Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all 2087 articles
Browse latest View live

ক Q-k দিয়ে ছেলেদের নাম ও নামের অর্থ

$
0
0

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগের পক্ষে থেকে শুভেচ্ছা নিন। অনেক দিন পর আবারও হাজির হয়েছি মুসলিম শিশুদের সুন্দর নাম ও নামের অর্থ নিয়ে। আজকের পর্বে পাবেন ক দিয়ে ছেলেদের সুন্দর ইসলামিক নাম ও নামের অর্থ। আপনার নবজাতক ছেলের একটি সুন্দর নাম রাখতে ক দিয়ে ছেলেদের নামের তালিকাটি আপনাকে সাহায্য করবে। তাই ক দিয়ে ছেলের নাম গুলো পড়ুন এবং আপনার পছন্দের সবচেয়ে সুন্দর অর্থবহ নামটি আপনার নবজাতক ছেলের জন্য রেখে দিন।

ক দিয়ে ছেলেদের নাম ও নামের অর্থ

ক্রমিক নং বাংলা ইংরেজী নামের অর্থ
০১ কায়েদ Qayed পরিচালক, নেতা
০২ কাদের Qader সক্ষম, শক্তিমান
০৩ কাসেম Qasem বন্টনকারী
০৪ কায়েম Qayem স্থিতি প্রতিষ্ঠিত
০৫ কাজী Kazi  বিচারক
০৬ কাদাতা Qadata একজন সাহাবীর নাম
০৭ কুদ্দুস Quddus পবিত্র
০৮ কোদ্দাম Quddam অগ্রভাগে অবস্থানকারী
০৯ কাদীর Qadir আল্লাহর একটি নাম
১০ কুদরত Qudrat শক্তি, ক্ষমতা
১১ কাযযাক Qazzf নিক্ষেপকারী, পাল্লা
১২ কুরবত Qurbt নৈকট্য
১৩ কুরবান Qurban উৎসর্গকৃত
১৪ কাসসাম Qussam বন্টনকারী
১৪ কাসীম Qasim অংশীদার
১৫ কুতুব Qutub দিকপাল সেরু
১৬ কামার (কামরুন) Qamar চন্দ্র
১৭ কাভী Qavi শাক্তিশালী
১৮ কাওয়াম Qauam উত্তম পরিচালক
১৯ কাহহার Qahhar আল্লাহর নাম, কঠোর ভাবে দমনকারী
২০ কিয়াম Qiam প্রতিষ্ঠাতা, দাঁড়ানো
২১ কাইয়ূম Qaiyum আল্লাহর নাম
২২ কাইয়্যিম Qaiyem ব্যবস্থাপনার দায়িত্বশীল
২৩ কাবেস Qabes শিক্ষিত, জ্ঞান প্রাপ্ত
২৪ ক্বাবেল Qabel নিরাপত্তাবাহন
২৫ ক্বাবূস Qabus সু স্ত্রী, সুন্দর, কমনীয়
২৬ কায়েস Qais একজন সাহাবীর নাম, চালাক প্রসিদ্ধ প্রেমিক মজনুর নাম বা বিখ্যাত গোত্র
২৭ কোবাদ Qobad বড় সম্রাট এর নাম
২৮ কাহতান Qahtan আরবের বিখ্যাত গোত্র
২৯ কাতেব Kateb লেখক
৩০ কাসেব Kaseb উপার্জনকারী
৩১ কাশেফ Kashef উম্মোচনকারী
৩২ কাযেম Kazem ক্রোধদমনকারী
৩৩ কাফি Kafi যথেষ্ট
৩৪ কামেল Kamel পরিপূর্ণ
৩৫ কিবরিয়া Kibria মহত্ব, অহংকার
৩৬ কাবীর (কবির) Kabir বৃহৎ, বড়
৩৭ কাবিসা Kabisa আচার
৩৮ কাবসা Kabsa আকস্মিক হামলা
৩৯ কারামত (কেরামত) Karamat অলৌকিক
৪০ কারীম Karim দানশীল, সম্মানিত
৪১ কাশফ Kashf উন্মুক্ত করা
৪২ কা’ব KAB’AB সম্মান, খ্যাতি, সাহাবীর নাম
৪৩ কফীল (কফীল) Kafil জামিন, রক্ষাকারী
৪৪ কালাম Kalam  কথা, দর্শন-শাস্ত্র
৪৫ কালীম Kalim বক্তা, মূসা (আঃ)-এর উপাধি
৪৬ কামাল Kamal যোগ্যতা, সম্পূর্ণতা
৪৭ কাওসার Kawser প্রভুর কল্যাণ
৪৮ কাউকাব Kawkab  নক্ষত্র
৪৯ কিফায়াত Kifayat যথেষ্ট
৫০ কামীল Kamil পূর্ণাঙ্গ, পরিপক্ক
৫১ কিনানা Kenana সাহাবীর নাম
৫২ কেনান Kenan হযরত নূহ (আঃ)-এর পুত্র
৫৩ কাইফ Kaif কেমন
৫৪ কায়কোবাদ Kayku bad সুন্দর, বিখ্যাত এক কবি
৫৫ কামরান Kamran বিজয়ী
৫৬ কাওকাব মুনীর Kawkab munor দীপ্তিমান নক্ষত্র
৫৭ কাসেদ আশরাফ Kasid ashraf অত্যন্ত ভদ্র দূত
৫৮ কাদির আরাফাত Quadir Arafat বলিষ্ঠ নেতৃত্ব
৫৯ কাসেম আলী Quasim ali মহৎবন্টনকারী
৬০ কুতুবদ্দীন Qutub uddin দ্বীনের নেতৃস্থানীয় লোক
৬১ কাসেমুল আদিল Quasimul adil বন্টনকারী ন্যায় বিচারক
৬২ কামাল উদ্দীন Kamal uddin দ্বীনের পূর্ণাঙ্গতা
৬৩ কাউসার হামিদ Kawsar hamid অতীব প্রশংসাকারী কল্যাণ
৬৪ কফিল উদ্দিন Kafeel uddin ধর্মের যিম্মাদার
৬৫ কারীম হাসান Karim Hasan দানশীল সুন্দর
৬৬ কাদীর ফুয়াদ Quadeer Fuad শক্তিশালী হৃদয়
৬৭ কেফায়েতুল্লাহ kifayatUllah আল্লাহ যার জন্য যথেষ্ট
৬৮ কেরামত আলী Karamat Ali মহান অলৌকিক
৬৯ কামরুল ইসলাম Qamrul islam ইসলামের চাঁদ
৭০ কামরুজ্জামান Qamruz zaman  জামানার চন্দ্র
৭১ কামরুল হুদা Qamrul Huda হেদায়াত প্রাপ্ত চাঁদ
৭২ কামরুল হাসান Qamrul hasan মনোরম চাঁদ
৭৩ কামরুদ্দীন Kamruddin দ্বীনের চন্দ্র
৭৪ কলিম উদ্দিন Kaleem uddin দ্বীনের বক্তা, মুখপাত্র
৭৫ কবির হুসাইন Kabeer Husain বড় সুন্দর মহৎ
৭৬ কামাল হালিম Kamal Haleem পরিপূর্ণ নম্র
৭৭ কায়েদে আযম Qayed-E-Azam জামানার নেতা
৭৮ কুদরত উল্লাহ Kudrat Ullah আল্লাহর শক্তি
৭৯ কায়সারুদ্দীন Kaysar uddin দ্বীনের বাদশা

ইতিপূর্বে প্রকাশিত ছেলেদের আরও সুন্দর নামের তালিকা সমূহ…

০১. অ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম

০২. আ দিয়ে ছেলেদের ২৩০ টি ইসলামিক সুন্দর নামের তালিকা

০৩. আল্লাহর নামের সাথে “আবদ” যুক্ত নাম

০৪. ই ঈ অক্ষর দ্বারা ছেলেদের ইসলামিক সুন্দর নাম

০৫. উ (O-u) দিয়ে ছেলেদের নাম

০৬. এ (A E I) দিয়ে ছেলেদের নাম

আমাদের দেওয়া নামের অর্থ গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে? ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ দিন। আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুণ। একটি সুন্দর কার্যকরী সামাজিক ব্লগ প্লাটফর্ম নির্মাণে আপনিও ভূমিকা রাখুন।

The post ক Q-k দিয়ে ছেলেদের নাম ও নামের অর্থ appeared first on Amar Bangla Post.


স্ত্রী সহবাসের দ্বারা পুণ্য (নেকি) লাভ হয়

$
0
0

স্ত্রী সহবাসেরস্বামী স্ত্রী সহবাস করে শারীরিক আনন্দ ও মানসিক শান্তি লাভ করার জন্য।

সহবাসের মাধ্যমেই নিজেদের ভবিষ্যত বা আগামী দিনের বেচে থাকার সম্বল অনুসন্ধান করে।

ইসলাম পরিপন্থী ভাবে নারী পুরুষ যৌন আনন্দ লাভ করলে যেমন কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে, তেমনি ভাবে ইসলামিক পন্থায় সহবাসের মাধ্যমে যৌন আনন্দ লাভ করলে এর দ্বারা নেকির ব্যবস্থাও রেখেছে। যখন বৈধ পন্থায় শরীয়ত দিক নির্দেশ অনুযায়ী স্বামী স্ত্রী আনন্দ লাভের জন্য মিলিত  হয় তখন তাদের আমল নামায় নেকি লেখা হয়।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলে আকরাম (সাঃ) বলেন,

স্ত্রী—সহবাসের ফলেও পুণ্য লাভ হয়।

তখন জনৈক সাহাবী আরয করেন, হে রাসূল (সাঃ)! এর দ্বারা ত নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করা হয়। তবুও কেন পুণ্য লাভ হবে?

জবাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,

মানুষ নিজের এ চাহিদা কে যদি অবৈধ স্থানে ব্যবহার করত, তাহলে তার গুনাহ হতো কিনা?

সাহাবী বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! (তখন তো গুনাহ হতো)।

তিনি বলেন,

তাহলে যখন একে হালাল স্থানে ব্যবহার করা হবে সেজন্য পুণ্য লাভ হওয়াই উচিৎ।

আপনি পড়ছেন >> পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন (ইসলামিক যৌনজ্ঞানের বই)

স্বামী স্ত্রীর সহবাসের শুধু আনন্দ লাভ হয় বরং এর রয়েছে আরও ঈমানের ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। নিচের তালিকার লেখা গুলো পড়লে আপনি জানতে পারবেন সহবাস কিভাবে স্বামী স্ত্রীর ঈমান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা লাভ করায়…

০১ স্বামী স্ত্রীর সহবাসের ইসলামিক উপকারিতা

০২ স্বামী স্ত্রীর সহবাসের স্বাস্থ্য উপকারিতা

০৩ স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ দিন ও সময়

০৪ কতদিন পর সহবাস করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না

০৫ স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখা হালাল না হারাম?

আমাদের পোস্ট পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়তে সাহায্য করুন।

The post স্ত্রী সহবাসের দ্বারা পুণ্য (নেকি) লাভ হয় appeared first on Amar Bangla Post.

মোরগ ও বিড়াল (পশু পাখির উপদেশ গল্প ১)

$
0
0

বিড়ালএকদা গ্রামে এক বিড়াল ছিল।

সে গৃহস্থের বাড়িতে এটা ওটা চুরি করে খেতো। একবার বেড়ালটা এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে একটা মোরগ ধরে নিয়ে এল। এখন সে মোরগটাকে মেরে খেতে চাইল। কিন্তু শুধু শুধু তো একজনকে মারা যায় না। একটা অজুহাত থাকা চাই তো!সে তখন মোরগটাকে বললো, তুই মারাত্মক একটা আপদ, রাতে ডেকে মানুষকে স্বস্তিতে ঘুমোতে দিস না। মোরগটি উত্তরে বলল, এ তো আমি ভাল উদ্দেশ্যেই করি। রাত্রি শেষে আমার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলে মানুষরা সকাল সকাল তাঁদের দিনের কাজ শুরু করতে পারে।

বিড়াল তখন ভাবল—মোরগ কথাটা ঠিকিই বলেছে। তাই কথাটি উড়িয়ে দিয়ে অন্য একটা দোষ ধরে বলল, তুই তোর মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাও ব্যবহার করিস। অত্যাচার করিস।

মোরগ তখন শান্ত স্বরে উত্তর দিল—এতেই আমার মালিক খুশী হয়, বুঝে দেখো কথাটা, মালিকের সম্পদ বাড়ে।

বিড়াল তখন বিরক্তি প্রকাশ করে বলল—নাঃ তোর সঙ্গে মেলা ফ্যাচ ফ্যাচ করার সময় আমার নেই। কিন্তু তাই বলে আমার যে খিদে পুষে রাখতে হবে পেটে, তারও কোনো মানে নেই—তোকে আমি খাবোই। এই বলে বিড়াল মোরগটার টুঁটি চেপে ধরে মেরে খেয়ে ফেলল।

উপদেশঃ দুর্জনের ছলের অভাব হয় না।

আরও কিছু উপদেশের গল্পের লিঙ্ক…

০১ সিংহ ও শেয়ালের গল্প ( উপদেশ গল্প ৩)

০২ ২ টি গাধার উপদেশ গল্প (উপদেশ গল্প ২)

The post মোরগ ও বিড়াল (পশু পাখির উপদেশ গল্প ১) appeared first on Amar Bangla Post.

ফেরি করে বাদাম বিক্রয় করেন এক স্মার্ট তরুণী (ভিডিও)

$
0
0

পুরুষদের ফেরি করে ব্যবসা করতে দেখা গেলেও,

এবার ঢাকায় দেখা মিলেছে ফেরি করে ব্যবসা করতে এক স্মার্ট তরুণীকে।

অর্থাৎ, স্মার্ট তরুণীর স্মার্ট স্টাইলে ফেরি ব্যবসা। ফেরি করে বাদাম বিক্রয় করেন এই স্মার্ট তরুণী।

 

The post ফেরি করে বাদাম বিক্রয় করেন এক স্মার্ট তরুণী (ভিডিও) appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ ফোন সেক্স ও চ্যাট আদান-প্রদান করা কি জায়েজ?

$
0
0

ফোন সেক্সপ্রশ্নঃ ফোন সেক্স করা কি জায়েজ?

উত্তরঃ ফোন সেক্স করা জায়েয হবে কিনা সেটা নির্ভর করে পারস্পরিক সম্পর্কের উপর। পারস্পরিক  সম্পর্ক যদি স্বামী স্ত্রী হয় তাহলে এখানে ধর্মীয় কোন বাধা বিপত্তি নেই।

ইসলাম যেমন বেগানা নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা-দেখা-সাক্ষাত হারাম করেছেন, তেমনি ভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কে অবাধ ও আনন্দময় করেছেন। স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোন প্রকার পর্দার বিধান নেই। দুই জনেই দুইজনার অর্ধাঙ্গিনী, একে অপরের পুরিপূরক।

অবৈধ পন্থায় ইসলাম যেটা হারাম করেছেন, বৈধ পন্থায় জীবনকে উপভোগ করার জন্য ইসলাম সেটা হালাল করেছেন।

তাই, স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে অথবা স্ত্রী যদি স্বামীর সাথে যৌনতাপূর্ণ কথা-বার্তার মাধ্যমে আনন্দ লাভ করে, তাহলে এখানে না জায়েজ অথবা হারামের কিছু নেই সেটা ফোনের মাধ্যমেই হোক কিংবা সরাসরি হোক। ইসলামে স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে হচ্ছে সবচেয়ে হালাল বিনোদন। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মতো হালাল বিনোদন দ্বিতীয় কোনটি হতে পারেনা।

পক্ষান্তরে পারস্পরিক সম্পর্ক যদি প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা অন্য কিছু হয়, তাহলে তা ইসলাম সমর্থন করে না। বিনা প্রয়োজনে বেগানা নারী পুরুষের একে-অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা, কথা-বার্তা বলা ইসলামে হারাম। বেগানা নারী পুরুষ কারা এসম্পর্কে আরো জানতে আমাদের পূর্বে প্রকাশ করা আর্টিকেল গুলো পড়ুন।

০১। নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া

০২। কথার পর্দা

০৩। গম্য নারী পুরুষের নির্জনবাস ( আদর্শ বিবাহ )

স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা প্রকাশ…

স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা বার্তা-ম্যাসেজ আদান-প্রদান যাতে অন্য কেউ শুনতে ও দেখতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। লোকদের মধ্যে কতক গুলো নারী পুরুষ আছে যারা নিজেদের মধ্যের খুনসুটি, প্রেমালাপ, যৌনভাব প্রকাশ, লোকেদের সামনেই শুরু ও বন্ধু-বান্ধুবীদের নিকট প্রকাশ করে দেয়।  আল্লাহর রাসূল (সাঃ) নিজেদের মিলন তথ্য প্রকাশ করতে কঠোর নিষেধ করেছেন।

পড়ুন ঃ স্বামী স্ত্রীর মিলন – রহস্য প্রকাশ

ফোন সেক্স কি?

মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে নারী পুরুষ একে অপরের সাথে যৌনতাপূর্ণ কথা-বার্তা-ম্যাসেজ আদান-প্রদান করাইকে ফোন সেক্স ও চ্যাট সেক্স বলে। মোবাইলের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যৌনতাপূর্ণ কথা-বার্তা ম্যাসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে দেহে উত্তেজনা জাগার কারনে আধুনিক লাইফস্টাইলের ভাষায় একে ফোন  সেক্স বলে।

উত্তর লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল।  (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

আমাদের প্রশ্নের উত্তর পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই লেখাটি শেয়ার করুন।

The post প্রশ্নঃ ফোন সেক্স ও চ্যাট আদান-প্রদান করা কি জায়েজ? appeared first on Amar Bangla Post.

এক নজরে বাংলাদেশের সকল জেলার বিখ্যাত খাবার ও বস্তুর নাম।

$
0
0

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা বিভিন্ন বিখ্যাত খাবার ও বস্তুর জন্য বেশ পরিচিত।

এর মধ্যে আমরা কিছু জেলার খাবারের নাম জানলেও সব জেলার বিখ্যাত খাবার ও বস্তুর নাম জানিনা।

তাই জেনে নিন বাংলাদেশের ৪৮ টি জেলার বিখ্যাত সব খাবারের নাম ও বস্তুর নাম।

০১) চাঁদপুর —ইলিশ এর জন্য বিখ্যাত।
০২) রাজশাহী —আম, রাজশাহী ও সিল্ক শাড়ী এর জন্য বিখ্যাত।
০৩) টাঙ্গাইল —চমচম ও টাংগাইল শাড়ি’র জন্য বিখ্যাত।
০৪) দিনাজপুর—লিচু,কাটারি ভোগ চাল, চিড়া এবং পাপড় এর জন্য বিখ্যাত।
০৫) বগুড়া— দই এর জন্য বিখ্যাত।
০৬) ঢাকা— বেনারসী শাড়ি ও বাকরখানি’র জন্য বিখ্যাত।
০৭) কুমিল্লা —রসমালাই, খদ্দর(খাদী)এর জন্য বিখ্যাত।
০৮) চট্রগ্রাম— মেজবান ও শুটকি’র জন্য বিখ্যাত।
০৯) খাগড়াছড়ি—হলুদ’র জন্য বিখ্যাত।
১০) বরিশাল — আমড়া’র জন্য বিখ্যাত।
১১) খুলনা —সুন্দরবন, সন্দেশ,নারিকেল এবং গলদা চিংড়ি’র জন্য বিখ্যাত।
১২) সিলেট — কমলালেবু, চা,সাতকড়ার আচার’র জন্য বিখ্যাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সফরে এসে সাতকড়ার তরকারী খেয়ে প্রশংসা করেছিলেন এবং সাথে করে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
১৩) নোয়াখালী—নারকেল নাড়ু় ও ম্যাড়া পিঠা’র জন্য বিখ্যাত।
১৪) রংপুর —তামাক ও ইক্ষু (আখ) এর জন্য বিখ্যাত।
১৫) গাইবান্ধা — রসমঞ্জরী’র জন্য বিখ্যাত।
১৬) চাঁপাইনবাবগঞ্জ — আম,শিবগঞ্জের’চমচম, কলাইয়ের রুটি’র জন্য বিখ্যাত।
১৭) পাবনা — ঘি ও লুঙ্গি এবং পাগলাগারদ’র জন্য বিখ্যাত।
১৮) সিরাজগঞ্জ — পানিতোয়া ও ধানসিড়িঁর দই’র জন্য বিখ্যাত।
১৯) গাজীপুর — কাঁঠাল ও পেয়ারা’র জন্য বিখ্যাত।
২০) ময়মনসিংহ— মুক্তা-গাছার মন্ডা’র জন্য বিখ্যাত।
২১) কিশোরগঞ্জ — বালিশ মিষ্টি ও নকশি পিঠা’র জন্য বিখ্যাত।
২২) জামালপুর — ছানার পোলাও ও ছানার পায়েস’র জন্য বিখ্যাত।
২৩) শেরপুর — ছানার পায়েস ও ছানার চপ’র জন্য বিখ্যাত।
২৪) মুন্সীগঞ্জ—ভাগ্য কুলের মিষ্টি’র জন্য বিখ্যাত।
২৫) নেত্রকোনা —বালিশ মিষ্টি’র জন্য বিখ্যাত।
২৬) ফরিদপুর — খেজুরের গুড়’র জন্য বিখ্যাত।
২৭) রাজবাড়ী—চমচম ও খেজুরের গুড়’র জন্য বিখ্যাত।
২৮) মাদারীপুর —খেজুর গুড় ও রসগোল্লা’র জন্য বিখ্যাত।
২৯) সাতক্ষীরা — সন্দেশ’র জন্য বিখ্যাত।
৩০) বাগেরহাট —চিংড়ি,ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুপারি’র জন্য বিখ্যাত।
৩১) যশোর — খই, খেজুর গুড়,জামতলার মিষ্টি’র জন্য বিখ্যাত।
৩২) মাগুরা — রসমালাই’র জন্য বিখ্যাত।
৩৩) নড়াইল —পেড়ো’সন্দেশ, খেজুর গুড় ও খেজুরের রসের’র জন্য বিখ্যাত।
৩৪) কুষ্টিয়া — তিলের খাজা ও কুলফি আইসক্রিম’র জন্য বিখ্যাত।
৩৫) মেহেরপুর — মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব এর জন্য বিখ্যাত।
৩৬) চুয়াডাঙ্গা —পান, তামাক ও ভুট্টা’র জন্য বিখ্যাত।
৩৭) ঝালকাঠি — লবন ও আটা’র জন্য বিখ্যাত।
৩৮) ভোলা —নারিকেল ও মহিষের দুধের দই’র জন্য বিখ্যাত।
৩৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া—তালের বড়া,ছানামুখী ও রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত।
৪০) পিরোজপুর –পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি ও আমড়া’র জন্য বিখ্যাত।
৪১) নরসিংদী— সাগর কলা’র জন্য জন্য বিখ্যাত।
৪২) মৌলভিবাজার — ম্যানেজার স্টোরের রসগোল্লা’র জন্য বিখ্যাত।
৪৩) নওগাঁ — চাল ও সন্দেশের জন্য বিখ্যাত।
৪৪) মানিকগঞ্জ—খেজুর গুড়’র জন্য বিখ্যাত।
৪৫) রাঙ্গামাটি —আনারস,কাঠাল,কলার জন্য বিখ্যাত।
৪৬) কক্সবাজার —মিষ্টিপানের জন্য বিখ্যাত।
৪৭) বান্দরবান— হিল জুস, তামাকের জন্য বিখ্যাত।
৪৮) ফেনী—মহিশের দুধের ঘি, সেগুন কাঠ ও খন্ডলের মিষ্টি’র জন্য বিখ্যাত।

আমাদের লেখাটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে? ভালো লেগে থাকলে এটি শেয়ার করুন।

The post এক নজরে বাংলাদেশের সকল জেলার বিখ্যাত খাবার ও বস্তুর নাম। appeared first on Amar Bangla Post.

বড় ছেলে : গল্পের ওপারে! অনামিকা খুশবু অবনী

$
0
0

যারা ‘বড় ছেলে’ নাটক দেখে টিস্যুবক্স শেষ করে ফেলেছেন তারাও এই বড় ছেলে গল্পটি পড়ে কাঁদবেন।

বাবার প্রথম সন্তান। ছেলে। বাবা শখ করে নাম রাখলেন সুজন। হ্যাঁ, সুজন মাঝির মতই বড় হয়ে একদিন সংসারের হালটাকে শক্ত করে ধরবে বড় ছেলে, এই নির্ভরতায় বারবার ছেলের কপালে চুমু খান বাবা।
মা মৃদু হেসে স্বামীকে বলেন,
“ছেলেটা বেঁচে থাকলেই চলবে গো! আমাদের খাওয়ানোর মালিক তো আল্লাহ!”
বড় ছেলে বড় হতে থাকে প্রথম মাতৃত্ব আর প্রথম পিতৃত্বের সবটুকু সুখ নিয়ে। একদিন দুপুরে কার বাড়ির ছেলেটার দামী রিমোটকন্ট্রোল গাড়ি দেখে চোখে জল আসে বড় ছেলের।
মাটির ব্যাঙ্কটাকে এক আছাড়ে ভেঙ্গে দিয়ে বড় ছেলের চোখের জল মুছে দেন মা।
বড় ছেলে বড় হতেই থাকে। দিন আনা দিন খাওয়া বাবা এলাকার সব থেকে দামি স্কুলটাতে ভর্তি করান বড় ছেলেকে। বড় ছেলের লেটেস্ট ফ্যাশনের টি শার্টের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় বাবার তিনবার তালি দেয়া ছেঁড়া লুঙ্গিটা।
বড় ছেলে আরও বড় হয়। ভার্সিটির ক্যাম্পাসে আড্ডা দেওয়া বড় ছেলের ছোট দুই ভাই তখন সবে প্রাইমারিতে পা রাখা বাচ্চা।
বড় ছেলে টিউশনি করায়।
সে টাকা বাবার কষ্টকে কমিয়ে দেওয়ার জন্য কাজে লাগে না, কাজে লাগে উচ্চবিত্ত বন্ধুদের ট্রিট দিতে।
বড় ছেলে প্রতি মাসে খরচের টাকা পেয়ে যায় যথারীতি। বাবা প্রতি মাসেই অনুরোধ করেন,
“টাকার চিন্তায় পড়াশোনা খারাপ করিস নে বাবা। তোর বাপ এখনও মরে নাই।”
বড় ছেলে ছুটিতে বাড়ি ফেরে। বড় ভাইয়ের দামী জামাকাপড় থেকে আনন্দ হয় ছোট ভাইদের।
আহা! বড় ভাইয়ের চাকরি হলে ওরাও এমন জামা পড়বে!
বড় ছেলে এবার সত্যিই বড় হয়। চাকরি পেয়ে পুরো বাড়িটাকেই মাথায় তোলে বড় ছেলে।
“ছেলেটা সত্যিই বড় হয়ে গেল।”
মা আনন্দে চোখ মোছে। কিন্তু মা জানে না তার বড় ছেলে আরও দু’বছর আগেই বড় হয়ে গেছে।
গোপনে বিয়ে করা বড় ছেলের বউ এখন দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
বড় ছেলের ছেলে হয়।
আহা! কি ফুটফুটে!
নাতিকে কাছে রাখার আনন্দ বেশিদিন সয় না বড় ছেলের বাবার।
ভাল শিক্ষা দিতে হলে ছেলেকে যে শহরে মানুষ করা চাই!
মেঘে মেঘে অনেক বেলা কেটে যায়।
শরীরও শত্রুতা করে বড় ছেলের বাবার সাথে।
বউকে বলে বড় ছেলের বাবা,
“সুজনের মা, ছোট ছেলে দু’টোকে যদি মানুষ করে যেতে পারতাম!”
আঁচলে চোখ মোছে বড় ছেলের মা।
এক সন্ধ্যেয় ফোন আসে বড় ছেলের কাছে।
বড় ছেলে তখন ইংলিশে মিডিয়ামে ভর্তি করানোর জন্য বাচ্চাকে পড়াতে ব্যস্ত। টিউটর, বড় ছেলে আর বউ – তিনজনের চেষ্টায় চান্স না পেয়ে যাবে কোথায়?
বিরক্ত হয়ে ফোন ধরে বড় ছেলে। ওপাশ থেকে ভেসে আসে আধবুড়ো বাবার গলা।
“বাবা সুজন, সবাই ভাল আছো তো? দাদুভাই ভাল আছে?”
— হ্যাঁ বাবা, বলো।
___ বাবা, শরীরটা তো আর চলে না। তোমার মায়ের হাঁপানির টানটাও তো জানো!
— তাড়াতাড়ি বলো বাবা, বাবু পড়তে বসেছে। এই রিমা, এসিটা কমিয়ে দাও। বাবুর ঠান্ডা লেগে যাবে।
দমে যায় বড় ছেলের বাবা। চোখের জল সামলে নিয়ে ধরা গলায় বলে,
“বাবা, তোমার ছোট ভাই দু’টো তো আইএ দেবে এবার। ফরম ফিলাপের নাকি মোটে দুইদিন আছে বাবা। বলছিলাম যে…”
কথা শেষ করার সুযোগ পায় না বড় ছেলের বাবা। আবারও নাকি বাড়ি ভাড়া আর গ্যাস বিলের দাম বেড়েছে।
চোখ মোছে বড় ছেলের বাবা। ছেলেটা তার কত কষ্টে আছে আর সে কি না তারই কাছে টাকা চাইছে!
দাওয়ায় শোয়া অসুস্থ্য মায়ের পাশে বসে থাকা ছোট ছেলে দু’টো কেঁদে ফেলে বাবার অসহায়ত্ব দেখে।
আহা! আজ যদি ওরাই হতো বাবার ‘বড় ছেলে’, হয়ত গল্পটাই বদলে যেতো!

লেখিকাঃ অনামিকা খুশবু অবনী

আরও কিছু গল্প…

০১ বড় মেয়ের বাস্তব গল্প

০২ ছেঁড়া ব্লাউজ- নারী নিগ্রহের গল্প

০৩ বাতিঘর-পাত্রী দেখার গল্প

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে এটি শেয়ার করুন।

The post বড় ছেলে : গল্পের ওপারে! অনামিকা খুশবু অবনী appeared first on Amar Bangla Post.

স্বামী-স্ত্রীর সতর বা লজ্জাস্থান দেখার ক্ষতি

$
0
0

লজ্জাস্থানস্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের  জন্য কোন পর্দা নেই।

স্বামীর সামনে স্ত্রী এবং স্ত্রীর সামনে স্বামী সম্পূর্ণ দেহ আবরণ মুক্ত করা জায়েয আছে।

কিন্তু বিনা প্রয়োজনে এভাবে আবরণমুক্ত হওয়া ভালো নয়।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ

আরবী……….

“উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, হুজুর (সাঃ) ও আমার লজ্জা স্থান দেখতে পান নাই এবং আমিও তাঁর লজ্জাস্থান দেখি নাই।” (মিশকাত)

অপর এক হাদীসে বর্ণিত আছেঃ

আরবী………….

