৫/৬ মিনিটের সকর্মক অবস্থায় বাড়তি সময়টা স্ত্রীর পক্ষে যে বিশেষ জুলুম বলে মনে হয় এ আর বিচিত্র কি? এক্ষেত্রে স্বামীকে অভ্যাস এবং চেষ্টায় ৭/৮ মিনিটের রতি তৃপ্তি লাভ আয়ত্ব করতে হবে এবং সংযম অবলম্বন করে ২/৩ বারের মাত্র ১ বারে আনতে হবে। কারণ আনন্দের বদলে বা একজনের পক্ষে অত্যাচার সে ক্রিয়াকে দেয়া যায় না। স্বামীরও এ সংযমে প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও পরে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হলে এ কষ্টকে আর কষ্ট বলে মনে হবে না।
আবার এর বিপরীত অবস্থাও দেখা যায়। যেমন নারীর রতিশক্তি বেশি এবং পুরুশের রতিশক্তি কম হওয়া। এ অবস্থায় রতিকলা সাধনার দ্বারা আয়ত্ব করা যেতে পারে এবং উভয়েই রতিক্রিয়ার পূর্ণ আনন্দ লাভ করতে পারে।
পড়ুন >> সহবাসের সময় বাড়ানোর ১৩ টি উপায় ও কলা-কৌশল
এমন কতক পুরুষ আছে যাদের অঙ্গ খুব মোটা এবং লম্বা। এরা অল্প প্রশস্ত ভগাঙ্কর মেয়ের সাথে রতিক্রিয়া করলে সে ক্রিয়া সে মেয়ের পক্ষে কষ্টদায়ক হতে বাধ্য। আবার অনেকের অঙ্গ ছোট এবং অনেক মেয়ের যোনি খুব প্রশস্ত। এ ধরনের পুরুষ নারীর সঙ্গমে নারীর পক্ষে রতি তৃপ্তি লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এসব অসুবিধা যে একাবারেই দূর করা যায় না তা নয়। নানা রকম কলাকৌশল নানা পদ্ধতির সাহায্যে এ ছোট বড় পার্থক্য জনিত অসুবিধার অনেকখানি দূর করে পরিপূর্ণ আনন্দ লাভ করা সম্ভব।
বার বার স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার হলে স্ত্রী খুব শীগগিরই স্বাস্থ্য ও যৌবন হারিয়ে ফেলে। স্বামীর পক্ষেও অনেক সময় সন্তান প্রতিপালনে এবং অন্যান্য নানা অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাই কলাকৌশল আয়ত্ত করে এ বিপদকে সহজেই যৌনবোধ করা যায়। জীব জগতে যৌনমিলন কাউকে শেখাতে হয় না হঠাৎই পুরুষ পশু নারী পশুতে উপগত হতে পারে। কিন্তু মানুষের কিছু শিক্ষার কিছু উপদেশের প্রয়োজন আছে। এ গুলোর অভাবে প্রথম প্রথম মানুষ যথার্থভাবে সুসম্পূর্ণ সঙ্গম করতে পারে না। আবার সহজাত বৃত্তিগুলোর বলে যৌনবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে পুরুষ নারী অনেক রকম বাড়াবাড়ি বা ক্ষতিকর কান্ড করে বসতে পারে। সেজন্য তাদের পরস্পরের মনোভাব জেনে উপযুক্ত উপাচার প্রয়োগ রতিক্রিয়া চরমোপকর্ষ দেখানোর জন্য যথেষ্ট শিক্ষায় শিক্ষিত হবার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে অযথা লজ্জা পরিহার করাই কর্তব্য। এভাবে পরস্পরের মিলনের সাহায্য পরস্পরের আনন্দ লাভ সহজ হবে।
আরও পড়ুনঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ করার উপায় সমূহ
আদর্শ মিলন তবে কি?
আদর্শ মিলনের রূপ অনেকটা এ রকম পুরুষ ও নারী ও যৌনক্রিয়ার জন্য উদ্দীপ্ত হবে। উভয়ের যথেষ্ট উদ্দীপ্ত হলে তারপর আঙ্গিক মিলন হবে নারীরও পুরুষের যৌনঅঙ্গ শ্লৈন্মিক শিল্পী প্রধান। আঙ্গিক মিলনের পর উভয়ের বিশেষতঃ পুরুষের অঙ্গ চালনা সহ্য ও সাধ্যমত চলতে থাকবে। নারীরও সকর্মক হতে হবে। এতে দোষের কিছুই নেই। এভাবে উভয়ের অঙ্গ চালনার মধ্য দিয়ে পুরুষের শুক্রস্খলন এবং ঠিক এ সময়েই নারীরও চরমানন্দ লাভ হবে। উভয়েরই সমস্ত দেহ মনে স্নায়ুবিক উত্তেজনার প্রশান্তি হবে।
আদর্শ মিলনের এ ব্যাখ্যায় প্রধান বিষয় হবে স্বামী স্ত্রী উভয়ের ঠিক এক সময়ের যৌন আনন্দ পেয়ে চরমানন্দ লাভ করা। খুব সামান্য সম্যের ব্যতিক্রমে। কিন্তু এ সময়ের পার্থক্য যদি বেশি হয় তা হলে চিন্তার কারন আছে বৈকি? সঙ্গমের উদ্দেশ্যই যদি তাতে ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে দাম্পত্য জীবনও ব্যর্থতার পথে পা বাড়াবে।
আপনি পড়ছেনঃ পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন বই থেকে।
The post যৌন জীবনে যেভাবে পূর্ণ তৃপ্তি ও সুখ লাভ করতে পারবেন appeared first on Amar Bangla Post.