49- عَنِالْحَسَنِبْنِعَلِيٍّرَضِيَاللهُعَنْهُمَا،قَالَ: عَلَّمَنِيْرَسُوْلُاللَّهِصَلَّىاللَّهُعَلَيْهِوَسَلَّمَكَلِمَاتٍأَقُوْلُهُنَّفِيْقُنُوْتِالْوِتْرِ: "اَللَّهُمَّاهْدِنِيْفِيْمَنْهَدَيْتَ،وَعَافِنِيْفِيْمَنْعَافَيْتَ،وَتَوَلَّنِيْفِيْمَنْتَوَلَّيْتَ،وَبَارِكْلِيْفِيْمَاأَعْطَيْتَ،وَقِنِيْشَرَّمَاقْضَيْتَ؛إِنَّكَتَقْضِىْوَلاَيُقْضَىعَلَيْكَ،وَإنَّهُلاَيَذِلُّمَنْوَّالَيْتَ،وَلاَيَعِزُّمَنْعَادَيْتَ،تَبَارَكْتَرَبَّنَاوَتَعَالَيْتَ".
(سننأبيداود،رقمالحديث 1425،واللفظله،وجامعالترمذي،رقمالحديث 464،وسننالنسائي،رقمالحديث 1745،وسننابنماجه،رقمالحديث 1178،قالالإمامالترمذيعنهذاالحديثبأنه: حسن،وصححهالألباني).
49 – অর্থ: আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে বেতর নামাজের কুনূতে পাঠ করার জন্য এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন:
"اَللَّهُمَّاهْدِنِيْفِيْمَنْهَدَيْتَ،وَعَافِنِيْفِيْمَنْعَافَيْتَ،وَتَوَلَّنِيْفِيْمَنْتَوَلَّيْتَ،وَبَارِكْلِيْفِيْمَاأَعْطَيْتَ،وَقِنِيْشَرَّمَاقْضَيْتَ؛إِنَّكَتَقْضِىْوَلاَيُقْضَىعَلَيْكَ،وَإنَّهُلاَيَذِلُّمَنْوَّالَيْتَ،وَلاَيَعِزُّمَنْعَادَيْتَ،تَبَارَكْتَرَبَّنَاوَتَعَالَيْتَ".
অর্থ:“হেআল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখ শান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালোবাসবেন,সে কোনোদিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনোদিন শক্তিশালী হতে পারবেনা। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।
[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 1425, জামে তিরমিযী, হাদীসনং 464, সুনান নাসায়ী, হাদীসনং 1745 এবং সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীসনং 1178। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এবং আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।
* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:
আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা]হলেন আবু মুহাম্মাদ আল কুরাশীআল্ হাশিমী, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয় নাতি, ফাতিমাতু জ্জাহরা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর প্রথম সন্তান। তিনি ৩য় হিজরীর রমাজান মাসের ১৫ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তার জন্মের সময় তাকে নিজের পবিত্র মুখে খেজুর ফল চর্বণ করে তাকে খাইয়েছিলেন।হাদীস গ্রন্থে তাঁর কাছ থেকে বর্ণিত 13টি হাদীস পাওয়া যায়।
আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা]ছিলেন তাঁর মাতা-পিতার সর্ব প্রথম সন্তান। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও সহনশীল। সেই সময় মুসলিম জাহানে ঐক্য স্থাপনের জন্যতিনি নিজের জীবনকে নিবেদিত করেছিলেন। যাতে মুসলিম সমাজে মানুষের রক্ত না ঝরে।এর স্পষ্ট প্রমাণ হলো এই যে, তিনি সন 41 হিজরীতে রাজনীতির কাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম পরিত্যাগ করে মুয়াবিয়া[রাদিয়াল্লাহু আনহু] কে রাষ্ট্রিয় সমস্ত ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। এই কারণে মুসলিম জাহানে একজন খালীফা এবং রাষ্ট্রিয় শাসক ও নৃপতি মুয়াবিয়া [রাদিয়াল্লাহু আনহু]এর প্রশাসন ব্যবস্থা চালু হয় এবং সারা মুসলিম জাহানে ঐক্য, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়।
আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] এর মর্যাদার অনেক বিবরণ অনেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, উক্ত হাদীস গুলির মধ্যে থেকে এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করলাম:
আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:
"الحَسَنُوَالحُسَيْنُسَيِّدَاشَبَابِأَهْلِالجَنَّةِ".
(جامعالترمذي،رقمالحديث 3768،قالالإمامالترمذيعنهذاالحديثبأنه: حسنصحيح،وصححهالألباني).
অর্থ:“হাসান এবং হোসাইন জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার”।
[জামে তিরমিযী, হাদীসনং 3768, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান, সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল আলবাণীও হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।
তিনি তাঁর 47 বছর বয়সে সন 49 অথবা 50 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। এবং মাদীনা শহরের আল বাকী কবরস্থানে তাঁকে তাঁর মাতা ফাতিমাতু জ্জাহরা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর কবরের পার্শ্বে সমাহিত করা হয়।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
1।নামাজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে দোয়া পাঠ করাকে কুনূতের দোয়া বলা হয়। বেতর নামাজে কুনূতের দোয়া পাঠ করার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে নির্ভরযোগ্য পন্থায় সাব্যস্ত হয় নি। তবে তিনি আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] কে বেতর নামাজের কুনূতে পাঠ করার জন্য এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন বেতর নামাজে কুনূতের এই দোয়াটি কোনো কোনো সময় পাঠ করে।
2।বেতর নামাজের শেষ রাকাতে রুকূর পূর্বে অথবা রুকূ থেকে উঠার পর, উভয় অবস্থায় কুনূতের দোয়া পাঠ করা জায়েজ।কুনূতের দোয়াটিহলোএইযে,
"اَللَّهُمَّاهْدِنِيْفِيْمَنْهَدَيْتَ،وَعَافِنِيْفِيْمَنْعَافَيْتَ،وَتَوَلَّنِيْفِيْمَنْتَوَلَّيْتَ،وَبَارِكْلِيْفِيْمَاأَعْطَيْتَ،وَقِنِيْشَرَّمَاقْضَيْتَ؛إِنَّكَتَقْضِىْوَلاَيُقْضَىعَلَيْكَ،وَإنَّهُلاَيَذِلُّمَنْوَّالَيْتَ،وَلاَيَعِزُّمَنْعَادَيْتَ،تَبَارَكْتَرَبَّنَاوَتَعَالَيْتَ".
সূত্র : নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খন্ড
এই হাদীসটি আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। পবিত্র ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন।
The post বেতর নামাজে কুনূতের দোয়া appeared first on Amar Bangla Post.