আমরা অনেকেই পশুর মাংস বাজার থেকে কিনে আনার পাশা-পাশি পশু পাখি কিনে বাড়ীতে যবেহ করে থাকি।
আর উত্তম হলো বাজার থেকে মাংস কিনার বদলে পশু-পাখি কিনে বাড়ীতে জবেহ করা। তাহলে ইসলামের বিধি মোতাবেক পশু পাখি জবাই করা যায়। যারা পশু পাখি যবেহ করার নিয়ম ও দোয়া জানেন না তাঁরা এই মাসআলা মাসায়েল গুলো মন দিয়ে পড়ুন।
মাসআলা ১। যবেহ করার নিয়ম হল, জানোয়ারের মুখ কেবলারোখ করে তীক্ষ্ণ ধারযুক্ত ছুড়ি দিয়ে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে জবেহ করতে হবে।
গলায় চারটি চারটি রগ থাকে। একটি রগ শ্বাস-প্রশ্বাসের, একটি পানাহারের এবং দুইটি পাশের মোটা রগ। মোট এই চারটি রগ কাটতে হবে। কারণ বশতঃ চারটি রগের পরিবর্তে তিনটি কাটলে, জানোয়ার হালাল হবে, কিন্তু যদি তিনটির কম কাটে, তাহলে তা মৃত গণ্য হয়ে হারাম হয়ে যাবে। -আলমগীরী ৫ম : ২৮৭
মাসআলা ২। যবেহ করার ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না পড়লে জানোয়ার মরা লাশের ন্যায় হারাম হয়ে যাবে। অবশ্য ভুলে না বললে, গোশত খাওয়া জায়েয হবে। -দুররে মুখতার ৫ম।
মাসআলা ৩। ধারহীন ছুড়ি দিয়ে বা কম ধারযুক্ত ছুড়ি দিয়ে জবেহ করা মাকরূহ। ছুড়ি ধারাল না হলে পশুর কষ্ট হয়। যবেহ করার পর পশুর ঠান্ডা হবার আগে চামড়া খসানো, হাত-পা কাঁটা, ভাঙ্গা বা সমস্ত গলা কেটে দেয়া মাকরূহ।–দুররে মুখতার ৫ম : ২০৮।
মাসআলা ৪। ভুলবশতঃ মুরগী যবেহ করার সময় সম্পূর্ণ হলা কেটে গেলেও মুরগী খাওয়া জায়েয আছে। অবশ্য সম্পূর্ণ কাটা মাকরূহ। মুরগী খাওয়া মাকরূহ হবে না।– হিদায়া ৪র্থ : ৩৭২
মাসআলা ৫। মুসলমান পুরুষ হোক বা মহিলা হোক, তাঁর জবেহ হালাল। এমন কি, কেউ না পাক অবস্থায়ও যদি জবেহ করে, তবুও হালাল। অমুসলিমদের যবেহ করা পশু-পাখি খাওয়া হারাম।
মাসআলা ৬। ছুড়ি না থাকলে ধারাল পাথর, ইস্পাত, বাঁশ বা আখের ধারাল বাকল দিয়ে জবেহ করা জায়েয আছে। পাথরের আঘাতে বা বন্দুকের গুলিতে মারা গেলে হালাল হবে না। দাঁত বা নখ দিয়ে জবেহ করলে জায়েয হবে না। – দুররে মুখতার ৫ম : ২০৭।
The post পশু পাখি জবেহ করার নিয়ম ও দোয়া appeared first on Amar Bangla Post.