মাসআলাঃ- ১৬. স্বামীর জন্য ঋতুবর্তীর সাথে যা বৈধ।
স্বামীর জন্য ঋতুবর্তীর গুপ্তাঙ্গ ব্যতীত সব কিছুর সাথে আনন্দ ভোগ করা বৈধ। এই ক্ষেত্রে বহু হাদীস রয়েছে,
প্রথম হাদীসঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ
“তোমরা তাদের সাথে সহবাস ব্যতীত সব কিছু করো।”[1]
দ্বিতীয় হাদীসঃ আয়েশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কেউ যখন ঋতু অবস্থায় থাকত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে তাহবন্দ বা লুঙ্গি পড়ার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর স্ত্রীর সাথে মিলামিশা করতেন। আয়িশাহ কখনো বলেছেন, তিনি তাকে স্পর্শ করতেন।[2]
তৃতীয় হাদীসঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন এক স্ত্রী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঋতুবর্তী সাথে কিছু ইচ্ছা করতেন তখন তার লজ্জাস্থানে কাপড় দিতেন অতঃপর যা ইচ্ছা করতেন। [3]
আপনি পড়ছেনঃ বাসর রাতের আদর্শ বই থেকে।
আপনি আরো যা পড়তে পারেন…
০১. প্রশ্নঃ মাসিক অবস্থায় স্বামী আমার দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে আমার কি করা উচিত?
০২. প্রশ্নঃ আমার মাসিক চলা কালে স্বামী ধৈর্যধারণ করতে পারে না। তার সেক্স অত্যাধিক বেশী। আমার মাসিক চলাকালে সে বিকল্প পন্থায় কিভাবে তার সেক্স চাহিদা নিবারণ করতে পারে পরামর্শ দিলে উপকৃত হবো।
[1] আনাস আজহারী বলেছেন, আরবী ভাষায়ঃ আরবী (নিকাহ)এর মূল হচ্ছেঃ আরবী (সহবাস করা) আর বিবাহকে নিকাহ বলা হয়েছে। কেননা তা বৈধ সহবাসের কারণ লিসানুল আরব আর হাদীসটি ১৪ নম্বর মাসআলায় আনাসের উল্লেখিত হাদীসের অংশ।
[2] নিহায়াহতে রয়েছে (তিনি মুবাশারা দ্বারা স্পর্শ করা ইচ্ছা করেছেন। আর তার আসল হলো, পুরুষের শরীর মহিলার সঙ্গে ছোঁয়া বা মিলানো। আর কখনো লজ্জাস্থানে ও তার বাইরে সহবাস করার অর্থে আসে।)
আমি বলব, এখানে তা থেকে দ্বিতীয় অর্থটি উদ্দেশ্য যা প্রকাশ্য। আর এটাই আয়েশাহ (রাঃ) বলেছেন। শাহবা বিনতে কারীম বলেন, আমি আয়েশাকে বললাম, স্বামীর জন্য হায়েয অবস্থায় স্ত্রীর কি কি বৈধ? তিনি বললেন, সহবাস ব্যতীত সব কিছু বৈধ। ইবনু সাঈদ (৮/৪৮৫) পৃষ্ঠা। আর আয়েশাহ (রাঃ) থেকে রোযাদারের ক্ষেত্রে অনুরূপ সহীহ ভাবে বর্ণিত হয়েছে। আর তার আলোচনা আহাদীসুস সহীহাহ এর প্রথম খন্ডের (২২০/২২১ পৃষ্ঠা) নম্বরে রয়েছে। আর বুখারী, মুসলিম ও আবূ আওয়ানা হাদীসটিকে তাদের সহীহ সমূহে ও আবূ দাউদ তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং আবূ দাউদের শব্দবিন্যাস (২৬০) নম্বরে সহীহ সূত্রে রয়েছে।
[3] ইমাম আবূ দাউদ হাদীসকে তার সহীহ (২৬২) নম্বর বর্ণনা করেছেন। আর বর্ণনা প্রসঙ্গ তারই, মুসলিমের শর্তানুযায়ী তার সানাদ সহীহ এবং ইবনু আব্দিল হাদী তাকে সহীহ বলেছেন আর ইবনু হাজার ও বাইহাকী (১/৩১৪) পৃষ্ঠায় তাকে শক্তিশালী করেছেন। আর অতিরিক্ত তাঁরই।
The post স্বামীর জন্য ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে যা বৈধ। appeared first on Amar Bangla Post.