অর্থঃ “হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে, তোমরা স্ত্রী বা আপন দাসীর সাথে সহবাসকালে তাঁর লজ্জাস্থানের দিকে দেখবে না। কারণ, তাতে অন্ধত্ব সৃষ্টি করে।” (জামিউস সগীর)

স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখার ক্ষতি

নির্জনেও অপ্রয়োজনে উলঙ্গ হওয়া উচিৎ নয়। আর স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখা তো এর চেয়েও অধিক লজ্জাজনক।

অনেক চিকিৎসা শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সহবাসের সময় স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখার দ্বারা সন্তান অন্ধ হয়। অবশ্য অন্ধ না হলেও নিলর্জ যে হবে এতে সন্দেহ নেই। এর কারণ, এ বিশেষ মুহূর্তে স্বামী—স্ত্রীর যে আচরণ প্রকাশ পায় সন্তানও সে স্বভাবই প্রাপ্ত হবে।

সহবাসের সময় নিন্মের দো’আ টি পাঠ করা উচিতঃ

আরবী………

“আল্লাহর নামে স্মরণ করে আমি এ কার্যে লিপ্ত হচ্ছি। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তানের হাত হতে হিফাযত করুন এবং আমাদেরকে যা দান করবেন তাকেও শয়তানের হাত হতে হিফাযত করুন।”

 

সহবাস কালে অন্য নারীর কল্পনা-

স্ত্রী সম্ভোগের সময় ইচ্ছকৃত ভাবে অন্য কোন নারীকে সম্ভোগের কল্পনা করা হারাম।

লিখেছেনঃ ডাঃ আদনান আল-তুর্কী

সম্পদনায়ঃ ডাঃ শাহিদা জাহিদ

বিয়ে ও পারিবারিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপদেষ্টা।

সূত্রঃ পরিপূর্ণ স্বামী-স্ত্রীর মধুর মিলন

 

নোটঃ এই বইয়ের লেখকের বক্তব্যের সাথে আমরা একমত নয়। লেখকের এই বইয়ের এই আলোচ্য বিষয়তেই দুইটি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য ফুটে উঠেছে।

প্রথমত্বঃ লেখক এখানে হাদিসের সঠিক সূত্র উল্লেখ করেনি বিধায় এই হাদিস সঠিক, নাকি জাল তা বলা যাচ্ছেনা।

দ্বিতীয়ত্ব ঃ লজ্জাস্থান দেখলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাবে কেনো সেটা আমার  বুঝে আসেনা। স্ত্রীর সাথে সহবাস করা লজ্জার বিষয় নয় শুধু দেখলেই লজ্জার কারণ হয়ে যায় একেমন দ্বিমুখী আচরণ? যাই হোক, স্বামী স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখাদেখি, মুখ-সঙ্গম নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। নিচে তার তালিকা দেওয়া হলো…

০১ স্বামী স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখা হারাম না হালাল

০২ প্রশ্নঃ ওরাল সেক্স (মুখ সঙ্গম) করা কি ইসলামে জায়েয?

আমরা কেনো এটি প্রকাশ করেছি? উত্তরঃ মুসলিম স্বামী স্ত্রীর ইসলামিক যৌন জ্ঞান লাভের জন্য আমরা “পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন” বইটি আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগে প্রকাশ করছি।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, যৌনতা সম্পর্কে আপনার মনের ভুল ধারণা দূর করুন। আমাদের প্রকাশিত যৌন পরামর্শ ও বই গুলোর সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post স্বামী-স্ত্রীর সতর বা লজ্জাস্থান দেখার ক্ষতি appeared first on Amar Bangla Post.


স্বামী স্ত্রীর যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া নিয়ম

$
0
0

স্বামী স্ত্রীর যৌন সঙ্গম কিভাবে শুরু করবেন, কখন শুরু করবেন,

যৌন সঙ্গমকে কিভাবে অধিক আনন্দময় করে তুলবেন “স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন“বই থেকে জেনে নিন যৌন সঙ্গমের গোপন তথ্য।

সঙ্গমের আগে পেট পুরে খাওয়া হলে সঙ্গমকালে আলস্য এবং নিদ্রালুতা সহ অবসন্নতাবোধ জেগে থাকে। সুতরাং সঙ্গমের পূর্বে গ্রহণীয় খাদ্য হতে হবে হালকা ধরনের।

সম্পূর্ণ খালি পেটেও সঙ্গম অনুচিত। তাই ভোরে ঘুম থেকে জাগার পর সঙ্গম না করতে যৌন বিশ্লেষণ ক্রমে অভিমত রয়েছে। অনেকের মতে সঙ্গম শুরু করার মিনিট কয়েক পর বিরতি দিয়ে পেশাব করে এসে পুনরোদ্যমে নতুন কুরে সঙ্গম শুরু করা হলে এ সঙ্গম অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়। অনেকে এ পদ্ধতিতে পূর্ণ সুফল পেয়েছে বলে জানিয়েছে। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাদের অবলম্বিত এ পদ্ধতিটি স্থায়ীভাবে অভ্যাসও করা চলতে পারে।

মানুষের দাম্পত্য মিলনকালে বিরতি দিয়ে পেশাব করতে যাওয়ার মধ্যে বহুবিধ সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে। রাত বিরাতে দরজা খোলার শব্দ করে বাইরে যাওয়া আসায় ঘরের অন্য সদস্যরা জেগে উঠার একটা আশংকা থাকেই। আবার পেশাব করতে যাবার মত মানসিক অবস্থায়ও এ সময় থাকে না।

সঙ্গমকালে লিঙ্গ চালনা করতে করতে বিরতি দিতে হবে। এতেও দেখা যায় যে, স্ত্রীর পক্ষ থেকে আপত্তি থাকে। কেননা স্ত্রীর একাধিক্রমে সুখবোধ অতর্কিতে রহিত হয়ে যাওয়াতে স্ত্রীর বিরক্তি এমন কি সঙ্গমক্রিয়ার প্রতিই স্থায়ী বিতৃষ্ণাভাব জাগতে পারে।

কামনা নামক একটি যৌন পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে তাই এ বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পূর্বে থেকেই খোলাখুলি আলাপ হওয়া দরকার। একই আসনে না মিলে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন ঘটিয়ে কয়েকটি আসনে পরপর  মিলিত হবার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হওয়া উচিত। প্রত্যেক বারে আসনে বদলের সময় স্ত্রীর পছন্দ এবং স্বামীর সম্মতি অথবা স্বামীর পছন্দ আর স্ত্রীর সম্মতি ভিত্তিতে আসন বদল করতে হবে। কোন কোন স্ত্রী স্বামীর দিকে পিছন ফিলে স্বামীর কোলে বসে। এ সময় স্বামী চেয়ারে বসে লিঙ্গ প্রস্তুত রাখে। স্ত্রী তার স্বামীর উত্থিত লিঙ্গের উপর যোনির ভভেজা মুখ লাগিয়ে নিয়ে বসে পড়ে। বসার সাথে সাথেই লিঙ্গ প্রবেশ করে। বলাবাহুল্য এ আসনে স্বামীর সক্রিয় কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। স্ত্রীকেই স্বামীর লিঙ্গ নিজে যোনিতে চাপানোর জন্য উপর নিচে উঠানামা করতে হবে। এ সময় স্বামী শুধুমাত্র স্ত্রীর পিঠে হালকা হালকা কামড় দিতে পারে। স্ত্রীর ভগাঙ্কুর দু’আঙ্গুলে বটিকা প্রস্তুতের মত করতে পারে অথবা এক আঙ্গুলে ঘষতে পারে। সাথে সাথে পিছন দিকে থেকে স্ত্রীর স্তন অধিকার করে রাখতে পারে। এ আসনে স্ত্রীর প্রধান পরিতৃপ্তি হল যোনিতে লিঙ্গ ঘষার ব্যাপারটা সে নিজেই করিয়ে নিবে। সাথে সাথে তারা ভগাঙ্কুর বা শিশ্মাঘাতে স্বামী কর্তৃক একাধিকক্রমে ঘর্ষণ পাচ্ছে। কিন্তু এ আসনে স্ত্রীকে উপর নিচ উঠানামার কষ্টটা একাই করতে হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে স্ত্রী আগ্রহই প্রধান। এ আসন এবং আরো বহু আসনে স্বামী বা স্ত্রীর আপত্তি থাকতে পারে। আবার কোন কোন আপত্তিকর আসনেই কোন কোন সময় সম্মত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

তাই সব সময়ই আসন বদলের ব্যাপারে উভয়ের মধ্যে কথা হওয়া জরুরী। সঙ্গম এমন কোন ব্যক্তিগত কাজ নয় যে, একজন তার ইচ্ছা ও পছন্দ মত সব কিছু করবে, আর অন্যজনের কিছুই বলার নেই।

মূলতঃ প্রতিটি আসনকে নানাভাবে বিচিত্রতা দিয়েই সাফল্যমন্ডিত করা যায়। উপুরে চেয়ারে বসা স্বামীর কোলে পিছন দিক ফিরে বসে যে আসনটির কথা বলা হয়েছে এতেই আরো একটি বৈচিত্র আনা যায়। বৈচিত্রের জন্য দরকার ধীরস্থির গতিতে সঙ্গম করা। বীর্যপাত মুহূর্ত ছাড়া আর কোন সময় দিশেহারা হওয়া উচিত নয়। তাই বৈচিত্র, দীর্ঘস্থায়িত্ব ও হৃদয়িক সুখবোধের জন্য প্রথমেই দরকার ধীরে, সুস্থে সম্পাদন করা দরকার।

দেখুন >> যৌন সঙ্গমের ৩৫ টি আসন ও ছবি

স্ত্রীর পুলক শিহরণ চরমভাবেই চার পাঁচবার করেও লাভ হয়। অর্থাৎ একবার বীর্যপাতে স্বামী যে পুলকবোধ করে তার চেয়ে বেশি পুলক স্ত্রী বোধ করে। পুলকবোধ করার ব্যাপারে স্ত্রীর কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। স্ত্রীর পুলক লাভ ঘটে চার পাঁচ বারে। স্বামী মাঝ পথে নিঃশেষিত হলে স্ত্রীর অশান্তি অতৃপ্তি আর কষ্ট যন্ত্রণার সীমা থাকে না। তাই প্রত্যেক স্বামীর উচিত দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গম ও উভয়ের পুর্ণ পরিতৃপ্তির জন্য ধীরে সুস্থে সঙ্গম করা। আর লিঙ্গ সংযোগের আগে দীর্ঘক্ষণ শৃংগার করা।

পড়ুন >> যৌন সঙ্গমের সময় বাড়ানোর উপায় ও নিয়ম

পড়ুন >> স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম ও সেক্স টিপস

সঙ্গমে আসন বৈচিত্র রয়েছে এবং প্রত্যেক আসনে রয়েছে বহুকাল ও ক্রিয়া। উদাহরণস্বরূপঃ একটি বিশেষ আসনের কথা বলা যায়। স্ত্রী খাটের প্রান্তে নিজ হাঁটুর ভিতর দু’হাত ভরে বসবে। এর ফলে স্ত্রীর নিতম্ব প্রসারিত অবস্থায় হাঁটু সমান্তরালে উঁচু হয়ে থাকবে। এসময়ে স্বামী মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকবে। স্ত্রীর নিতম্বের প্রসার ঘটায় স্ত্রীর যোনি মুখও কিছুটা খুলে যাবে। স্ত্রীর স্তন দুটি অবশ্য অদেখা প্রায় অবস্থায় থাকবে।স্বামী এ সময় স্ত্রীর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করাবে। সাথে সাথে নিচু হয়ে ভগাঙ্কুর ঘষতে পারে। এ আসনে স্ত্রীর যোনি স্পষ্ট ভঙ্গিতে মুখিয়ে থাকে বলে স্বামীর লিঙ্গ যোনি নারীর খুব গভীরে প্রবেশ করে এতে স্ত্রীও অসাধারণ পুলক লাভ করে। পায় অপ্রচলিত এ আসনটি দু’চারবার করে দেখা যেতে পারে।

আসন বৈচিত্রের সাথে সাথে কলা ও কৌশলের কথা । একজন স্ত্রীকে পরিতৃপ্তি করার জন্য তার স্বামীর নৈতিক দায়িত্ব হল কলা-কৌশলে পারদর্শী হওয়া আর আসন বৈচিত্রের জ্ঞান ও অভ্যাস সম্পন্ন হওয়া। কোনক্রমেই হঠাৎ যোনি নালীতে লিঙ্গ ভরে বীর্যপাত করার ফালতু ও মূর্খতাসূচক ধ্যান-ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। লিঙ্গ যোনিতেই চালাতে হবে। তবে সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে বৈচিত্র আর কলা-কৌশল ও উপাচার থাকতে হবেই।

অতি সাধারণ আসনেই স্ত্রীকে নতুনভাবে অনুভব দেয়া সম্ভব। স্ত্রী চীৎ হয়ে শুয়ে তার নিতম্বের নিচে শক্ত বালিশ রাখা। অথবা বালিশটি কোমরের নিচে, আরেকবার নিতম্বের নিচে। এ যে বদল এতই কৌশলগত বৈচিত্র আসে।

হতে পারে স্বামী তার স্ত্রীর নিতম্ব দু’হাতের তালুতে তুলে নিব। এতে স্বামীরও অনির্বচনীয় আনন্দবোধ হবে। কেননা এ কাম-কলাতে তার স্ত্রীর যোনি তার নিজের হাতে উপর রেখে সে সম্ভোগ করছে।

স্ত্রীর যোনিতে দু’হাতে এভাবে উঁচু করে এনে স্ত্রীর পায়ুপথের মুখে বা হাতের একটি আঙ্গুল দিয়ে সুঁড়সুঁড়ি ও চাপ দিলে স্ত্রীর সঙ্গম সুখ হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহ তায়ালা নর-নারীর সামগ্রিক জীবন ধারণ সুখ ও শান্তিতে পরিপুর্ণ করতে চান বলেই যৌনমিলনেও প্রকৃত কোন বাধা রাখেননি। একটি পবিত্র সীমা বলে দিয়ে বাকী সব অবাধ রেখেছেন। বলতে হচ্ছে যে, এটা তার খাস মেহেরবাণী এবং মানব সমাজের জন্য দেয়া বিশেষ নিয়ামত। নির্দিষ্ট দু’জন স্বামী-স্ত্রী আল্লাহর আইনের ধারানুযায়ী পরস্পর তারা পরস্পরের জন্য হালাল ও আকর্ষণীয় হয়ে গেছে।

স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবন প্রকাশ্য যৌনতামুক্ত ও গোপনীয়তায় পবিত্রতা সম্পন্ন হওয়া চাই। যৌন জীবনের সামগ্রিক পরিতৃপ্তি আল্লাহর মেহেরবাণীর উপর নির্ভরশীল। মানুষের যৌনতৃপ্তি সম্পুর্ণরূপে মনোদৈহিক। কোন মানুষই তার জীবনকে আল্লাহর আইনের সীমার বাইরে রেখে আল্লাহর রহমত পেতে পারে না।

বস্তুতঃ যৌনক্রিয়ার সামগ্রিক সুখানুভুতি সম্পর্কে সকলেরই কিছুনা কিছু জানা আছে। কোন কোন বারের সঙ্গমে এমন পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় যে, যা কিনা অনেক দিন ধরে মনে জেগে থাকে।

যারা যৌন বিকৃতির ভিত্তিতে যৌনসুখ পেয়ে বিকৃত পদ্ধতিতে বাধ্য হয়ে পড়ে তাদেরও প্রাথমিক পর্যায়ে চরম আনন্দ পেতে দেখা যায়। কিন্তু এ সুখ, সুখ নয়। এর পরিণতি ভয়াবহ। ভয়াবহ বিকৃত যৌনাচারে চির বাধ্য হয়ে তারা তাদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যৌন বিষয়ে পৃথিবীর অনেক জ্ঞানী গুণীজন প্রভূত বিশ্লেষণ পেশ করেছেন। তাঁরা দেখে গেছেন যে, বিকৃত যৌনতা দ্বারা অনির্বচণীয় সুখ হয়। সে সুখ দিনে দিনে বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করে বিকৃত যৌনচারীকে যৌন ব্যাধি এবং মরণ ব্যাধির দিকে নিয়ে য আয়।

সুতরাং প্রত্যেক দম্পতির কর্তব্য হল যৌনক্রিয়ায় আল্লাহর সীমা রক্ষা করে যাওয়া।

যৌনতা প্রকাশ্য করার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে অতিশয় পুলক লাভ ঘটে। স্ত্রীর মলদ্বার ব্যবহার করেও এ একই রকম সুখ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এতে করে জীবন অকালে ধ্বংস হবার পথ উন্মুক্ত হয় আর পরকালের আযাব তো অশেষ যন্ত্রণাদায়ী এবং স্থায়ী।

সুতরাং সফল সঙ্গম, দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গমও মধুরতম পরিতৃপ্তির জন্য প্রতিটি সঙ্গম ক্রিয়াকে গোপনে সম্পাদন করাও জরুরী। সঙ্গমক্রিয়া স্ত্রীর যোনি পথেই হতে হবে। স্ত্রীর প্রতি গভীর মমতাবোধের মাধ্যমে স্ত্রীকে এবং নিজেকে সুখী কররা উদ্দেশ্যে হতে হবে। প্রতিটি আসন ও কলার ক্ষেত্রে স্ত্রীর সম্মতি এবং পছন্দকে মূল্যায়ণ করতে হবে। দু’জনের প্রাণের টানও থাকতে হবে। স্বামী ও স্ত্রীকে বেহায়পনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।(তথ্য সচিত্র নর-নারী/১৯৬৮)

আপনি পড়ছেনঃ পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই থেকে।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, যৌনতা সম্পর্কে আপনার মনের ভুল ধারণা দূর করুন। আমাদের প্রকাশিত যৌন পরামর্শ ও বই গুলোর সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে এটি শেয়ার করুন।

The post স্বামী স্ত্রীর যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া নিয়ম appeared first on Amar Bangla Post.

