একদা গ্রামে এক বিড়াল ছিল।
সে গৃহস্থের বাড়িতে এটা ওটা চুরি করে খেতো। একবার বেড়ালটা এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে একটা মোরগ ধরে নিয়ে এল। এখন সে মোরগটাকে মেরে খেতে চাইল। কিন্তু শুধু শুধু তো একজনকে মারা যায় না। একটা অজুহাত থাকা চাই তো!সে তখন মোরগটাকে বললো, তুই মারাত্মক একটা আপদ, রাতে ডেকে মানুষকে স্বস্তিতে ঘুমোতে দিস না। মোরগটি উত্তরে বলল, এ তো আমি ভাল উদ্দেশ্যেই করি। রাত্রি শেষে আমার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলে মানুষরা সকাল সকাল তাঁদের দিনের কাজ শুরু করতে পারে।
বিড়াল তখন ভাবল—মোরগ কথাটা ঠিকিই বলেছে। তাই কথাটি উড়িয়ে দিয়ে অন্য একটা দোষ ধরে বলল, তুই তোর মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাও ব্যবহার করিস। অত্যাচার করিস।
মোরগ তখন শান্ত স্বরে উত্তর দিল—এতেই আমার মালিক খুশী হয়, বুঝে দেখো কথাটা, মালিকের সম্পদ বাড়ে।
বিড়াল তখন বিরক্তি প্রকাশ করে বলল—নাঃ তোর সঙ্গে মেলা ফ্যাচ ফ্যাচ করার সময় আমার নেই। কিন্তু তাই বলে আমার যে খিদে পুষে রাখতে হবে পেটে, তারও কোনো মানে নেই—তোকে আমি খাবোই। এই বলে বিড়াল মোরগটার টুঁটি চেপে ধরে মেরে খেয়ে ফেলল।
উপদেশঃ দুর্জনের ছলের অভাব হয় না।
আরও কিছু উপদেশের গল্পের লিঙ্ক…
০১ সিংহ ও শেয়ালের গল্প ( উপদেশ গল্প ৩)
০২ ২ টি গাধার উপদেশ গল্প (উপদেশ গল্প ২)
The post মোরগ ও বিড়াল (পশু পাখির উপদেশ গল্প ১) appeared first on Amar Bangla Post.