স্বামী স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী তাঁর স্ত্রীর গালে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দিলেন।
স্ত্রীঃ কী! তুমি আমার গায়ে হাত তুললে?
স্বামী বেচারা ভেবে দেখলেন, আসলে কাজটা অন্যায় হয়ে গেছে। তাই একটু নরম সুরে তিনি বললেন, আরে না না, আমি তোমাকে ভালোবেসে চড়টা মেরেছি।
স্ত্রী তখন স্বামীর গালে কষে দুইটা চড় লাগিয়ে দিলেন।
স্বামীঃ স্তব্দ হয়ে, তুমিও আমাকে….
স্ত্রীঃ তুমি কি ভেবেছ আমি তোমাকে কম ভালোবাসি?
০২. সম্পর্ক…
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে আনিসের সম্পর্ক ভালো না প্রথম থেকেই। সেই প্রথম যেদিন টিনা বাসায় জানাল আনিসের কথা সেইদিন থেকেই….
আনিসের যোগ্যতা-পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে নানা কথা হতে হতে ইদানিং আনিসের মনটা একেবারে বিষিয়ে উঠেছে।
ওরা দুইজন ডিটারমাইন্ড থাকাতেই হয়তো ওদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়েছিল।
কিন্তু বিয়ের পর পর ও আনিস যতবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে খালি জুটেছে অনাদর আর শ্বাশুড়ির খোঁটা। টিনা এইটা নিয়ে অনেক ঝগড়াঝাটিও করেছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
শেষে বাধ্য হয়ে শ্বশুড়বাড়ি যাওয়া একরকম বন্ধই করে দিয়েছে আনিস।
অবশ্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনের এহেন আচরণে আনিস কিংবা টিনা কারোই ভালোবাসায় কোণ প্রভাব ফেলেনি। আনিওসের ছোট চাকরিতেও দিব্যি চলছিল দুজনার ছোট্ট সংসার।
তারপর…
ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আরকি কিছুদিন পরই একটা ভয়াবহ কার অ্যাক্সিডেন্টে টিনা দারুনভাবে আহত হয়। দুর্ঘটনাটিতে ভয়াবহভাবে পুড়ে যায় টিনার শরীর। সারা শরীরই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁর, কিন্তু ডাক্তারের ভাষ্যমতে সবচেয়ে বাজে অবস্থা মুখের। ডাক্তার জানালেন, কসমেটিক সার্জারি করতে হবে। অন্য কোথাও থেকে চামড়া এনে বসাতে হবে মুখে। কিন্তু টিনার নিজের শরীরের চামড়া এ অবস্থায় সরানো সম্ভব নয়, সমস্যা হতে পারে।
টিনার এ অবস্থায় আনিস তাঁর নিজের শরীর থেকে চামড়া নেয়ার প্রস্তাব দিল। ডাক্তার রাজি হলেন, এবং আনিসের নিতম্ব থেকে চামড়া তুলে টিনার মুখে বসালেন। অবশ্য এই দম্পতি ডাক্তারকে অনুরোধ জানালেন গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্য।
অপারেশনের শেষে দেখা গেল, টিনাকে আরো সুন্দরী দেখাচ্ছে। আত্মীস্বজন তো তাঁকে দেখে অবাক, এবং এতো চমৎকার অপারেশনের জন্যে ডাক্তারকে প্রচুর ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন টিনা-আনিস।
কিছুদিন পর নিরালায় টিনা ধন্যবাদ জানালেন আনিসকে। তুমি আমার জন্যে যা করলে, তা আমি জীবনে ভুলতে পারবো না গো, এর প্রতিদান আমি দিতে পারবো না। গদগদ হয়ে বলল টিনা।
আনিস তাঁকে এখাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ও কিচ্ছু না, লক্ষীটি। আর তোমার প্রতিদান দিতেও হবে না। যতবার তোমার মা এসে তোমার গালে চুমো খাবে, আমার প্রতিদান পাওয়া হয়ে যাবে।
০৩. ১০ হাজার টাকা
স্ত্রীঃ আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি?
স্বামীঃ আরে সে ১ সেকেন্ড মনে হয়। চোখের পলকে কেটে গেল প্রিয়ে……..
স্ত্রীঃ (খুশী হয়ে) আমার জন্য ১০ হাজার টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামীঃ আরে তে তো ১ টাকার মতো। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রীঃ (ততাধিক খুশী হয়ে) তা জান আমাকে ১০ হাজার টাকা দিতে পারবে এখন?
স্বামীঃ (গম্ভির হয়ে) দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই।
০৪. মাছ রান্না
স্বামীঃ আজ মাছ রান্না হয়নি কেন?
স্ত্রীঃ মাছটাকে মারতেই পারলাম না।
স্বামীঃ কী ভাবে মারার চেষ্টা করছিলে?
স্ত্রীঃ পানিতে ডুবিয়ে!!
০৫. পেঁয়াজ
স্ত্রীঃ কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁইয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না?
স্বামীঃ না, ঠিক তা নয়।
স্ত্রীঃ তাহলে?
স্বামীঃ পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের পানি ফেলবে, এ দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না।
The post স্বামী স্ত্রীর নতুন জোকস appeared first on Amar Bangla Post.