মোজার উপরে মাসাহ করার বিধান (হাদিস)

$
0
0

মোজার উপর মাসাহজেনে নিন মোজার উপরে মাসাহ করার বিধান।

রাসূল (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামগণ চামড়ার মোজা পরিধান করতেন এবং অজু করার সময় চামড়ার মোজার উপরেই মাসাহ করতেন।
রাসূল (সাঃ)-মের হাদিস থেকে জেনে নিন মোজার উপরে মাসাহ করার নিয়ম ও সময়সীমা।

67- عَنِالمُغِيْرَةِبْنِشُعْبَةَرَضِيَاللَّهُعَنْهُ،قَالَ:  كُنْتُمَعَالنَّبِيِّصَلَّىاللَّهُعَلَيْهِوَسَلَّمَفِيْسَفَرٍ؛فَأَهْوَيْتُلِأَنْزِعَخُفَّيْهِ؛فَقَالَ: “دَعْهُمَا؛فَإِنِّيْأَدْخَلْتُهُمَاطَاهِرَتَيْنِ”؛فمَسَحَعَلَيْهِمَا.

(صحيحالبخاري،رقمالحديث 206،واللفظله،وصحيحمسلم،رقمالحديث 80 – (274)،).

67- অর্থ: আল মুগীরা বিন শুবা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর সাথে কোনো এক সময়ে সফরে ছিলাম। তাই ওজু করার সময় আমি তাঁর মোজা দুইটি খুলতে চাইলে তিনি বলেন:“ওই দুইটি থাক, আমি পবিত্র অবস্থায় ওই দুইটি পরিধান করেছি”। এই বলে তিনি মোজা দুইটি উপর মাসাহ করলেন।

[সহীহ বুখারী, হাদীস নং 206 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 80 -(274), তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয় পূর্বে 35  নং হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। আরবী ভাষায় চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণকে মোজা বা খুফ বলা হয়।

2। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে মাসাহ করা প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি বিধান। তাই এই ধরণের পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে বাসস্থানে বাস করার অবস্থায় এবংমুসাফির অবস্থায় গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালে মাসাহ করা বৈধ।  চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে মাসাহ করার শর্ত হলো: পরিপূর্ণ পবিত্র অবস্থায় ওজু অথবা গোসল করার পর চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপর মাসাহ করা। সুতরাং এই পদ্ধতিতে পায়ের আবরণ বা মোজা পরিধান করার পর ওজু চলে গেলে উক্ত মোজার বা অবরণের উপরে মুসলিম ব্যক্তির জন্য মাসাহ করা বৈধ। আর এটাই হলো অধিকাংশ ইমাম ও পণ্ডিতদের অভিমত। মহান আল্লাহ তাঁদের প্রতি দয়া করুন।

3। চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে মাসাহ করার সময় শুরু হবে ওজু ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রথম মাসাহ করা থেকে। সুতরাং বাসস্থানে বাস করা অবস্থায় প্রথম মাসাহ থেকে একদিনএকরাতএবংমুসাফির অবস্থায় তিনদিন তিন রাত মাসাহ করা বৈধ।

সূত্র : নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খন্ড

এই হাদীসটি আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। পবিত্র ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন।

The post মোজার উপরে মাসাহ করার বিধান (হাদিস) appeared first on Amar Bangla Post.

আপনি হবেন অনন্য (লাইফস্টাইল টিপস)

$
0
0

অনন্যআপনি সবার মতো না হয়ে অনন্য হোন।

আপনার ভিতরে অন্যদের চেয়ে ভিন্ন বৈশিষ্ট প্রবেশ ও প্রসার ঘটান।

তাহলে অযথা তর্ক এড়িয়ে মানুষের ভালোবাসা ও মন জয় করতে পারবেন।

কিন্তু কিভাবে? জানতে জীবনকে উপভোগ করার ৬ নং পরামর্শটি পড়ুন।

অনেক লোক এমন আছে  যে, তাঁরা কথা বলতে শুরু করলে একটু যেতে না যেতেই তাঁদের এ কথোপকথন তর্কের রূপ নেয়। আবার এমন অনেক লোক আছে যে, তাঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বললেও তাঁদের কথা চলতে থাকে স্বাভাবিক গতিতে ও হাসিমুখে। মূলত কথা বলার দক্ষতা ও যোগ্যতার পার্থক্যের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।

দুজন বক্তা মসজিদে একই বিষয়ে কথা বলছেন। কিন্তু একজনের কথা বলার সময় লোকজন হয়তো ঘুমাতে থাকে, নয়তো তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আবার কেউ কেউ কিছুক্ষণ এদিক সেদিক তাকিয়ে উঠে চলে যায় কিংবা মসজিদের জায়নামায নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে পড়ে। অথচ অপরজনের বয়ানের সময় দেখা যায়, শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় তার আলোচনা শোনে। অপলক দৃষ্টিতে বক্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। শতভাগ মনোযোগ নিবন্ধ রাখে। এমন কেন হয়? কেন একজনের আলোচনার সময় থাকে পিনপতন নীরবতা, অপলক দৃষ্টি, নিবিড় মনোযোগ আর অপরজনের আলোচনার সময় নড়াচড়া, কথাবার্তা কিংবা মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠে মগ্নতা? বস্তুতঃ কথা বলার যে বিশেষ কলা-কৌশল রয়েছে তা প্রয়োগের পার্থক্যের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।

কোনো কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যখন তিনি মাসরাসার করিডোর দিয়ে  হাঁটেন তখন ছাত্ররা গভীর উৎসাহ নিয়ে একের পর একজন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। কেউ মোসাফাহা করে। কেউ পরামর্শ চায়। আবার কেউ কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। তিনি নিজ কামরায় বসে ছাত্রদের আসার অনুমতি দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো কামরা ভরে যায়। সবাই তার কাছে একটু বসতে  ভালোবাসে।

অথচ অনেক শিক্ষক এমনো আছেন যে, তিনি আসলে কেউ তার সাক্ষাতে এগিয়ে আসে না। হাঁটেন তো একা একা। মসজিদ থেকে এব্র হন একা। কেউ হাসিমুখে এগিয়ে এসে তাঁকে সালাম করে না। পরামর্শ চাইতেও কেউ আসে না। কেউ তার কাছে কোনো অভিযোগও নিয়ে আসে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা আর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চব্বিশ ঘন্টা কামরা খুলে বসে থাকলেও কেউ তার কাছে আসে না। তার কাছে একটু বসতে চায় না। কেন এমন হয়?

মানুষের সঙ্গে আচরণগত দক্ষতার পার্থক্যের কারণেই এমন হয়ে থাকে।

অনেক লোক এমন আছে যাকে দেখলে সবাই আনন্দিত হয়। সবাই কামনা করে, তিনি যেন তার পাশেই বসেন। অথচ অনেক লোক এমন আছে যিনি আসলে কেউ তার দিকে ফিরেও তাকায় না। কেউ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় না। কেউ তার সাথে করমর্দন করলেও তা হয় নিরস ভঙ্গিতে। কেউ তাঁকে বসার জায়গা দেয় না কিংবা নিজের পাশে বসার জন্য ডাকেও না।

কেন এমন হয়?

মানুষকে আপন করে নেয়া এবং অন্যদের মাঝে প্রভাব বিস্তার করার যোগ্যতার তারতম্যের কারণেই এমন হয়ে থাকে।

একজন পিতা বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে তার সন্তানেরা খুশিতে তার দিকে দৌড়ে আসে। আরেকজন পিতা বাড়িতে আসলে সন্তানদের মধ্যে কোন অনুভুতি বা ভাবাবেগ জন্মে না। তাঁরা দৌড়ে এসে তার কাছে ঝাঁপিয়ে পড়ে না। সন্তানদের সঙ্গে আচরতণ গত কৌশলের পার্থক্যের কারণেই এমন হয়।

মানুষের সঙ্গে আচার-আচরণ, লেনদেন ও সকলকে আপন করে নেয়ার যোগ্যতা সবার এক রকম নয়। কেউ কেউ তো প্রথম পরিচয়ের সাথে সাথে অন্যকে আপন করে নিতে পারে। অবশ্য সবাই তা পারে না। তবে মানুষকে আপন করে তাঁদের হৃদয় জয় করা আপনি যত কঠিন কাজ বলে মনে করেন বাস্তবে তা তত কঠিন নয়।

আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আমি দেখেছি, সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে বেশিরভাগ মানুষেরই মন জয় করা সম্ভব। তবে শর্ত হলো, সে পদ্ধতিগুলো প্রথমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করতে হবে। এরপর যথাযথভাবে সেগুলোকে প্রয়োগ করতে হবে। এর ফলে আমাদের অজান্তেই অন্যরা আমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে আমার জীবনের একটি বাস্তব ঘটনা আপনার কাজে লাগতে পারে।

প্রায় তের বছর যাবৎ একটি সামরিক কলেজের মসজিদে আমি ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। মসজিদের যাওয়ার পথে একটি গেট আছে। একজন নিরাপত্তা কর্মী সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব ছিল গেট খোলা ও বন্ধ করা। গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় ও বের হওয়ার সময় সবসময় তাঁকে দেখে আমি মুচকি হাসতাম এবং সালাম করতাম। কিন্তু এক সময় আমার ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেল। এ কারণে তখন আমি আমার মুঠোফোন অনেক সময় সাইলেন্ট করে রাখতাম। ফলে আমার মুঠোফোনে অসংখ্য এসএমএস ও মিসডকল উঠে থাকত। মসজিদ থেকে ফেরার পথে গাড়িতে বসে আম সেগুলো পড়তাম। এ লারনে সে সময় তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেয়া বা সালাম করা সম্ভব হয়নি।

কিন্তু দারোয়ান বেচারা গেট খুলে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। একদিন হঠাৎ বের হওয়ার সময় আমাকে থামিয়ে সে বললো, “শায়খ! আপনি কি কোনো কারণে আমার প্রতি রাগ করেছেন?’

আমি বললাম, ‘না তো! কী জন্য?’

সে বললো, ‘আপনি আগে যখন প্রবেশ করতেন তখন আমাকে হাসিমুখে সালাম দিতেন। অথচ এখন বের হওয়ার সময় হাসিও দেন না, সালামও দেন না।’

দারোয়ান ছিল সাদাসিধে প্রকৃতির মানুষ। আমার আচরণের কারণে নিজের অজান্তেই সে আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। তাই আমার কাছ থেকে আগের মতো আচরণ না পেয়ে সে দুঃখিত হয়েছিল। আমি তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আমার ব্যস্ততার কারণ বুঝিয়ে বললাম।

সেদিন বুঝলাম, মানুষকে আপন করে নেয়ার দক্ষতাগুলো যখন আমাদের সহজাত গুণে পরিণত হয়, তখন আমরা অমনোযোগী থাকলেও অন্যরা সেগুলো গভীরভাবে লক্ষ্য করে।

আলোকপাত…

সম্পদ অর্জন করতে গিয়ে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না, সম্পর্কের পথ ধরেই সম্পদ লাভ হয়।

আপনি পড়ছেন “জীবনকে উপভোগ করুণ” বাংলা বই থেকে।

The post আপনি হবেন অনন্য (লাইফস্টাইল টিপস) appeared first on Amar Bangla Post.

তৃপ্তিজনক সঙ্গম ক্রিয়া লাভের উপায়

$
0
0

“তৃপ্তিজনক সঙ্গম ক্রিয়া লাভের উপায় ও কলাকৌশল জানুন ও শিখুন

“স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ও আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগে প্রকাশিত সাম্প্রতিক যৌন টিপস গুলো থেকে।”

বই থেকে

সঙ্গম ক্রিয়াআল্লাহ বলেনঃ আমি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছি। আল্লাহ পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করেন পরস্পরের সম্মিলিত মানব সমাজ পরিচালনার জন্য। তার এ পবিত্র উদ্দেশ্যের প্রতি একটি আঘাত হল হস্তমৈথুন ও সমমৈথুন। যে পুরুষ বা নারী হস্তমৈথুন করে তারা আল্লাহর আইন ভঙ্গ করে এ আইন ভঙ্গকারীরা কোনক্রমেই পরিপূর্ণ যৌন তৃপ্তি পেতে পারে না।

যারা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে এবং সমকামের নিয়মিত অভ্যাসে তৃপ্তি পায় তারা সঙ্গমের আনন্দ সুখ মধুর স্বাদ আর অনাবিল তৃপ্তি কখনোই পায় না।

সফল সঙ্গম হতে পারে একজোড়া দম্পতির প্রতিবারের সঙ্গম। যদি তারা যিনা, হস্তমৈথুন ও সমকাম থেকে বিরত থাকতে পারে। আল্লাহ সর্বপ্রদাতা এবং সব কিছুর নিয়ন্ত্রণকারী। আল্লাহ আমাদেরকে কার্য সম্পাদনের হক ও সামর্থ দান করেছেন। তিনি তার নিজ কুদরাতি হাতে রেখেছেন কর্মফল।

সুতরাং সফল সঙ্গম বা সঙ্গমের সুফল শরীর ও মন দিয়ে উপভোগ করার জন্য বেপর্দা সহ সকল যৌন অবিচার ও অপরাধ বর্জন করে পবিত্র জীবন-যাপনের শপথ নিয়ে এবং পালন করে আল্লাহকে খুশী রাখতে হবে।

আপনি পড়ছেন : পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন (ইসলামিক যৌনজ্ঞানের বই) থেকে।

এরপর পড়ুন : স্বামী স্ত্রীর যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া নিয়ম

আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগে প্রকাশিত যৌন টিপস থেকে।

যৌন সঙ্গমে যৌন তৃপ্তি লাভের উপায়…

বেশ কিছু কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের যৌন সঙ্গমকে তৃপ্তিজনক করে তুলতে পারেন। তৃপ্তিজনক সঙ্গম ক্রিয়া লাভের উপায় গুলো জানুন।

০১ যৌন আলিঙ্গন বা আদর সোহাগ

যৌন সঙ্গম শুরু করার আগে একে-অপরকে আদর সোহাগের মাধ্যমে যৌন সঙ্গমে অনেক বেশি আনন্দ ও সুখানুভব লাভ করা যায়। তাই যৌন সংগমের মূল পর্ব শুরু করার আগে পারস্পরিক আদর সোহাগের মাধ্যমে দেহে পুর্ণ মাত্রায় যৌন উত্তেজনা জাগ্রত করে নিতে হবে। এই কলা-কৌশলটি শিখতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পড়ুন >> স্বামী স্ত্রীর আদর সোহাগের প্রকারভেদ ও নিয়ম

 

০২ যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করুন।

তৃপ্তিজনক সঙ্গমক্রিয়া লাভ করতে যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করার প্রয়োজন। যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করার ফলে যৌন সঙ্গম করে স্বামী স্ত্রী উভয় যৌন তৃপ্তি লাগ করতে পারে নয়তো স্ত্রী যৌন সংগমের তৃপ্তি লাভ করা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বেশি সময় ধরে যৌন সঙ্গম করে আপনি ও আপনার স্ত্রীর যৌন সঙ্গমের আনন্দ ও সুখানুভূতি উপভোগ করুন। যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করতে নিচের কলা-কৌশলটি পড়ুন।

পড়ুন : যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করার ১৩ টি গোপন উপায়

 

০৩ তৃপ্তিজনক সঙ্গম ক্রিয়া লাভের আসন

সঙ্গম ক্রিয়ায় অধিক তৃপ্তি লাভ করতে প্রতিবারে একই আসনে যৌন সঙ্গম না করে বরং আপনাদের যৌন সঙ্গমের আসন বদল করুন। এতে যৌন সঙ্গমের একঘেয়েমী দূর হবে এবং নারী পুরুষ উভয়ের যৌন সঙ্গমের আনন্দ বৃদ্ধি পাবেন। যৌন সঙ্গমের বহু আসনের মধ্যে এমন কিছু যৌন সঙ্গমের আসন আছে যেসব আসন নারীদের যৌন সঙ্গমের পূর্ণ তৃপ্তি লাভের সাহায্য করে। নারীদের যৌন সঙ্গমের তৃপ্তি লাভ হয় এমন সাতটি যৌন সঙ্গমের আসন সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পড়ুন : সাতজন নারীর যৌন সঙ্গমের তৃপ্তি লাভের গল্প ও আসন (ছবি সহ) 

 

০৪ যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর প্রাকৃতিক খাবার।

যৌন সঙ্গমে তৃপ্তি লাভ করতে দেহে যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর প্রয়োজন। আপনাদের দেহে যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে নিতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমেই। তাই জেনে নিন এমন কিছু খাবারের নাম যা খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনাদের দেহে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর খাবার গুলোর সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পড়ুন : দেহে যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর খাবারের নাম

সংযোজন ঃ সৈয়দ রুবেল। (সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট)

লেখাটি পড়ার জন্য আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের লেখিত ও প্রকাশিত আর্টিকেল, বই ও লাইফস্টাইল টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল-বই ও টিপস সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post তৃপ্তিজনক সঙ্গম ক্রিয়া লাভের উপায় appeared first on Amar Bangla Post.

