[তথাকথিত কুতুব, গাউস ও পূণ্যবান ব্যক্তির রহস্য উন্মোচন]
আর প্রশ্নকর্তা কুতুব, গাউস ও পূণ্যবান ব্যক্তি সম্পর্কে যে প্রশ্ন করেছে, তার উত্তর হচ্ছে, এসব বিষয় কোনো কোনো লোক সাব্যস্ত করে থাকে, তারা এগুলোর ব্যাখ্যা এমন কিছু দিয়ে করে থাকে যা দীন ইসলামে বাতিল বলে গণ্য। যেমন, গাউস সম্পর্কে তাদের কারো কারো ব্যাখ্যা হলো: তিনি এমন ব্যক্তি যিনি হবেন সৃষ্টিজগতের সাহায্যকারী, যার মাধ্যমে সৃষ্টিজগৎ সাহায্য ও রিযিক প্রাপ্ত হয়। এমনকি এটাও বলে থাকে যে, ফিরিশতাদের সাহায্য ও সমুদ্রের মাছের রিযিক ইত্যাদিও তার মাধ্যমে হয়। বস্তুত এটা হলো ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে নাসারাদের বক্তব্যের মতো এবং আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের বক্তব্যের অনুরূপ বক্তব্য। আর এটা সুস্পষ্ট শির্ক, যে ব্যক্তি তা বলবে, তাকে তা থেকে তাওবা করার জন্য বলা হবে। সুতরাং যদি সে তাওবা করে তাহলে ভালো, অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। কেননা সৃষ্টিজগতের কাউকেই, ফিরিশতা হোক কিংবা মানুষ, তাকে এ ব্যক্তির মাধ্যমে সাহায্য-সহযোগিতা করা হয় না।
আর এই কারণেই দার্শনিকগণ যে ‘দশ আকল’ বা বুদ্ধিভিত্তিক দশ ব্যক্তিত্ব, যাদেরকে তারা ফিরিশতা মনে করে থাকে, অনুরূপভাবে নাসারাগণ মসীহ সম্পর্কে যা বলে থাকে, তা সাব্যস্ত করা মুসলিমদের ঐকমত্যে সুস্পষ্ট শির্ক।
আর যদি সে লোকটি বলে, আমি ‘গাউস’ দ্বারা বুঝাই, যা তাদের কেউ কেউ বলে থাকে যে, জমিনে তিন শত দশের অধিক মানুষ রয়েছে। যাদেরকে তারা নামকরণ করেছেন নূজাবা হিসেবে। অতঃপর সেখান থেকে সত্তর জন হলো নাক্বীব, তাদের মধ্য হতে চল্লিশজন আবদাল, তাদের মধ্য হতে সাতজন আক্বতাব, আর তাদের মধ্যে চারজন আওতাদ, তাদের মধ্যে একজন হলো গাউস, আর তিনি স্থায়ীভাবে মক্কার অধিবাসী। আর যমীনবাসী যখন তাদের রিযিক কিংবা বিপদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন তারা সেসব তিনশত দশজনের অধিক মানুষের স্মরণাপন্ন হয়, আর তারা (৩১০ এর অধিক লোক) ঐসব সত্তরজনের কাছেআশ্রয় চায়, আর সত্তরজন চল্লিশজনের কাছে, চল্লিশজন সাতজনের কাছে, সাতজন চার জনের কাছে এবং চারজন একজনের স্মরণাপন্ন হয়। আবার তাদের কেউ কেউ এ লোকদের সংখ্যা, নামসমূহ ও মর্যাদার ব্যাপারে বেশি-কম করে বর্ণনা করে থাকে। কেননা এব্যাপারে তাদের বক্তব্য অনেক; এমনকি তাদের কেউ কেউ বলে থাকে, আকাশ থেকে সমকালীন গাউসের নামখচিত লেখা সবুজ কাগজ কা‘বার ওপর অবতীর্ণ হবে। যার নাম হবে খুদরাহ বা সবুজ। এমনকি তাদের কারও কারও নিকট ‘খাদরাহ’ নামক একটি মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বও রয়েছে। আর প্রত্যেক যুগেই খাদরাহ বা খিদির নামে একজন আছেন। বস্তুত এব্যাপারে তাদের মধ্যেই দু‘ধরনের বক্তব্য রয়েছে। তবে সত্য কথা এই যে, এ সব কিছু সম্পূর্ণ বাতিল ওমিথ্যা। আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতে যার কোনো ভিত্তি নেই। এমনকি এ উম্মতের পূর্বসূরীদের কেউ ও কোনো ইমাম এ জাতীয় কোনো কথা বলেন নি। আর পূর্ববর্তী বড় শাইখ যাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করার যোগ্য মনে করা হয়, তাদেরকেউই এমন কিছু বলেন নি।
