হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.)-এর এক খলিফার নাম ছিল খাজা আব্দুল আযী্য মাযজুব (রহ.)। তিনি কবিতার একটি চরণ লিখে স্বীয় পীর ও মুর্শিদ হযরত থানবী (রহ.) কে শোনালেন। হযরত থানবী (রহ.) চরণটি শুনে বললেন—
‘যদি আমার সামর্থ্য থাকত, তাহলে আমি এর মূল্য হিসেবে তোমাকে এক লাখ টাকা দিতাম।’
এটা সেই যুগের কথা ছিল, যখন স্কুলে যাওয়ার জন্য একটা পয়সাও মিলত না। বড় একজন প্রকৌশলীর বেতন ছিল মাত্র ১৫ হাজার টাকা। কবিতার সেই চরণটি কী ছিল? খুবই সংক্ষিপ্ত, অত্যন্ত সাদামাটা, হৃদয়গ্রাহী ও বড়ই আজব কথা ছিল সেটি। একটা চরণই দিলের অবস্থা যথাযথভাবে তুলে ধরল—
“হৃদয়ে যত চাওয়া-পাওয়া
সব হয়েছে বিদায়,
এখন তুমি চল এসো
খালি হয়েছে হিয়ায়।”
-(খুতুবাতে জুলফিকার ৩/৩৬)
আপনি পড়ছেনঃ আল্লাহর মহব্বত বই থেকে
The post মহব্বতের কবিতার মূল্য লাখ টাকা নির্ধারণ appeared first on Amar Bangla Post.