বেশি বিপদের গর্ভ –পরীক্ষা ও চিকিৎসা

$
0
0

বেশি বিপদের গর্ভযেসমস্ত ক্ষেত্রে গর্ভজনিত কারণে মা বা শিশুর মৃত্যু বা রোগগ্রস্ততার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে তাঁকে বেশি বিপদের গর্ভ বলে।

প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে অন্তঃসত্বা অবস্থায় এই সমস্যা দেখা যায়।

উন্নত বিশ্বে গর্ভজনিত কারণে মায়েদের মৃত্যু সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ্বে মা ও শিশুর মৃত্যুহার এখনও আশ্চর্যরকমভাবে বেশি। মা ও শিশুমৃত্যুর কারণগুলি গর্ভাবস্থায় আগে থেকে থাকতে পারে অথবা গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে, প্রসবের সময় বা তাঁর পরে সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভ ও প্রসবজনিত জটিলতাগুলির বেশিরভাগই সৃষ্টি হয় বেশি বিপদের গর্ভ থেকে। এই জন্যই বেশি বিপদের গর্ভের সম্ভাবনাগুলি ম,আথায় রেখে গর্ভাবস্থায় পরিচর্যার গুরুত্ব অনেকখানি।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়যে, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতিবছর গর্ভজনিত কারণে প্রায় ৬ লক্ষাধিক মা মারা যান এবং ৯০ লক্ষাধিক রোগগ্রস্ততায় ভোগেন। অন্য দৃষ্টকোণ দিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১১০ জন মা গর্ভজনিত জটিলতায় ভোগেন এবং তাঁদের মধ্যে একজন মারা যান। ভারতবর্ষে প্রতি বছর প্রায় দেড় লক্ষ নারী মা হতে গিয়ে মারা যান। ভারতবর্ষে গর্ভজনিত কারণে মায়েদের মৃত্যু উন্নত বিশ্বের তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গুণ বেশি। উন্নয়নশীল বিশ্বের একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন, তখন শুধু এর জন্যই তাঁর মৃত্যুর বিপদ কোনো ক্ষেত্রে প্রায় ৫  থেকে ১০০ গুণ বেড়ে যায়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, মা হতে গিয়ে  ভারতবর্ষে প্রতি ১ লক্ষ নারীর মধ্যে ৩৪০ জন মারা যান, সেখানে উন্নত বিশ্বে, যথা—ইংল্যান্ড, আমেরিকা, সুইডেন প্রভৃতি দেশে এর হার ১০-এর নীচে। উন্নয়নশীল বিশ্বে শিশুরমৃত্যুর হারও উন্নত বিশ্বের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।

বেশি বিপদের গর্ভ বাছাই করা

গর্ভের কারণে মায়েদের মৃত্যু-সংখ্যা কমানোর জন্য এটি একটি সঠিক পদক্ষেপ। গর্ভবতী মায়েদের পরিচর্যার শুরুতেই বেশি বিপদের গর্ভগুলি চিহ্নতকরণ দরকার। গ্রামাঞ্চলের গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক  স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী বা উপযুক্ত ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী বেশি বিপদের গর্ভগুলি চিহ্নতকরণ করতে পারেন। বেশি বিপদের গর্ভগুলি এই প্রকারঃ

  • মায়েদের বয়সঃ ২০ বছরের নীচে বা ৩৫ বছরের বেশি বয়সে গর্ভধারণ সবসময়ই বেশি বিপদের গর্ভ। ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে গর্ভধারণ বেশি নিরাপদ। গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে ভালো বয়স হল ২৩ থেকে ২৬ বছর।
  • উচ্চতাঃ ৪ ফুট ১০ ইঞ্চির কম উচ্চতা হলে বেহসি বিপদের গর্ভ হিসাবে ধরা হয়।
  • ওজনঃ মায়ের ওজন অতিরিক্ত হলে তা বেশি বিপদের গর্ভ।
  • অনুর্বরতার পর গর্ভধারণঃ বেশিদিন ধরে অনুর্বরতার পর গর্ভধারণ হলে তা বেশি বিপদের গর্ভ।
  • গর্ভপাতের ইতিহাসঃ যখন দুই বা ততোধিক গর্ভপাতের পর গর্ভধারণ হয়, তা বেশি বিপদের গর্ভ।
  • পূর্ববর্তী গর্ভের ইতিহাসঃ প্রথম স্বাভাবিক ও প্রসব স্বাভাবিক হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গর্ভ এবং প্রসবের বিপদ সবচেয়ে কম থাকে। পঞ্চম বা তাঁর বেশি গর্ভের বিপদ অনেক বেশি।
  • অপারেশনের পর গর্ভধারমঃ জরায়ু, সার্ভিক্স বা প্রস্রাবথলির অপারেশনের পর গর্ভধারণ বেশি বিপদের গর্ভ।
  • পূর্ববর্তী গর্ভের ইতিহাস খারাপ থাকলেঃ পূর্বে মায়ের পেটে শিশু মারা গেলে, জন্মের অল্পদিনের মধ্যে শিশু মারা গেলে, ৩৭ সপ্তাহের আগে প্রসব, গর্ভের অনুপাতে কম ওজনের শিশুর জন্ম, শিশুর ওজন ২.৫ কেজির কম বা ৪ কেজির বেশি হলে বর্তমান গর্ভ বেশি বিপদের বলে ধরে নেওয়া হয়।
  • গর্ভে শিশুর অস্বাভাবিক অবস্থিতি থাকলে তা বেশি বিপদের গর্ভ।
  • গর্ভের কারণে রোগ, যথা—প্রি এক্লাম্পসিয়া, এক্লাম্পসিয়া, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তক্ষরণ বেশি বিপদের গর্ভের ইঙ্গিত দেয়।
  • মায়ের হার্টের রোগ, ফুসফুসের রোগ, উচ্চরক্তচাপ, মধুমেহ রোগ, মৃগী ইত্যাদি থাকলে তা বেশি বিপদের গর্ভ।
  • রক্তের গ্রুপঃমায়ের গ্রুপ নেগেটিভ ও স্বামীর গ্রুপ পজিটিভ থাকলে। এক্ষেত্রে গর্ভশয্যায় শিশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।
  • পারিবারিক ইতিহাসঃ নীচু আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পরিবারের কারও দুই বা ততোধিক শিশু জন্মানোর ইতিহাস থাকলে তা বেশি বিপদের গর্ভ বলে পরিগণিত হবে।

বেশি বিপদের গর্ভের জন্য ব্যবস্থাপনা

  • বেশি বিপদের গর্ভ চিহ্নিতকরণ ও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, প্রসবের সময় এবং পরে মা ও শিশুর উপযুক্ত যত্ন নেওয়া খুব জরুরী।
  • প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের গর্ভবর্তী মায়েদের যত শীঘ্র সম্ভব পরীক্ষা করে বেশি বিপদের গর্ভগুলিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে মহকুমা, জেলা বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা একান্ত দরকার।
  • যে-সমস্ত রোগীর পূর্বের গর্ভধারণ ফলপ্রসূ হয়নি, তাঁদের রোগ অনুসন্ধান পরবর্তী গর্ভধারণের আগেই করা উচিত। জরায়ুতে জন্মগত বা গঠনগত ক্রটি আছে কি না তা আল্ট্রাসাউন্ড বা এইচ.এস.জি. করলে বোঝা যায়।
  • এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির রোগ, থাইরয়েডের ক্রটি ইত্যাদি জন্যও সম্পূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হয়।

নিয়ম মাফিক পরীক্ষা

+রক্তপরীক্ষাঃ রক্তের গ্রুপ, হিমোগ্লোবিন, শর্করার পরিমাণ, যৌনরোগ আছে কি না তার জন্য ভি.ডি.আর.এল. পরীক্ষা করা হয়। রোগীর ইতিহাস শুনে কোনোরকম সন্দেহ হলে এডস-এর জন্য রক্তপরীক্ষা করা বিশেষ দরকার। কারণ একটি সমীক্ষায় অনুমান করা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি হাজার প্রসূতির মধ্যে তিন-চার জন এডস (H.IV.) সংক্রামিত। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

+প্রস্রাব পরীক্ষাঃ প্রস্রাবের কোনো সংক্রমণ আছে কি না তা দেখার জন্য। এছাড়াও স্থানবিশেষে আল্ট্রাসোনোগ্রাফী, কোরিয়নিক ভিল্লাস-এর বায়োপসি, অ্যামনিওসিন্টেসিস ইত্যাদি পরীক্ষা জরুরী যখন শিশুর জিনগত ক্রটি বা বিকলাঙ্গ হতে পারে বলে ভাবা হয়।

তাছাড়া প্রসূতিকে খাদ্য, বিশ্রাম, ওষুধ, যৌন #সহবাস , ভ্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক উপদেশ দেওয়া হয়।

চিকিৎসা

স্ত্রীরোগ ও শিশু-বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অ্যানাস্থেটিক ডাক্তার অর্থাৎ রোগীকে অজ্ঞান করানোর চিকিৎসক রয়েছে,  এমন চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রসব করানো দরকার। দরকার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন প্রসবগার, ভালো অপারেশন থিয়েটার ও নবজাত শিশুর জন্য ইনকিউবেটর ও জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভালো ব্যবস্থা সম্পন্ন হাসপাতাল যেখানে প্রয়োজনে জীবনদায়ী ও জরুরী ওষুধপত্রও পাওয়া যাবে। কারণ বেশি বিপদের গর্ভের ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রসূতির সিজার করার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনে শিশুর নিরাপদের কথা ভেবে বহু ক্ষেত্রে গর্ভের ৩৭-৩৮ সপ্তাহে প্রসব করানো হয়। প্রসবের সময় বেশি সতর্কতার সঙ্গে প্রসবের অগ্রগতি লক্ষ্য করা হয়।

আপনি পড়ছেন : গর্ভবতী মা ও সন্তান বই থেকে।

লেখকঃ ডাঃ অবিনাশ চন্দ্র রায়। ( স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ)

এই বই থেকে পূর্বে প্রকাশিত আর্টিকেল সমূহ…

06 গর্ভাবস্থায় ওষুধ

07 গর্ভাবস্থায় এক্স-রে

17 দেরিতে মা হওয়ার বিপদ

22 ভ্রূণের লিঙ্গ (ছেলে না মেয়ে) নির্ধারণ

26 নকল গর্ভ

লেখাটি পড়ার জন্য আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের লেখিত ও প্রকাশিত আর্টিকেল, বই ও লাইফস্টাইল টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল-বই ও টিপস সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post বেশি বিপদের গর্ভ – পরীক্ষা ও চিকিৎসা appeared first on Amar Bangla Post.

হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাসের আরও কিছু মাসআলা

$
0
0

হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাসের আরও কিছু মাসআলা পড়ুন “পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন” বই থেকে।

মাসআলাঃ হায়েয অবস্থায় স্ত্রীর নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত দেহাংশ দেখা বা স্পর্শ করা জায়েয নেই। (বয়ানুল কুরআন)

মাসআলাঃ হায়েয অবস্থায় পুরুষের জন্য স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েয নেই। তাছাড়া অন্য সকল কাজ যেমন, এক সাথে পানাহার করা, শুয়া—বসা ইত্যাদি জায়েয আছে। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ স্ত্রীর হায়েয অবস্থায় আনন্দ গ্রহণ উভয় পক্ষ থেকে হতে পারে। স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হতে আনন্দ গ্রহণের মাসআলাটি পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। বাকি স্ত্রী যদি স্বামী হতে আনন্দ গ্রহণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে মাসআলা হল স্ত্রী স্বামীর সম্পূর্ণ দেহটিই দেখতে স্পর্শ করতে এবং তার চুম্বন গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু সে তার নিজের নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত অংশ দ্বারা স্বামির দেহের কোন অংশই করতে পারবে না। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ  হায়েয বা নিফাস অবস্থায় স্ত্রীর নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত দেহাংশ দেখা, কোন আবরণ ছাড়া নিজের  দেহের সহিত মিলান এবং সহবাস করা হারাম।

মাসআলাঃ হায়েয বা নিফাস অবস্থায় স্ত্রীকে  চুম্বন করা বা তার চুম্বন গ্রহণ করা স্ত্রীর ঝুটা পানি পান করা, তাকে জড়ায়ে ধরে শয়ন করা এবং তার নাভি হতে দেহের উপরের অংশ বা হাঁটু হতে দেহের নীচের আবরণমুক্ত অবস্থায় স্পর্শ করা  বা নিজের দেহের সাথে মিলান জায়েয আছে। বরং হায়েযের কারণে স্ত্রী হতে পৃথক হয়ে শয়ন করা বা তার সাথে উঠা—বসা ত্যাগ করা মাকরূহ। (বেহেশতী জেওর)

আপনি পড়ছেন : পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন (ইসলামিক যৌনজ্ঞানের বই)

হায়েয অবস্থায় যৌন উত্তেজনায় করনীয়

মেয়েদের হায়েয চলাকালিন দেহে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। আবার পুরুষদের এমন অনেক পুরুষ আছে যারা স্ত্রীর হায়েয (মাসিক) চলাকালিন স্ত্রী সহবাসের বিরত থাকার ধৈর্যধারণ করতে পারেনা। অনেকে উত্তেজনায় প্রবল হয়ে হায়েয চলাকালিন নিষিদ্ধ সহবাস করে ফেলে। তবে হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস না করেও যৌন আনন্দ উপভোগ করা যেতে পারে বা স্বামীর যৌন উত্তেজনায় স্ত্রী এবং স্ত্রীর যৌন উত্তেজনায় স্বামী পুলক লাভের সাহায্য করতে পারে। তাই জেনে নিন হায়েয অবস্থায় স্বামীর যৌন উত্তেজান ও স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণের বিকল্প উপায় সমুহ।

০১ হায়েয চলাকালিন স্বামীর যৌন উত্তেজনা নিবারণের নিয়ম

নারীর হায়েয অবস্থায় সহবাস নিষিদ্ধ থাকলেও স্বামীর যৌন উত্তেজনা নিবারণে স্ত্রী স্বামীকে সাহায্য করতে যৌন সহবাস করা ব্যতিতই। তাই হায়েয চলাকালিন স্বামী ধৈর্য ধরে রাখতে না পারলে বিকল্প নিয়ম প্রয়োগের মাধ্যমে স্বামীকে যৌন আনন্দ লাভ করাতে পারেন। হায়েয চলাকালিন স্বামীকে যৌন আনন্দ লাভ করার উপায় জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পড়ুন : হায়েযের সময় স্বামীকে যৌন আনন্দ দেওয়ার নিয়ম

০২ হায়েযের সময় স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা নিবারণের নিয়ম

হায়েয চলাকালিন প্রায় সময় নারীদের দেহে যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং তারা যৌনতা লাভে চরম আগ্রহী হয়ে উঠে। তবে স্বামী চাইলেই হায়েযের সময় স্ত্রীর যৌনতা লাভের জন্য সাহায্য করতে পারে সহবাস না করেই। হায়েযের সময় স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা লাভের সাহায্য করতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পড়ুন : হায়েযের সময় স্ত্রীকে যৌন আনন্দ দেওয়ার নিয়ম

সংযোজন ঃ সৈয়দ রুবেল। (সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট)

লেখাটি পড়ার জন্য আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের লেখিত ও প্রকাশিত আর্টিকেল, বই ও লাইফস্টাইল টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল-বই ও টিপস সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাসের আরও কিছু মাসআলা appeared first on Amar Bangla Post.