এখানে সুস্পষ্ট যে, আমাদের নেতা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বকর, উমার, ওসমান ও আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম ছিলেন তাদের যুগের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আর তারা ছিলেন মদিনাতে, তারা কেউই মক্কাতে ছিলেন না।
আর তাদের কেউ কেউ সাহাবী মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর দাস হিলাল সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণনা করে বলেন যে সে নাকি তথাকথিত পূর্বোক্ত সাতজনের একজন। অথচ হাদীসটি এ শাস্ত্রের পণ্ডিত ব্যক্তিদের ঐকমত্যে বাতিল। যদিও আবু না‘ঈম রহ. তার ‘হিলইয়াতিল আউলিয়া’ গ্রন্থে এ জাতীয় কিছু হাদীস উল্লেখ করেছেন। আর শাইখ আবু আবদুর রহমান আস-সুলামীও তার কোনো কোনো লেখনীতে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং তুমি এগুলো দেখে ধোঁকা খেও না। কারণ, এসব গ্রন্থে সহীহ, হাসান, দুর্বলএমনকিবানোয়াট হাদীসও রয়েছে। আর আলেমগণের যে ব্যাপারে মতবিরোধ নেই তা হচ্ছে, মিথ্যা-বানোয়াটহাদীসই হচ্ছে মওদু‘ হাদীস। আর এসব গ্রন্থকার কখনো কখনো হাদীসশাস্ত্রের পণ্ডিতদেরমত যা শুনেন তাই বর্ণনা করে থাকেন। তারা সেগুলোর কোনোটি সহীহ ও কোনোটি বাতিল তা নির্ণয় করে দেন না, কিন্তু কোনো গ্রহণযোগ্য হাদীসবিদ এ জাতীয় হাদীস বর্ণনা করেন না। কারণ,সহীহ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা এসেছে যে, তিনি বলেন,
«من حدث عني بحديثٍ يرى أنه كذبٌ فهو أحد الكاذبين»
“যে ব্যক্তি আমার থেকে কোনো হাদীস বর্ণনা করে, অথচ ধারণা করা হয় যে, এটি মিথ্যা; তাহলে সেও মিথ্যাবাদিদের অন্তর্ভুক্ত”।”[1]
মোটকথা: মুসলিমগণ জানেন যে, তাদের ওপর অনুরাগ ও ভীতির সময় যে সব বিপদ-মুসিবত অবতীর্ণ হয়। যেমন,ইস্তেসকার বা বৃষ্টি প্রার্থনার সময় রিযিক চাওয়ার জন্য কৃততাদের দো‘আ এবং সূর্য গ্রহণের সময়ে কৃত দো‘আ, আর বালা-মসীবত দূরীকরণে তাদের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ইত্যাদি সময়ে একমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করে থাকেন, তাঁর সাথে তারা আর কাউকে শরীক করেন না। মুসলিমগণ কখনো তাদের কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারো নিকট প্রত্যাবর্তন করে না; বরং জাহেলী যুগের মুশরিকগণওএ জাতীয় অবস্থায় কোনো মাধ্যম ব্যতীত আল্লাহর কাছে দো‘আ করত,ফলে তিনি তাদের দো‘আ কবুল করতেন। তুমি কি মনে কর যে, তাওহীদ ও ইসলাম গ্রহণ করার পর এ জাতীয় মাধ্যম গ্রহণ ছাড়া তাদের দো‘আ কবুল করবেন না, যে মাধ্যম গ্রহণের ব্যাপারে আল্লাহ কোনো প্রমাণ নাযিল করেন নি?!
