Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

বিধবা নারীদের যৌন চাহিদা ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থা

$
0
0

প্রশ্নঃ বিধবা মেয়েদের যৌন ক্ষুধা হয় কি?

 

উত্তরঃ বিধবা মেয়েদের অনেক সমস্যা। একদিকে যেমন আর্থিক সমস্যা, সামাজিক সমস্যা, আছে যৌন জীবনের সমস্যা।

যৌন কামনা দেহের এমন একটি স্বাভাবিক ধর্ম, যা কোন মেয়ের স্বামী আছে কি নেই—এসব ভেবে চিন্তে কাজ করে না।

কোন মেয়ে যখন তাঁর যৌন জীবনের মাঝপথে হঠাৎ স্বামী হারায়, কোন বৈধ সঙ্গীর অভাবে তাঁর যৌন কামনা পরিতৃপ্তি করতে না পারে—তখন তাঁর এক তীব্র সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এই অতৃপ্তি যৌন কামনা মেয়েদের যৌন সমস্যার সঙ্গে স্ত্রী হীন পুরুষের যৌন সমস্যার কিছুটা পার্থক্য আছে। পুরুষ ইচ্ছা করলেই বিয়ে না করেই কামবেগ নিবৃত্তি করতে পারে। পতিতা বা কোন প্রেমিকার সাহায্যে যৌন তৃপ্তি লাভ করতে পারে।

কিন্তু নারী বিবাহ ছাড়া পুরুষ সংসর্গ বিপজ্জনক। নানাবিধ নিন্দায় ভয়ে নারী ওপথে এগুতে সাহস পায় না। অথচ মেয়েদের কামাবেগ অনেক সময় পুরুষের থেকে বেশি ও তীব্র হয়।

যেসব মেয়ে বিবাহিত জীবেন একটু বেশি কামাবেগ সম্পন্ন তাঁরা বেশীভাগই বিধবা হবার পর নিজের কামাবেগ দমন করতে পারে না। বিধবাদের যৌন সমস্যা আরো বেশী প্রকট হয়ে ওঠে যদি বিবাহিত জীবনে স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক অতৃপ্ত থেকে থাকে। যে সব মেয়ে বিবাহিত জীবনে স্বামীর কাছে যৌন তৃপ্তি পুরো পায় না, তাঁরা বিধবা হলে অত্যাধিক যৌন সমস্যায় ভোগেন।

কিন্তু বাংলাদের সমাজ ব্যবস্তা অত্যান্ত নাজুক। কোন #বিধবা #নারী ফের বিবাহ করলে তাঁকে সমাজ বাকা দৃষ্টিতে দেখে এবং নানান কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। অনেক সময় বিধবার মা বাবা চাইলেও তাঁর মেয়েকে পুনরায় বিবাহ দিতে পারে না শ্বশুর বাড়ির অসম্মতির কারণে। কিন্তু নিজের ছেলের বউ যখন ঘটনা ক্রমে মারা যায় তখন তড়ি গড়ি করে ছেলেকে দ্বিতীয় বিবাহ করাতে উঠে পড়ে লেগে যায়। কারণ এদেশে বউ মারা যাওয়ার পর ছেলেদেরই দ্বিতীয় বিবাহ করার অধিকার আছে কিন্তু নারীদের থাকতে নেয়। এদেশের অধিকাংশ লোকের কাছেই নারী পুরুষের যৌন চাহিদা নিবারণের বস্তু, তাঁদের কাছে নারীর যৌবনের চাহিদার কোন গুরুত্ব নেই।

কিন্তু আল্লাহর প্রিয় রাসূল হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা আয়েশাকে ব্যতীত দ্বিতীয় কোন কুমারী নারীকে বিয়ে করেন নি। হযরত মা আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় হাবীবের একমাত্র কুমারী স্ত্রী। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) একাধিক বিয়ে করেছিলেন। রাসূল (সাঃ)-মের যুগে যেসব নারী বিধবা হয়েছিলেন, সংসারে স্বামী না থাকার কারণে চলতে কষ্ট হয়, সেসব নারীদেরকে বিবাহ করে তাঁদের কে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সমাজে তাঁর প্রাপ্ত অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তিনি যখন সর্ব প্রথম মা খাদিজাকে বিবাহ করেছিলেন, তখন মা খাদিজা তিনি ৪০ বছরের বয়োঃবৃদ্ধ ছিলেন এবং রাসূল (সাঃ) এর বয়স ছিলেন ২৫ বছর। মা খাদিজা পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ফলে তাঁর সংসারে কোন অভাব ছিল না। যখন মা খাদিজা আল্লাহর হাবীবকে বিবাহের প্রস্তাব দেন, তখন আল্লাহর প্রিয় হাবীব মা খাদিজাকে সম্মানের সহিত গ্রহণ করে নিয়েছেন। এমন কি মা খাদিজা যতদিন পর্যন্ত জীবিত ছিলেন, তখন আল্লাহর প্রিয় হাবীব মা খাদিজার সম্মানে দ্বিতীয় কোন নারীকে নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ করেনি। এ ছিলেন আল্লাহর রাসূল। তিনি নারীকে সম্মান দিয়েছেন, ইজ্জত দিয়েছেন এবং তার সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

কিন্তু যিনি তার ১৫ বছরের চেয়ে বড় বয়সী নারীকে বিয়ে করে সমাজে তার অধিকার প্রতিষ্ঠাতা করেছেন, বাংলাদেশের একদল মুক্তমনা কুলাঙ্গার রাসূল (সাঃ)-মের সম্মানহানী করে ফেসবুক ও ব্লগে লেখা লেখি করছে এবং করে যাচ্ছে। তার সম্মানিতা স্ত্রীদেরকে নোংরামী ভাষায় আক্রমণ করে যাচ্ছে। ঐ যে বললাম বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা অত্যান্ত নাজুক। এরা কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ে শিক্ষিত হয়েছে ঠিক কিন্তু প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে পারেনি। এরা প্রকৃত অর্থে একেকটা শিক্ষত শয়তান। এরা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় লেখা-লেখি ব্যতীত বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বা অন্য কোন কিছুতে কোন অবদান রাখতে পারেনি। শুধু নিজেদের ফায়দা লুটে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন >> ইসলামে নারীর যৌন অধিকার

লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

The post বিধবা নারীদের যৌন চাহিদা ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থা appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

Trending Articles