মাসআলাঃ- ১৮. আযলের বৈধতা(জন্মনিয়ন্ত্রণ)
স্বামীর জন্য বৈধ যে, সে তাঁর বীর্যকে তাঁর স্ত্রী হতে দূরে ফেলবে অর্থাৎ আযল করবে। এই বিষয়ে বহু হাদীস আছে,
প্রথম হাদীসঃ আরবী………
“জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (কুরআন অবতীর্ণ অবস্থায় আমরা আযল করতাম) অর্থাৎ আমাদের বীর্যকে সহবাসের সময় স্ত্রীদের থেকে দূরে ফেলতাম।”
অন্য বর্ণনায় আছে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর সময় আযল করতাম, অতঃপর এই সংবাদটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর নিকট পৌঁছল তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেননি।[1]
দ্বিতীয় হাসীসঃ আরবী……..
আবূ সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর নিকট আগমন করল এবং বলল আমার এক দাসী আছে, আমি তাঁর সাথে আযল করি, আর পুরুষ যা ইচ্ছা করে আমি তা করি, আর ইয়াহুদীরা ধারণা করে যে, ছোট জীবন্ত দাফনকৃত হল আযল। নবী সাল্লাল্লাহুই আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইয়াহুদীরা মিথ্যা বলেছে, ইয়াহুদীরা মিথ্যা বলেছে, আল্লাহ যদি কিছু সৃষ্টি করতে চান তাহলে তুমি তাকে তা হতে বাঁধা দিতে পারবে না।[2]
তৃতীয় হাদীসঃ– আরবী………..
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর নিকট আসল এবং বলল, আমার এক দাসী আছে যে, আমাদের সেবিকা ও আমাদের খেজুর বাগানে পানি দ এয়। আর আমি তাঁর সঙ্গে সহবাস করি এবং সে গর্ভবতী হবে এটা আমি অপছন্দ করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (তুমি ইচ্ছা করলে তাঁর সঙ্গে আসল কর। কেননা তাঁর ভাগ্যে যা লেখা হয়েছে তা তাঁর গর্ভে আসবে)। লোকটি কিছুকাল অবস্থান করল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসল এবং বলল, নিশ্চয় দাসীটি গর্ভধারণ করেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (আমি অবশ্যই তোমাকে সংবাদ দিয়েছিলাম যে, সে অচিরেই গর্ভধারণ করবে যা তাঁর ভাগ্যে আছে।[3]
আপনি পড়ছেনঃ বাসর রাতের আদর্শ বই থেকে।
[1] বুখারী (৯/২৫০) পৃষ্ঠা, মুসলিম (৪/১৬০) পৃষ্ঠা দ্বিতীয় বর্ণনাটি মুসলিমের। ইমাম নাসাঈ ইশরাতুন নিসা (৮২/১) পৃষ্ঠা এবং তিরমিযী (২/১৯৩), বাগাবী আলী বিন জা’দ এর হাদীস এর (৮/৭৬/২) পৃষ্ঠা।
[2] নাসাঈ ইশরাতুন নিসা (৮১/১-২) পৃষ্ঠা, আবূ দাউদ (১/২৩৮ পৃষ্ঠা), ত্বহাবী আল-মুশকিল-এর (২/৩৭১ পৃষ্ঠা), তিরমিযী (২/১৯৩) পৃষ্ঠা, আহমাদ (৩/৩৩ ও ৫১ ও ৫৩) পৃষ্ঠা সহীহ সনদে।
আর আবূ হুরাইরা এর হাদীস থেকে তাঁর প্রমাণ রয়েছে, যা আবূ ইয়ালা (২৮৪/১) পৃষ্ঠা এবং বায়হাকী (৭/২৩০) পৃষ্ঠা হাসান সানাদে বর্ণনা করেছেন।
[3] মুসলিম (৪/১৬০) পৃষ্ঠা, আবূ দাউদ (১/৩৩৯) পৃষ্ঠা, বায়হাকী (৭/২২৯) পৃষ্ঠা এবং আহমাদ (৩/৩১২/৩৮৬) পৃষ্ঠা।
The post আযলের বৈধতা appeared first on Amar Bangla Post.