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِذَا مَسَّ ٱلۡإِنسَٰنَ ٱلضُّرُّ دَعَانَا لِجَنۢبِهِۦٓ أَوۡ قَاعِدًا أَوۡ قَآئِمٗا فَلَمَّا كَشَفۡنَا عَنۡهُ ضُرَّهُۥ مَرَّ كَأَن لَّمۡ يَدۡعُنَآ إِلَىٰ ضُرّٖ مَّسَّهُ﴾ [يونس: ١٢]
“আর মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে আমাদেরকে ডেকে থাকে। অতঃপর আমরা যখন তার দুঃখ-দৈন্য দূর করি, তখন সে এমনভাবে চলতে থাকে যেন তাকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর তার জন্য সে আমাদেরকে ডাকেইনি”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১২]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
﴿وَإِذَامَسَّكُمُٱلضُّرُّفِيٱلۡبَحۡرِضَلَّمَنتَدۡعُونَإِلَّآإِيَّاهُۖ﴾ [الاسراء: ٦٧]
“আর সাগরে যখন তোমাদেরকে বিপদ স্পর্শ করে তখন শুধু তিনি ছাড়া অন্য যাদেরকে তোমরা ডেকে থাক তারা হারিয়ে যায়”।[সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৬৭]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
﴿قُلۡ أَرَءَيۡتَكُمۡ إِنۡ أَتَىٰكُمۡ عَذَابُ ٱللَّهِ أَوۡ أَتَتۡكُمُ ٱلسَّاعَةُ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ تَدۡعُونَ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٤٠ بَلۡ إِيَّاهُ تَدۡعُونَ فَيَكۡشِفُ مَا تَدۡعُونَ إِلَيۡهِ إِن شَآءَ وَتَنسَوۡنَ مَا تُشۡرِكُونَ ٤١ وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَآ إِلَىٰٓ أُمَمٖ مِّن قَبۡلِكَ فَأَخَذۡنَٰهُم بِٱلۡبَأۡسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ لَعَلَّهُمۡ يَتَضَرَّعُونَ ٤٢ فَلَوۡلَآ إِذۡ جَآءَهُم بَأۡسُنَا تَضَرَّعُواْ وَلَٰكِن قَسَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٤٣﴾ [الانعام: ٤٠، ٤٣]
“বলুন, ‘তোমরা আমাকে জানাও, যদি আল্লাহর শাস্তি তোমাদের ওপর আপতিত হয় বা তোমাদের কাছে কিয়ামত উপস্থিত হয়,তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?‘না, তোমরা শুধু তাঁকেই ডাকবে, তোমরা যে দুঃখের জন্য তাঁকে ডাকছ তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের সে দুঃখ দুর করবেন এবং যাকে তোমরা তাঁর শরীক করতে তা তোমরা ভুলে যাবে। আর অবশ্যই আপনার আগে আমরা বহু জাতির কাছে রাসূল পাঠিয়েছি।অতঃপর তাদেরকে অর্থসংকট ও দুঃখ-কষ্ট দিয়ে পাকড়াও করেছি, যাতে তারা অনুনয় বিনয়করে। সুতরাং যখন আমাদের শাস্তি তাদের ওপর আপতিত হল, তখন তারা কেন বিনীত হল না? কিন্তু তাদের হৃদয় নিষ্ঠুর হয়েছিল এবং তারা যা করছিল শয়তান তা তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৪০-৪৩)
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের জন্য সালাত আদায়ের মাধ্যমে অথবা সালাত ব্যতীত বৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন। আর তিনি তাদের নিয়ে ইসতিসকার সালাত ও সূর্য গ্রহণের সালাত আদায় করেছেন। আর তিনি সালাতে কুনুত পড়তেন এবং মুশরিকদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতেন। অনুরূপভাবে খোলাফায়ে রাশেদীনগণ ও তাদের পরবর্তীরা এবং অনুরূপভাবে দ্বীনের ইমামগণ ও মুসলিম নেতৃবৃন্দ সর্বদা এ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।