সহবাসের নিয়ম

$
0
0

সহবাসের নিয়মসহবাস সর্বাবস্থায় নারীদের যৌনাঙ্গেই হওয়া উচিৎ। কারণ, স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত্র স্বরূপ। আর বীর্য হল বীজ এবং সন্তান হল ফসল। মানুষের জন্য যেমন নিজের ফসলের জমিতে যেভাবে ইচ্ছা যাওয়ার অনুমতি আছে, তদ্রূপ যে কোন পন্থায় আপন স্ত্রীর কাছে গমনও বৈধ। অর্থাৎ, কামশাস্ত্রে বর্ণিত বিভিন্ন আসনে স্ত্রীসম্ভোগ করার অনুমতি আছে। তবে সর্ববস্থায়ই গমন করতে হবে ক্ষেত্রে হিসেবে নির্দিষ্ট স্ত্রীর যোনি পথে।

কারণ,  পায়ুপথ একান্তই মল নিঃসারণের জন্য  নির্ধারিত। ক্ষেত্রের সাথে এর কোনই সামঞ্জস্যতা নাই। স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করা ইসলামে হারাম।

অনেকেই উত্তেজনাবশতঃ হায়েয অবস্থায় এ পথে অগ্রসর হয় তাদের জেনে রাখা উচিৎ, এটিও অত্যন্ত গুনাহের কাজ।

এরপর পড়ুন >> স্ত্রী সহবাসের দ্বারা নেকি লাভ হয়

আপনি পড়ছেন : পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন (ইসলামিক যৌনজ্ঞানের বই)

সহবাস কিভাবে শুরু করবেন?

 সহবাস কিভাবে শুরু করবেন তা শিখুন। স্বামী স্ত্রীর যৌন সহবাসের পূর্ণ আনন্দ ও যৌন তৃপ্তি লাভ করতে সহবাসের আগে, সহবাসের সময় ও সহবাসের পর করনীয় সমূহ জানুন। এই যৌন সহবাসের টিপস গুলো আপনাদের সহবাসের তৃপ্তি লাভে সাহায্য করবে। স্ত্রী সহবাসের পাঁচটি পরামর্শ ও নিয়ম জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

 

সংযোজন ঃ সৈয়দ রুবেল। (সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট)

লেখাটি পড়ার জন্য আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের লেখিত ও প্রকাশিত আর্টিকেল, বই ও লাইফস্টাইল টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল-বই ও টিপস সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post সহবাসের নিয়ম appeared first on Amar Bangla Post.


দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

$
0
0

দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যাপ্রশ্নঃ আমার নতুন বিয়ে হয়েছে।

সহবাসের সময় স্বামী ১ বা ২ মিনিটের ভিতরেই বীর্যপাত হয়ে যায়। কি করবো?

আমাদের নিকট প্রশ্ন পাঠানোর জন্য বোন আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের পুরো প্রশ্নের উত্তরটি মন দিয়ে পাঠ করুন।

উত্তর : দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যাটি দুই কারণে ঘটতে পারে।

  • নতুন দাম্পত্য জীবনের কারণে।
  • যৌন দুর্বলতার কারণে।

এক. বিয়ের প্রথম মাস ছয় মাস পর্যন্ত সকল পুরুষই সহবাসের সময় কম পায়। নতুন সেক্স লাইফে প্রবেশের ফলে এবং সঙ্গিণীকে কাছে থাকার বলে পুরুষেরা তুলনার চেয়ে অধিক উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং সহবাস চলাকালিন উত্তেজনা ধরে রাখতে পারে না।  জীবনের প্রথম সহবাস করার ফলে পুরুষের লিঙ্গের ঘর্ষণ অনুভূতি বেশি লাভ করে এবং অধিক উত্তেজিত থাকার ফলে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে যায়। কিন্তু এটি মাস ছয়কের ভিতরেই ঠিক হয়েছে। কেননা, ততদিনে লিঙ্গের ঘর্ষণ অনুভূতি ধীরে ধীরে কমে আসে এবং দেহে যৌন উত্তেজনাও কমে যায়। যার ফলে প্রাথমিক অবস্থায় চেয়ে পরবর্তী দিন গুলোতে পুরুষেরা তাদের যৌন উত্তেজনা বেশী সময় ধরে রাখতে সক্ষম  হয়।

যৌন সমস্যা সমাধানের উপায়…

কিছু প্রাকৃতিক উপায় প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার স্বামীর যৌন দুর্বলতার সমস্যা সমাধান করে সহবাসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।

০১ স্বামী দ্রুত বীর্যপাত রোধে স্ত্রীর সাহায্য

হ্যাঁ, আপনার স্বামীর দ্রুত বীর্যপাত রোধে আপনিও সাহায্য করতে পারেন। যৌন বিজ্ঞানী ড. হ্যাভলক এলিস তার নারী পুরুষের সেক্স লাইফ বইতে লিখেছেন এই পরামর্শ। তাই আপনার স্বামীর দ্রুতঃপতন রোধে ড. হ্যাভলক এলিসের পরামর্শটি প্রয়োগ করুন।

পড়ুন : স্বামীর দ্রুত বীর্যপাত প্রতিকারে স্ত্রীর ভূমিকা

০২ দ্রুত বীর্যপাত প্রতিকারে স্বামীর ভূমিকা

যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত রোধে আপনার স্বামীও বেশ কিছু সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। ১৩ টি উপায় প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার স্বামী দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে সহবাসের সময় বৃদ্ধি করে নিতে পারে। দ্রুত বীর্যপাত রোধে ১৩ টি উপায় জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পড়ুন : দ্রুত বীর্যপাত রোধে ১৩ টি সহজ উপায়

০৩ যৌনতার বৃদ্ধির খাবার

প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার স্বামীর যৌন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারেন। আপনার স্বামীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবার গুলো রাখুন, ধীরে ধীরে যৌন দুর্বলতা কমতে শুরু করবে। যৌন দুর্বলতা রোধে বেশ কিছু খাবারের তালিকা আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগে রয়েছে। আপনি সবগুলো খাবারের তালিকা পড়তে নিচের বিভাগে যান।

দেখুন : যৌনতা বাড়ানোর খাবারের তালিকা

দুই. বিবাহের পূর্বের যৌন দুর্বলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে নতুন বিয়ের পর সহবাসের সময় দ্রুত বীর্যপাত ঘটে যায়। আর এরূপ হয়ে থাকলে আপনার স্বামীর উচিত একজন যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরামর্শ ও  চিকিৎসা নেওয়ার। একজন প্রকৃত যৌন ডাক্তারের কাছে নিজের অতীত ক্রিয়া-কর্ম ও বর্তমানের সমস্যা গুলো বিশদভাবে বলে চিকিৎসা নিলে আপনার স্বামী যৌন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

যৌন দুর্বলতার চিকিৎসা কোথায় থেকে নিবেন?

বর্তমানে একদল অসাধু ব্যক্তি যৌন ডাক্তার সেজে বসে আছে। রোগীদের প্রকৃত সমস্যা না জেনে-বুঝেই যৌন উত্তেজক ওষুধ দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই যৌন সমস্যার সমাধানের সাইনবোর্ড-লিফটলেট দেখলেই দূর দেওয়া যাবে না। শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষা লাভের স্থান, সরকারের অনুমতিও দেখতে হবে। নয়তো অর্থলোভি ভেজাল ডাক্তারের ভেজাল ওষুধ খেয়ে পরে পস্তাতে হবে।

আমাদের পরামর্শ…

আপনি চাইলে ডাক্তার মনিরুজ্জামান এমডি স্যারের কাছ থেকেও যৌন পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। তিনি শুধু চিকিৎসক নন, স্বাস্থ্য লেখক-গবেষক এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসক। আপনি সেবা নয়, যৌন সমস্যার পরামর্শের জন্যও কল দিতে পারেন নির্দ্বিধায়। যোগাযোগ করার ফোন নম্বর গুলো হচ্ছে : 01707330660 (বাংলাদেশ) +601112796062 (মালয়শিয়া)

উল্লেখ, বর্তমানে তিনি মালয়শিয়ায় বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও ব্যক্তিগত কাজে মালয়শিয়ায় অবস্থান করছেন। ডাক্তারের সাথে সরাসরি কথা বলার মালয়শিয়ার ফোন নাম্বারে ইমো কিংবা হোয়াটআপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।

উত্তর লিখেছেন : সৈয়দ রুবেল। (সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট)

লেখাটি পড়ার জন্য আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের লেখিত ও প্রকাশিত আর্টিকেল, বই ও লাইফস্টাইল টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল-বই ও টিপস সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় appeared first on Amar Bangla Post.

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস-পরীক্ষা ও করণীয়

$
0
0

গর্ভাবস্থাকালে ডায়াবেটিস একটি বেশি বিপদের গর্ভ।

প্রায় এক শতাংশ গর্ভবতী স্ত্রীর মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এই রোগের জন্য মায়ের কিছু কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং শিশুর অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। তাঁর জন্য গর্ভাধারে, প্রসবের সময় এবং প্রসবের অব্যবহিত পরে শিশুর মৃত্যু হতে পারে। সেইজন্য প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের নিয়মমাফিক রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা উচিৎ,  রক্তে শর্করার পরিমাণ নির্ধারনের জন্য ও প্রস্রাবে শর্করা আছে কি না তা জানার জন্য। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক নিয়ন্ত্রিত থাকলে মা ও শিশুর রোগের সম্ভাবনা কম থাকে, গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ক্রটি ও শিশুমৃত্যুর হারও অনেক কমে যায়। একজন গর্ভবতী মা একটি সুস্থ সবল হৃষ্টপুষ্ট সর্বদা কামনা করে কিন্তু শিশুর ওজন যখন চার কেজি বা তারও বেশি হয় তখন মায়ের ডায়াবেটিস রোগ থাকার সম্ভাবনা থাকে।

যে-সমস্ত অবস্থায় একজন গর্ভবতী স্ত্রীর ডায়াবেটিস রোগ থাকতে পারে বলে  সন্দেহ করা হয়, তা হল  এইরকম :

  • অতিরিক্ত মোটা গর্ভবতী মা।
  • বয়স ৩০ বছরের  বেশি।
  • মাতা পিতার ডায়াবেটিস রোগ থাকলে।
  • পূর্বের গর্ভের সময় যদি জরায়ুর ভেতর, প্রসবকালে বা প্রসবের অব্যবহিত পরে শিশুর মৃত্যু হয় অথবা স্বাভাবিক প্রসবকালে অসুবিধার সৃষ্টি হয় (Difficult labour) ।
  • শিশুর ওজন চার কেজি বা তাঁর বেশি হলে।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস দু’ধরনের হতে পারে :

  • যখন একজন ডায়াবেটিস রোগী গর্ভধারণ করে।
  • যখন গর্ভাবস্থায় প্রথম এই রোগ ধরা পড়ে (Gestational diabetis)।

কখন ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরা হয়

যখন খালিপেটে রক্ত পরীক্ষা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা ১১০ মিলিগ্রাম %-এর অধিক এবং ৭৫ গ্রাম গ্রাম গ্লুকোজ খালিপেটে খাওয়ানোর দু’ঘন্টা পরে রক্তে শর্করার পরিমাণ ১৪০ মিলিগ্রাম %-এর বেশি হয়,  তখন উক্ত রোগীর ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরা হয়। তবে Oral Glucose Tolerance Test বা সংক্ষেপে G.T.T. করে এই রোগ নির্ণয় সুনিশ্চিতভাবে করা হয়।

ডায়াবেটিস রোগের ওপর গর্ভাবস্থার প্রভাব

অন্তঃসত্ত্বাকালে :

  • রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় ও প্রস্রাবে বেহসি মাত্রায় শর্করা নির্গত হয়।
  • শরীরের চর্বি এবং প্রোটিন বেশি খরচ হয় (Fat and protein catabolism) যার ফলে ওজন কমে যায়।

গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে শরীরে ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা কমে গেলেও গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। কারণ এই সময়ে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায় ও ইনসুলিনের বিপরীতধর্মী পদার্থের (contra insulin insulin Factors), যথা—হিউম্যান প্ল্যাসেন্টাল ল্যাকটোজেন, ইস্টোজেন, প্রোজেস্টেরন, ফ্রি কর্টিজল-এর মাত্রা রক্তে বৃদ্ধি পায়।

প্রসব-যন্ত্রণাকালেঃ এই সময়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে যদি না রোগীর শিরায় গ্লুকোজ ও কম পরিমাণে ইনসুলিন প্রবাহিত করা হয়।

প্রসবের পরঃ এই সময়ে উপরিক্ত ইনসুলিনের বিপরীতধর্মী পদার্থের প্রভাব থাকে না বলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু এটা জেনে রাখা উচিৎ যে, গর্ভাবস্থার জন্য যাদের ডায়াবেটিস হয়, তাঁদের প্রায় ১০ শতাংশের পরবর্তীকালে গর্ভাবস্থা ছাড়াই ডায়াবেটিস রোগ হয়।

গর্ভাবস্থা ও শিশুর ওপর ডায়াবেটিস রোগের প্রভাব

  • প্রস্রাবের, বহিঃপ্রজনন অঙ্গের ও যোনির সংক্রমণ  হতে পারে।
  • গর্ভপাতের মাত্রা বেড়ে যায়, এই রোগ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে।
  • হাত-পা ফুলে যাওয়া ও রক্তের চাপ বেড়ে যেতে পারে। (প্রি-এক্লাম্পসিয়া—২৫  শতাংশ  ক্ষেত্রে)
  • জরায়ুর মধ্যে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়  (Hydramnios) । প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এরকম হয়। বড় বাচ্চা হওয়ার জন্য, বড় গর্ভের ফুল অথবা বিকলাঙ্গ শিশুর জন্য এটা হয়।
  • খুব বেশি ওজনের শিশু বিকশিত হতে পারে।
  • সময়ের আগেই প্রসবের ঘটনা খুব বেশি হয়।
  • পেটের ভেতর বড় শিশু ও বেশি জল থাকার জন্য মায়ের কষ্টও বেশি হয়।

শিশুর ওপর এই রোগের প্রভাব

  • গর্ভাবস্থার শেষদিকে মায়ের জরায়ুতে শিশুর মৃত্যুর হতে পারে, যদি এই রোগের চিকিৎসা ঠিকমতো করা না হয়।
  • ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজনের শিশুর জন্ম হয়। (চার কেজি থেকে বেশি ওজনের)। এই সমস্ত শিশুর শরীরে অতিমাত্রায় চর্বি থাকার জন্য তুলতুলে হয়।
  • বড় বাচ্চা হওয়ার জন্য প্রসব সহজে হয় না।
  • এই সমস্ত শিশুর ফুসফুসের বিকাশ ও পরিপূর্ণতা দেরি করে হয়। ফলে প্রসবের পরে শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • জন্মগত ক্রটিঃ প্রায় ৬ শতাংশ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়।
  • শিশু-মৃত্যুর হার বেশি হয়।

ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষাগর্ভাবস্থায় পরিচর্যা

বেশি বিপদের গর্ভ বলে রোগীকে ঘন ঘন পরীক্ষা করা হয়। গর্ভের আগেই ডায়াবেটিস থাকলে তা আগে থেকেই সুনিয়ন্ত্রিত করা দরকার। কোনো রগী যদি ডায়াবেটিসের ট্যাবলেট খান, তাহলে সেটা বন্ধ করে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন দিয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত কয়া হয়।

চিকিৎসা

খাদ্য, বিশ্রাম ও ইনসুলিনের সঠিক মাত্রা সম্পর্কে রোগীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ তার সুচিকিৎসা করা হয়। যে-সমস্ত রোগীর গর্ভাবস্থাজনিত কারনে মধুমেহ রোগ হয় (Gestational Diabetes), তাঁদের খাদ্য সম্পর্কে উপদেশ দেওয়া হয়।ডায়াবেটিক ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেওয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী খেতে বলা হয়।

ডায়াবেটিস রোগির খাবারখাদ্য

আলু ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাদ্য-তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ভাতের পরিমাণ কম করা হয়।  দুপুরে ৭৫ গ্রাম চালের ভাত দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া রুটি, চাপাটি, দুধ, দই, ডাল, মাছ, মুরগি,  টাটকা সবুজ সবজি।  উচ্ছে, করলা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, ঢেঁড়শ, মটরশুঁটি, শশা, পেয়ারা ইত্যাদি খাদ্য-তালিকায় রাখা হয়। চায়ের সঙ্গে চিনির বদলে স্যাকারিন দেওয়া যেতে পারে। বারে বারে রক্তপরীক্ষা (দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার দু’ঘন্টা  বাদে) করে রক্তে শর্করার মাত্রা নির্ণয় করা হয়। সেই অনুযায়ী ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ানো বা কমানো হয়।

আলট্রাসাউন্ড করে দেখা হয়, শিশুর জন্মগত কোনো ক্রটি আছে কি না।  এছাড়াও শিশুর অতিমাত্রায়  ওজন আছে কি ন এ তাও বোঝা যায়।

হাসপাতালে ভর্তি

গর্ভাবস্থায় মধুমেহ রোগ, যা ইনসুলিন দিয়ে সুনিয়ন্ত্রিত এই সমস্ত রোগীকে প্রসবের জন্য প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের (Expected date of delivary) দু’সপ্তাহ আগে ভর্তি করে রাখা উচিৎ। আর এই রোগ সুনিয়ন্ত্রিত না থাকলে আরও আগে (৩৪ সপ্তাহের মাথায়) ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

প্রসব

ইনসুলিন দ্বারা সুনিয়ন্ত্রিত রোগীর ক্ষেত্রে এবং যেখানে অন্য কোনো জটিলতা নেই, সেইসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অন্য কোন সমস্যা বা জটিলতা থাকলে সিজারিয়ান অপারেশন (গর্ভাবস্থার ৩৮ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে) করা বেশি নিরাপদ। তবে কোনো ক্কেহত্রেই রোগীর প্রসবের সম্ভাব্য দিন থেকে বেশি দেরি করা উচিত নয়। করলে মায়ের গর্ভে শিশুমৃত্যুর বিপদ অনেক গুণ বেরে যায়।

নবজাত শিশুর পরিচর্যা

ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত মায়ের প্রসবের সময় শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি একান্ত জরুরি। অন্তত দু’-তিনদিন নবজাত শিশুকে চোখে চোখে রাখা বাঞ্ছনীয়। কারণ এই সমস্ত শিশুর হঠাৎ করে জরুতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন করা উচিৎ নয়। এই সমস্ত বড়ি ডায়াবেটিক অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। জরায়ুর মধ্যে কপার টি বা মাল্টিলোড কপার প্রতিস্থাপিত করাও উচিৎ নয়। এতে শ্রোণির সংক্রমণ হতে পারে। তাই সমস্ত রোগীর সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হল ব্যারিয়ার কন্ট্রাসেপটিভ অর্থাৎ কনডম বা নিরোধ। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেওয়া উচিৎ। স্বামীর ভ্যাসকটমি বা স্ত্রীর টিউবেকটমি করা দরকার।

আপনি পড়ছেন : গর্ভবতী মা ও সন্তান বই থেকে।

লেখকঃ ডাঃ অবিনাশ চন্দ্র রায়। ( স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ)

এই বই থেকে পূর্বে প্রকাশিত আর্টিকেল সমূহ…

06 গর্ভাবস্থায় ওষুধ

07 গর্ভাবস্থায় এক্স-রে

17 দেরিতে মা হওয়ার বিপদ

18 বেশি বিপদের গর্ভ – পরীক্ষা ও চিকিৎসা

22 ভ্রূণের লিঙ্গ (ছেলে না মেয়ে) নির্ধারণ

26 নকল গর্ভ

লেখাটি পড়ার জন্য আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের লেখিত ও প্রকাশিত আর্টিকেল, বই ও লাইফস্টাইল টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল-বই ও টিপস সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

The post গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস-পরীক্ষা ও করণীয় appeared first on Amar Bangla Post.

পিরিয়ড ও পোশাক সম্পর্কে আপনার অসুস্থ মানসিকতা বদল করুন

$
0
0

আমার ঘরে যে ছোট বোনটা আছে সে মাঝেমাঝে পেট ব্যথার বাহানা করে ক্লাসে যাওয়া থেকে বিরত থাকতো, মাস শেষে সেও পিরিয়ডের ব্যথায় জর্জরিত হয়।

তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমি তাকে কোনোদিনও জিজ্ঞাস করিনি পিরিয়ড বলতে কি বুঝায়। পিরিয়ড হলে ব্যথার পরিমাণটা কতটুকু হয়। এও জিজ্ঞাসা করিনি যে পিরিয়ড হলে জরায়ু থেকে কি বের হয়।

অথচ সেম অবস্থা যখন পরিচিত অন্য মেয়ে ফ্রেন্ডের সাথে হয়, মাস শেষে যখন তার জরায়ূ থেকে কয়েক’শ ফোটা রক্ত বের হয়, তখন কিন্তু তাকে আমি এক চিলতে হাসি দিয়ে ঠিকই জিজ্ঞাসা করি তার পিরিয়ড চলছে কিনা!

বারবার প্রশ্ন করাতে যখন মেয়েটি অসহ্য হয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায় তখন আমি অট্টহাসিতে মেতে উঠি।

আর তার পিরিয়ডের ব্যাপারটাকে হাসাহাসির বস্তু ভেবে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে আনলিমিটেড মজা করি।

অথচ বাস্তব কথা তো এই যে- কোনো এক মহিলার পিরিয়ড হওয়ার মাধ্যমে বিধির অনুমতিতে আমি পৃথিবীর আলো দেখেছি।

মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার ফলে আমি ভুলে গেছি যে আমার গর্ভধারিণী মায়েরও পিরিয়ড হয়।

আমার ছোট বোনের ব্রার কালারটা আমাকে আকৃষ্ট করেনা। তবে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা অন্যসব মেয়ের ব্রার কালার আমাকে বারবার আকৃষ্ট করে।

আমার চোখের সামনে যখন আমার ছোট বোন ব্রা শুকাতে দেয় অথবা গেঞ্জি খুঁজতে গিয়ে যখন আমার ড্রয়ারেই আমার ছোট বোনের ব্রা দেখতে পাই, তখন দেখেও এমনভাবে না দেখার ভান করি যেন আমি কিছুই দেখিনি।

কারণ আমি চাইনা আমার বোন আমার সামনে লজ্জায় মাথা নিচু করুক।

অথচ, বাইরে যখন ওড়নার ফাঁকে কোনো একটা মেয়ের ব্রার ফিতা দেখতে পাই তখন আরো দশ বারোটা বন্ধুকে জড়ো করে একসাথে সবাই মিলে মজা নিতে থাকি।

শুধু তাই নয়, যখন কোন মেয়েকে নির্জন জায়গায় পাই, তখনি মেয়েটাকে আশপাশে থেকে জিজ্ঞাসা করি ব্রার সাইজ কত!

মেয়েটা এসব শুনে একটাও টু শব্দ না করে মুখ লুকিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়, আর আমরা তখন তার পালানো দেখে অট্ট হাসিতে মেতে উঠি।

আহা! কি সাংঘাতিক আমি! কি সাংঘাতিক আমার কার্যাদি!

আমার কাছে আমার বোন নিরাপদ, কিন্তু আমার হাতে অন্যের বোন লাঞ্চিত, প্রতারিত, অপমানিত!

আমার চোখের সামনে আমার বোনকে মেকাপ করতে দেখলে বিন্দু পরিমাণ ও হিংসা লাগেনা। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে কোনো মেয়ের মুখে মেকাপ দেখলে আমার ঠিকই হিংসা লাগে।

আমার বোনের মেকাপের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমি নিযে সাথে থেকেই কিনি। তখন বিন্দু মাত্রও আমার মুখ কালো হয়না।

অথচ অন্য মেয়েকে মেকাপসমগ্রী কিনতে দেখলে অথবা অন্য কোনো ফ্রেন্ড তার বোনের জন্য মেকাপের সরঞ্জাম নিতে দেখলে আমার ঠিকই হিংসা লাগে!

মাঝেমাঝে তো আবার আটা ময়দার বস্তা বলেও তাকে অভিহিত করে ফেলি।

শুধু কি তাই!

আমার পরিচিত কোন মেয়ে খারাপ কাজ করলে তাকে সাবধান করি, বুঝাই, অথচ অন্য কোন মেয়ে না বুঝে সেসব কাজ করলে আমি ঠাট্টা করি, ছবি তুলে কিংবা ভিডিও করে ভাইরাল করে মজা নেই!

আমি যাদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মজা করি, হাসাহাসি করি, আমি জানি তারা আমার বোন নয়। আমার মা নয়।

যার ফলে তাদের কার্যাদিতে হাসাহাসি করতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অথচ আমার মাথায় এটা ঢুকেনা যে, মেয়েটি আমার বোন না হলেও অন্য একটা ছেলের বোন।

আমার বোনের সাথে কেউ এরকম করলে আমার যতটুকু খারাপ লাগবে, ঠিক আমি এই মেয়েটির সাথে এমন করলে তার ভাইয়ের কাছেও ততটুকুই খারাপ লাগবে।

আমার বোন আমার কাছে যেমন সম্মানি এবং মূল্যবান। অন্যের বোনও তার কাছে তেমন সম্মানি ও মূল্যবান।

আমি সত্যিই বুঝিনা আমি একটা বোনের ভাই হয়ে কিভাবে আরেকটা ভাইয়ের বোনের সাথে এমন আচরণ করি।

আসলেই আমার মগজ পঁচে গেছে। আর তাইতো ঘরের বাইরে অন্য মেয়েদের সম্মান করতে আমি দ্বিধাবোধ করি।

আমি বুঝতে পারছি আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো দরকার।

কিন্তু এতদিন আমার অসুস্থ মানসিকতায় যে কাজ গুলো করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত কিভাবে হবে!

প্রভু কি আদৌ আমায় ক্ষমা করবে?

লেখক : নীল সালু

লেখকের মতামত আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন। আপনার একটি শেয়ার হয়তো অন্যদের মন্দস্বভাব দূর করতে সাহায্য করবে।

The post পিরিয়ড ও পোশাক সম্পর্কে আপনার অসুস্থ মানসিকতা বদল করুন appeared first on Amar Bangla Post.

কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিটিং করুন এন্ড্রয়েড ফোনে!

$
0
0

প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং পরামর্শঃ কামাল আহমেদ বাগী

কম্পিউটারের জন্য ভালো মানের ভিডিও এডিটিং বলতে Corel Video Studio আমি কয়েকমাস যাবৎ উক্ত সফ্টওয়ারটি ব্যবহার করেছি, মোটামুটি ভালই, ডিফল্ট থেকে অনেক এক্সট্রা ফিচার রয়েছে ৷

এরপর যখন এন্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করা শুরু করলাম, তখনও খুঁজলাম কিভাবে এন্ড্রয়েড ফোনে ভিডিও এডিটিং করা যায় ৷ এক পর্যায়ে পেলাম Viva Video Editor নামে একটি ফ্রি এন্ড্রয়েড অ্যাপ, মোটামুটি ভালই, তবে যখন কোন ভিডিও এডিট করি, অটোমেটিক তাদের ব্রান্ডের নাম জেনারেল করে দেয় ৷ যারা সব কাজ প্রোফেশনাল মানের করতে চায়, তারা এসব পছন্দ করে না, আমারও ঘৃণা হয় ৷

KAB-BD FORUM  বিনামূল্যে রেজিষ্টেশন

পর্যায়ক্রমে Viva Video Edition Pro/HD Video Editor পেলাম, এবং কাজ শুরু করলাম, এরপর খুঁজতে গিয়ে আরো পেলাম Videoshow ৷
যারা কম্পিউটারে কোরিল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করেন, তারা আমার সাথে একমত হবেন, Videoshow Pro
এবং Corel Video Studio দুটো’র মধ্য কোন পার্থক্য নেই ৷

বরঞ্চ এন্ড্রয়েডের Videoshow অ্যাপটিতে আরো বেশি ফিচার রয়েছে, বেশি থিম/টাইটেল/অ্যানিমেশন/ইফেক্ট/জিপ/স্টিকার/স্টাইল/কম্প্রেস/কনভার্টার/রেজুলেশন/রিভার্স/কাটার-ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সহ আরো অনেক কিছু… আমি দীর্ঘ দু’ই বছরের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করি ৷

আমি অনায়াসে বলতে পারি, একটি প্রোফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল চালাতে এই দুটি অ্যাপই যথেষ্ট, এরজন্য কম্পিউটারের দারস্থ হতে হবে না ৷ সহজেই বোঝা যায় এই দু’টি এতোটাই শক্তিশালী যে এগুলোর গাইডলাইনের জন্য আলাদা বই তৈরি করা যাবে ৷

আমি আরেকটি অ্যাপের সন্ধান দিচ্ছি, সেই অ্যাপটিতে এমন একটি ফিচার আছে, যা এই দুটি অ্যাপে নেই ৷ যারা ইউটিউবের জন্য ভিডিও রেকর্ডিং করেন, অনেক সময় তাদের সাউন্ড খুব আস্তে হয়, এটা অনেক সমস্যার কাজ ৷ আমিও পরেছি এ সমস্যায়, তারপর খুঁজতে খুঁজতে একটি অ্যাপের সন্ধান পেলাম Android Video Studio Pro নামে, এটি ভারতের একজন ডেভেলপার তৈরি করেছে, নাম মনে নেই ৷ এই অ্যাপের মাধ্যমে যে-কোন ভিডিওর সাউন্ড 400 পর্যন্ত করা যাবে ৷
অর্থাত ডবল সাউন্ড, সত্যি এটি আমাকে সাহায্য করেছে ৷

যা হোক সবগুলো অ্যাপের ফ্রি ভার্সনের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে, এবং এগুলোর ফ্রি ভার্সনগুলো Play Store এ পাওয়া যাবে ৷

KAB-BD FORUM বিনামূল্যে রেজিষ্টেশন

আমি সন্ধান দিচ্ছি গুগোলে  সার্চ করুন Download Blackmart Apk নামে একটি অ্যাপ পাবেন সেটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন এবং ওপেন করে
Videoshow Pro
Viva Video Pro
Video Studio Pro

প্রিয় পাঠক সতর্ক থাকবেন, গুগোলে সার্চ করলে পেরিয়াম ভার্সন নাও পেতে পারেন, কারণ আমি পাইনি, বলেছিলো পেরিয়াম ডাউনলোড করে দেখি ফ্রি ভার্সন, তাই যে অ্যাপের সন্ধান দিলাম (Blackmart) সেটি আমি দীর্ঘদিন ব্যবহার করছি, খুব বিশ্বস্ত ৷

বলে রাখা ভালো বর্তমানে (Blackmart Alpha) এর উন্নত ভার্সন বের হয়েছে, যা আমার ফোনে কাজ করেনি, শুধু লোডিং দেখায়, সম্ভব হলে ২০১৭ মার্চ বা এপ্রিল মাসের ভার্সন ডাউনলোড করুন, এবং আপডেট করবেন না ৷

সত্যি বলতে একটি পূর্ণ বিষয়কে সংক্ষিপ্ত করা মানে পাঠকের মস্তিষ্ক ঘোলানো, তাই এসব অ্যাপের ব্যবহারবিধি তুলে ধরিনি, দয়া করে নিজে নিজে কাজ করুন ৷
যতটুকু বুঝবেন ততটুকু আপনার অর্জন, ততটুকু আপনার সফলতা ৷ একান্ত ব্যর্থ হলে আমার দারস্থ হোন, ২ মাসের কোর্স বিনামূল্যে করতে পারবেন, আশা কপি প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে সাহায্য করবে, কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি-সময় ও শ্রম দেয়ার জন্য…

KAB-BD FORUM বিনামূল্যে রেজিষ্টেশন

উপদেশঃ আমি যদি কষ্ট করে এতোবড় আর্টিকেল লিখতে পারি, আপনিও চেষ্টা করলে প্রশ্ন করা বা কম্মেন্টের মাধ্যমে মতামত দিতে পারবেন, আপনার সকল শ্রম উৎসাহের তালিকায় লিপিবদ্ধ হোক!

