পূর্বেকার আলোচনা হতে পাঠকগণ বুঝতে পেরেছেনঃ
(১) যৌনবৃত্তি সার্বজনীন।
(২) এই বৃত্তি অতিশয় তীব্র।
(৩) মানব-কল্যাণের দৃষ্টি-কোণ হতে এক-বিবাহ-প্রথাই প্রশস্ততম।
সুতরাং যে দাম্পত্য-জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সমস্ত যৌন-আবশ্যকতা পূর্ণ হতে পারে, সেই দাম্পত্য-জীবনই শ্রেষ্ঠ। যে দম্পতি যৌন-সুখের যতটুকুর জন্য পরস্পরে সন্তুষ্ট না হয়ে অন্যত্র সে সুখের সন্ধান করে, সেই দম্পতি-জীবন ততটুকুর জন্যই নিস্ফল। আমার এক বন্ধু তাঁর স্ত্রীকে খুব ভালবাসেন। স্ত্রীটিও সকল দিক দিয়ে আদর্শ পত্নী। কিন্তু দিনের বেলা #সহবাস করার বাসনা পূর্ণ করার বন্ধুকে বেশ্যাগমন করতে হয়েছিল। বন্ধুর গুণবতী স্ত্রীর দ্বারা তাঁর এই তুচ্ছ সাধটি পূর্ণ হয় নাই। তাঁর দাম্পত্য-জীবন ঐ টুকুর জন্যই নিস্ফল।
পুরুষ যে-টুকু সুখ স্ত্রীর নিকট পাবে না, সে-টুকুর জন্য সে অন্যত্র যেতে বাধ্য। স্ত্রীকে আমরা সকল প্রকার প্রমোদের উপযোগী করে গড়িয়ে তুলি না বলেই বেশ্যা-প্রথা এরূপ প্রসার লাভ করেছে।
বহুদিনের অভিজ্ঞতায় মানুষ বুঝিতে পেরেছে, বিবাহ-প্রথাকে একটা যৌন-গবেষণা মনে করলে তাতে মানুষের ব্যক্তি-গত বা সমষ্টি-গত কল্যাণ হবে না।
এরপর পড়ুন >>কোট-শীপ
আপনি পড়ছেন >> যৌন বিজ্ঞান বই থেকে।
আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখি ও আনন্দময় করতে নিচের আর্টিকেল ও বই গুলো পড়ুন।
০১ আদর্শ স্বামী স্ত্রী ২ (দাম্পত্য বিষয়ক বই)
০৩ আদর্শ নারী (স্ত্রী শিক্ষার বই)
লেখাটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে এটি শেয়ার করুন।
The post আদর্শ দম্পতি appeared first on Amar Bangla Post.