আর এ কারণে বলা হয়: তিনটি বিষয় রয়েছে যার কোনো ভিত্তি নেই। নু‘সাইরিয়া সম্প্রদায়ের ‘বাব’, রাফেদী-শিয়াদের পক্ষ থেকে অপেক্ষায় থাকা (পাহাড়ের গর্তে অবস্থানরত) ইমামআরমূর্খদের ‘গাউস’।
কারণ, নুসাইরিয়ারা দাবী করে থাকে যে, তাদের একজন লোক রয়েছে, যাকে ‘বাব’ বলা হয়, তিনি উক্ত (গাউস) ধরনের। যে কি না তাদের জন্য পৃথিবীকে ঠিক রাখেন। এমন ধরনের লোক তাদের কাছেই থাকতে পারে (যার সম্পর্কে তারা এ ধরনের বিশ্বাস পোষণ করে থাকে) কিন্তু তার ব্যাপারে নুসাইরিয়া সম্প্রদায় যা বলে তা বাতিল, মিথ্যা ও অসার কথা। তবে (রাফেদী-শিয়াদের তথাকথিত) মুহাম্মাদ, যার অপেক্ষায় তারা অপেক্ষমান এবং (মূর্খ সুফীদের তথাকথিত) মক্কায় অবস্থানকারী গাউস ইত্যাদি বাতিল ও মিথ্যা, বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্বই নেই।
অনুরূপভাবে তাদের কেউ কেউ ধারণা পোষণ করে যে, কুতুব, গাউস, আল্লাহর ওলীগণকে সাহায্য করেন এবং তাদের সবাইকে চেনেন প্রভৃতি। এটাও বাতিল। অথচ আবু বকর ওউমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাও আল্লাহর সকল ওলীগণকে চিনতেননা এবং তাদের সাহায্যওকরতেন না। তাহলে কীভাবে এসব পথভ্রষ্ট মিথ্যবাদী, প্রতারকরা?(এরা কীভাবে চিনতে পারে ও সাহায্য করতে পারে?) আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন ‘সর্বশ্রেষ্ঠ আদম সন্তান’ তিনিও তার উম্মতদেরকে একমাত্র ওযুর চিহ্ন দ্বারা চিনতে পারবেন। আর তাহলো শুভ্রতা ও সাদা রং। আর ঐসব আল্লাহর ওলীগণকে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কেউ গণনা করে শেষ করতে পারবে না। আর আল্লাহর নবীগণ, যারা তাদের ইমাম ও খতীব। সে নবী-রাসূলগণ তাদের নিজেদের অধিকাংশের সাথে পরিচিত নন, বরং আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا رُسُلٗا مِّن قَبۡلِكَ مِنۡهُم مَّن قَصَصۡنَا عَلَيۡكَ وَمِنۡهُم مَّن لَّمۡ نَقۡصُصۡ عَلَيۡكَۗ ٧٨﴾ [غافر: ٧٨]
“আর অবশ্যই আমরা আপনার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। আমরা তাদের কারো কারো কাহিনী আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারো কারো কাহিনী আপনার কাছে বিবৃত করিনি।”[সূরা গাফির, আয়াত: ৭৮]
আর মূসা আলাইহিস সালাম খিদির কে চিনতেন না, আর খিদির আলাইহিস সালামও মূসা আলাইহিস সালামকে চিনতেন না, বরং যখন মূসা আলাইহিস সালামখিদিরকে সালাম করলো তখন খিদির তাকে বলল: কোনো যমীন থেকে সালাম আসল? তখন তিনি বললেন, আমি মূসা। তিনি বললেন, বনী ইসরাঈলের মূসা?মূসা আলাইহিস সালামবললেন: হ্যাঁ!। কারণ, খিদির এর কাছে মূসার নাম ও তার খবরাখবর পৌঁছেছিল; কিন্তু তিনি তাকে চাক্ষুষভাবে জানতেন না। আর যে বলে যে, খিদির ওলীগণের নকীব অথবা তিনি সবকিছু জানেন, সে নিশ্চয় বাতিল কথা বলেছে.। আরো পড়ুন
আপনি পড়ছেন ইসলামী বাংলা বইঃ কবর যিয়ারত ও কবরবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন
[1]হাদীসটি সহীহ। সহীহ মুসলিমের ভূমিকা (১/৯); সুনানইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৯; মুসনাদে আহমাদ (৫/২০)।
The post তথাকথিত কুতুব, গাউস ও পূণ্যবান ব্যক্তির রহস্য উন্মোচন appeared first on Amar Bangla Post.