16- عَنْعَائِشَةَرَضِيَاللهُعَنْهَا،قَالَتْ: قَالَرَسُوْلُاللهِصَلَّىاللَّهعَلَيْهِوَسَلَّمَ: “خُلِقَتِالمَلاَئِكَةُمِنْنُوْرٍ،وَخُلِقَالجَانُّمِنْمَارِجٍمِنْنَارٍ،وَخُلِقَآدَمُمِمَّاوُصِفَلَكُمْ”.
(صحيحمسلم،رقمالحديث 60 – (2996)، ).
16 – অর্থ: নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয়তমা আয়েশা উম্মুল মুমেনীন [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন:“ফেরেশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জিনদেরকে আগুনের তীব্র শিখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মানব জাতির আদি পিতা আদমকে যে বস্তু থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেই বস্তুটির বিবরণ পবিত্র কুরআনে তোমাদেরকে প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ মানব জাতির প্রথম পিতা আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে”।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 60- (2996)]।* এই হাদীস বর্ণনাকারিণী সাহাবীয়ার পরিচয়:
উম্মুল মুমেনীন আয়েশা বিনতে আবু বাক্র আস সিদ্দীক [রাদিয়াল্লাহু আনহা] হিজরতের পূর্বে নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি মাদীনায় হিজরত করার পর নয় বছর বয়সে আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে সংসার আরম্ভ করেন। আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল 18 বছর। তিনি সাহাবীগণের মধ্যে অধিক বুদ্ধিমতি, জ্ঞান এবং রায় প্রদানের ক্ষেত্রে ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি। দানশীলতাও উদারতায় তাকে উত্তম নমুনা হিসেবেউল্লেখ করা হতো। তিনি অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন,তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা 2210 টি। তিনি রমাজান বা শাওয়াল মাসের 17 তারিখে মাদীনাতে সন 57 হিজরীতে রোজ মঙ্গলবার মৃত্যু বরণ করেন। আবু হুরায়রা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তাঁর জানাজার নামাজ পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে আল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয় [রাদিয়াল্লাহু আনহা]।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
1। এই হাদীসটির দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি করার মধ্যে এবং জিনদেরকে সৃষ্টি করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সুতরাং ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে জ্যোতির দ্বারা। আর জ্যোতির অর্থ হলো: কিরণ, কিরণের দ্বারা আলোক ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন দিক জ্যোতির্ময় হয় আর উজ্জ্বল হয়।
আর জিনদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে আগুনের তীব্র শিখাদ্বারা।অর্থাৎজিনদেরপ্রথম পিতা ইবলীসকেসৃষ্টি করা হয়েছেআগুনের তীব্র শিখাদ্বারা।কিন্তএইবিষয়েঅন্যউক্তিওরয়েছে।
2। আমাদের উপর জিন ও শয়তানের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। তারা হলো মহান আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত। তারা মৃত্যুবরণ করে থাকে যেমন সমস্ত মানুষওমৃত্যুবরণ করে।
3। ঈমানের ছয়টি মূল ভিত্তি রয়েছে, সেই ছয়টি মূল ভিত্তির মধ্যে রয়েছে ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান স্থাপন করা।ফেরেশতাগণমহান আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত একটি অতি সম্মানিত সৃষ্টি জগৎ। তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে জ্যোতি থেকে।ফেরেশতাগণ সদাসর্বদা দিবানিশি মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করেন।
আর প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক মানবজাতির প্রথম ব্যক্তি হলেন আদম [আলাইহিস্সালাম]। উনাকে মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি বা পাঁক হতে। তবে মহান আল্লাহ উনাকে শুধু মাত্র কাদামাটি বা পাঁক হতেই সৃষ্টি করেছেন তা নয়। বরং তিনি তাঁকে সৃষ্টি করেছেন জীবন্ত সত্তা হিসেবে। সুতরাং তাঁর মধ্যে রয়েছে আত্মা, বুদ্ধি, শিরা, স্নায়ু, মাংস, হাড় এবং রক্ত ইত্যাদি।
সূত্র : নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খন্ড
এই হাদীসটি আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। পবিত্র ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন।
The post ফেরেশতাদের এবং জিনদের মধ্যে পার্থক্য (হাদিস) appeared first on Amar Bangla Post.