 

কৃতজ্ঞতায়ঃ কামাল আহমেদ বাগী

The post কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিটিং করুন এন্ড্রয়েড ফোনে! appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের মিষ্টি কাহিনী (১৮+ গল্প)

$
0
0

বাসরবাসর রাত। সবার জীবনে এই রাতটি নাকি অনেক স্বপ্নের, অনেক আশার।

ওসব ভাবনার নিকুচি করে ‘বাসরীয়’ বাসনা নিয়ে সাজানো বাসর ঘরে ঢুকলাম। আহা! নতুন বউ কত না প্রশান্তি নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

দরজা খোলাই ছিল। ভেতরে প্রবেশের পরই লাগিয়ে দিলাম। মনে অন্যরকম অনুভূতি। নিজের ঘরটা নিজেই চিনতে পারছি না। যা সুন্দর করে সাজানো! ওরা পারে বটে- গাঁদাফুল দিয়ে সাজালেও গোলাপের সংখ্যা কম নয়, রজনীগন্ধাও আছে। তবে গোলাপের ঘ্রাণটাই প্রকট। ভ্রমর আসতে পারে বৈকি! মনে মনে হাসলাম- নিজেইতো ভ্রমর।

মন থেকে কিছুতেই এই ছটফটানি ভাবটা দূর করতে পারছি না। একবার ভাবলাম বাতিটা নিভিয়েই বিছানায় যাই! পরে চিন্তা করে দেখলাম- নাহ, দরকার নেই। মন বললো- ভদ্রতাই বংশের পরিচয়। পরিণয় বা প্রেমঘটিত বিয়ে হলে বোধকরি এতটা উত্তেজনা থাকতো না।

বিছানাটার দিকে তাকিয়ে আরো বেশি অবাক হলাম। পুরোটা ফুল দিয়ে ঢেকেছে ওরা। এমনকি বিছানায় প্রবেশের জন্যই ফুল দিয়ে আরেকটা দরজা বানিয়েছে। ভেতরে কে আছে বোঝার উপায় নেই।

বিছানার পাশে গিয়ে নতুন বউকে মধুর সুরে ডাকলাম- জেসমিন, জেসমিন।

কোন সাড়া নেই। ভাবছি ঝট করে নির্লজ্জের মতো বিছানায় উঠে পড়া ঠিক হবে না। দুলাভাই যা শিখিয়ে দিয়েছেন সেই টিপস অনুযায়ী জেনেছি- বাসর ঘরে নববধূ স্বামীকে সালাম করে।

তাই আর বিছানায় ওঠা সমীচীন মনে করলাম না। ও নেমে এসে সালাম করবেই। আর আমিও থাক, থাক বলে ওর শরীর স্পর্শ করবো। বাকি কাজের প্রস্তুতি ওভাবেই নেব।

নাহ, তবুও বের হয় না। আর কত প্রতীক্ষা- সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বোধকরি বউ আমার বাসর ঘরেই ঘুমিয়ে পড়েছে।

আশাভঙ্গ হয়ে বিছানায় উঠলাম। ওমা একি! আমার বউ গেল কই? বিছানায় কেউ নেই। এক্কেবারে ফাঁকা। হায় হায়রে পালাবিতো বিয়ের আগে পালা। কবুল বলে আমায় কুরবানি করে পালালি কেন? এ মুখ আমি কোথায় দেখাব?

এখন কি করব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। বিছানায় একটু হেলান দিয়ে মায়ের উপর মেজাজটা ভীষণ বিগড়ে গেল। সব দোষ মায়ের। মা আমাকে বাড়িতে ডেকে আনলো ছোট চাচার বিয়ের কথা বলে। বাড়ি এসে সকল আত্মীয়-স্বজনকে দেখে খুশি হলাম। রাতে লম্বা সফর করে এসেছি তাই একটা টানা ঘুম দিয়েছিলাম। বাড়িতে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার খোঁজ রাখিনি।

দুপুরে ঘুম থেকে উঠে সে কি খেলাম। পরে যখন সবাই এসে বললো- চল গায়ে হলুদ দিতে হবে। দুপুরে গায়ে হলুদ, রাতেই বিয়ের পর্ব শেষ।

বললাম- যাও তোমরা আমি যাব না। যার বিয়ে সেই চাচা কই? আসার পরে তো দেখলাম না। চাচীর ছবিটাও দেখালো না।

সবাই হাসতে শুরু করলো- কারণটা বুঝলাম না। পরে বুঝলাম বিয়ে আর কারো নয়, আমারই! প্রেমপ্রস্তাবে বহুবার ব্যর্থ হয়ে পণ করেছিলাম- কোনদিন বিয়ে করবো না। মা আমার সেই পণ রক্ষা করতে দিল না। সর্বনাশটা করেই ছাড়লো। বউয়ের ছবিটা পর্যন্ত দেখিনি। কেবল নামটা জেনেছি- জেসমিন।

বিয়ের পর্বেও দেখা হয়নি। সেই অদেখা জেসমিন বাসর রাতে আমাকে ছেড়ে পালালো। কি অপরাধ ছিলো আমার?

এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। নিজে যে দরজা লাগিয়েছিলাম- সেই দরজা খুলছে কিভাবে বুঝলাম না। ওহ, ভুলেই গিয়েছিলাম- বিভীষণের মত ঘুমাই বলে মা আমার দরজার লক নষ্ট করে দিয়েছে। শব্দ শুনে ধরপর করে বিছানা থেকে উঠলাম। নামতে গিয়ে পায়ের সাথে কাপড়ের মত কি যেন লাগলো- তা লাথি মেরে ফেলে দিলাম।

দরজায় যাওয়ার আগে দেখি মা দরজা খুলে দাঁড়িয়েছে। মায়ের মুখে হাসি।

আমার পিত্তি জ্বলে গেলো। নিজেও উপহাসের হাসি হেসে বললাম- দিয়েছতো বিয়ে, এবার সামলাও। কত বার বললাম- কয়েকটা বছর দেরি করে বিয়ে করি।

মা রেগে বললো, ত্রিশতো পার করেছিস। চল্লিশও পার করবি নাকি। মা জেসমিন- একে কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে তার সবইতো তোমায় বুঝিয়েছি। যেমনি বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল হতে হবে। এসো এদিকে এসো। পেছন থেকে সামনে এলো জেসমিন।

মায়ের গালিতেও মনটা ভরে গেলো। যাক, বউ আমার পালায়নি। সে আছে, সে আছে। জেসমিনকে দেখে আরো মুগ্ধ হলাম। মায়ের পছন্দে বহুগুনে জিতেছি। ভালো আঁচলেই মা আমাকে বেঁধে দিয়েছে। দু’চোখ ভরে দেখার মত বউ জেসমিন। অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়েছিলাম। মা’ই ঘোমটাটা সরিয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু একি, বউ আমার রাগছে কেন? মনে হয় যেনো ফোঁস ফোঁস করছে। মাকে উদ্দেশ্য করে সে বললো- মা ঠিকই বলেছেন, আপনার ছেলের কোন কাণ্ডজ্ঞান নেই। দেখুন অবস্থা।

মা ওর কথা শুনে খেয়াল করলো এবং ভীষণ চটে গেল।

মা আর বউয়ের রাগের কারণটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।

মা বললো- তুই বেখেয়ালি কাণ্ডজ্ঞানহীন এটা জানি কিন্তু বেহায়া এটা আজ বুঝলাম। বউয়ের সামনে বিনা কাপড়ে দাঁড়া। তাই বলে মায়ের সামনে এলি পাজামা ছাড়া! বেশরম।

এতক্ষণে খেয়াল করলাম। পড়নে পাজামা নেই। উপরে শেরওয়ানি ভেতরে অন্তর্বাস! আসলে বিছানা থেকে নামার সময় উটকো কাপড় ভেবে যেটা লাথি মেরে ফেলেছি সেটা পাজামাই ছিল! এটা পড়ার অভ্যাস নেই। বিয়ের কারণেই পড়া। যাহোক কিছুক্ষণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম।

চেতনা আসতেই যেদিকে তা ফেলেছিলাম সেদিকে দিলাম ছুট। তাড়াহুড়ো করে পড়তে গিয়ে পাজামার ফিতের খেই হারিয়েছি। এক অংশ বাইরে অপর অংশটি একেবারে ভেতরে চলে গেছে।

তাই হাত দিয়ে পাজামা আঁকড়ে ধরে আলনার দিকে হাঁটা দিলাম। সেখানে রাখা নতুন একটা লুঙ্গি হাতে নিলাম। পড়তে গিয়ে দেখি- সেলাইবিহীন! সব কাজ মায়ের- নতুন বউ এনে দিয়েছে, ঘরটা নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে, পুরনো কিছুই রাখেনি। একটা পুরনো ছেঁড়া লুঙ্গিও যদি পেতাম বাসর ঘরে ইজ্জতটা রক্ষা হতো! যাহোক শেরওয়ানির নিচে ওটাই পড়ে নিলাম। মন্দ লাগছে না!

ওদিকে মা আর বউ’র সে কি আনন্দ! মনে হয় কোনো কৌতুক অভিনেতার অভিনয় দেখছে আর হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। হাসির শব্দে পুরো বাড়ির লোকজন আসতে শুরু করেছে। মা বিষয়টা খেয়াল করে জেসমিনকে বললো- সামলাও মা আমার এ পাগল ছেলেটাকে। দরজা লাগিয়ে দাও বলে মা চলে গেল।

জেসমিন ছিটকিনি দিয়ে ঠিক-ঠাক মতই দরজা লাগালো। বন্ধ দরজা, সে আর আমি অনুভূতি চরমে।

সে আমার দিকে এগিয়ে এলো- আমি স্থির দাঁড়িয়ে আছি। কোন নড়াচড়া নেই। ও কাছে আসতেই বললাম- না, থাক থাক।

ও বললো- থাকবে কেন? দিন মোবাইল দিন। যেন ধমকালো।

ঠিকই বুঝেছি এ মেয়ে সুবিধার না! যে কিনা বাসর রাতে স্বামীকে একা ফেলে শাশুড়ির সঙ্গে শলাপরামর্শ করতে যায়- সে আর যাই হোক ভালো নয়।

এত ভাবার সময় দিল না। নিয়ে নিল। এরপর আমার হাত ধরে বিছানার দিকে টেনে নিল, আমি ওতেই মহাখুশি। মনটা কেমন যেন দোল দিয়ে উঠলো। বিছানায় ও আর আমি পাশাপাশি। তারপরও আমার দিকে তার মনোযোগ নেই। মোবাইলে কি যেন খুঁজছে। পেলোও বটে- এক নারীর মেসেজ।লেখা- ‘ভাই চলে আসেন। কোনো সমস্যা নেই’।

সেটা আমায় দেখালো। আমি বুঝিয়ে বললাম- আমার কলিগ। অফিসে একদিন দেরি করেছিলাম তাই ওকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম- বস যখন অন্যদিকে মন দেবে তখন জানাবে। ও সময়-সুযোগ মত এটা জানিয়েছিল।

জিজ্ঞেস করলো- বিবাহিতা না অবিবাহিতা।

বিবাহিতা জবাব দিলাম।

কেসটা কি পরকীয়া?

ছিঃ ছিঃ তুমি এসব কি বল? একটু রেগে গেলাম পাত্তাই দিল না।

বললো- আপনার ল্যাপটপটা অন করুন। খুব নাকি ফেসবুকিং আর ব্লগিং করেন। দু’টোরই পাসওয়ার্ড দিন।

আমি রেগেই ছিলাম। একটু আগে যে কামনায় উসখুশ করছিলাম তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারপরও কোনো কথা না বলে টেবিল থেকে ল্যাপটপটা নিয়ে পাসওয়ার্ড, মেইল ও নিক সব কাগজে লিখে দিলাম।

ও প্রথমে ফেসবুকে ঢুকে প্রোফাইলটা বিবাহিত বানিয়ে দিল। ম্যারিড উইথ জেসমিন…এরপর ব্লগে কি যেন ঘাটাঘাটি করলো। ফেসবুকে কার কার সঙ্গে যেন চ্যাট করলো।

এসব দেখে মনে মনে যদিও রেগে গিয়েছিলাম তবুও ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রাগটা কেন যেন কমে গেলো। এভাবে নিজের জায়গায় কোন মানবীকে দেখিনি কখনো। মুগ্ধতা বেশিক্ষণ রইলো না- আমার সেই কলিগ ভদ্রমহিলা এই রাতে ফোন দিয়ে বসলো।

ও বললো- রিসিভ করছেন না কেন?

ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সেই ভদ্রমহিলা বললেন, আপনার সঙ্গে কথা নেই। ভাবীকে দিন, এখনই ঊনার সাথে চ্যাট করলাম।

ফোন নিয়ে ও কথা বললো। কুশলাদি বিনিময় করে ফোন রেখে দিয়ে বললো- ফোন অফ করুন।

ল্যাপটপও নিজেই বন্ধ করলো।

এরপর আমাকে জিজ্ঞেস করলো- এতদিন বিয়ে করতে চাননি কেন?

আর আবেগ সংবরণ করতে পারলাম না। হু হু করে কেঁদে উঠলাম। কেঁদে কেঁদে বললাম, জেসমিন সত্যি বলছি। কেউ আমাকে ভালোবাসেনি বলে বিয়ে করিনি। ভেবেছিলাম ভালবেসেই বিয়ে করবো। কিন্তু হয়নি। বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। কেঁদে ওর বুক ভিজিয়েই দিয়েছি। আবেগের চোটে ভুলেই গিয়েছি- কোন নারীর বুকে মুখ রেখে কাঁদছি।

ও আমার বিব্রতকর অবস্থা বুঝে নিজে থেকে লাইট অফ করে বললো; এমন মানুষকে কেউ ভালো না বেসে পারে। দেখবেন আমি সারাজীবন ভালোবাসবো।

লেখক : ইসমাঈল চৌধুরী

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত আরও কিছু বাসর রাতের গল্পের তালিকা

০১ তিশার বাসর রাতের মজার গল্প

০২ পরীক্ষার হল থেকে বাসর ঘরে

০৩ কালো মেয়ের বাসর রাতের গল্প

বাসর রাতের জ্ঞান মূলক পোস্ট

০৪ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আমাদের প্রকাশিত গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই এটি ফেসবুকে শেয়ার করুন।

The post বাসর রাতের মিষ্টি কাহিনী (১৮+ গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

Viewing all 2087 articles
Browse latest View live