একবার নবী করিম (সাঃ)-এর কাছে ভিক্ষুক এসে কিছু আবেদন করল। তিনি তাকে হযরত ওসমান গনী (রাঃ)-এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। ফলে লোকটি হযরত ওসমান গনী (রাঃ)-এর গৃহাঙ্গীনায় গিয়ে হাজির হল। সেখানে গিয়ে লোকটি শোনতে পেল হযরত ওসমান গনী (রাঃ) তাঁর বিবিকে বলছেন, আল্লাহর বান্দী! কাল রাতে তুমি চেরাগের সলিতা গনেক মোটা করে দিয়েছিল। ফলে তেল বেশি খরচ হয়েছে। একথা শোনে ভিক্ষুক মনে মনে বলল—হায় আল্লাহ! নবীজি (সাঃ) আমাকে কোন কাঞ্জুসের কাছে পাঠিয়ে দিলেন! যে ব্যক্তি চেরাগের সলিতা মোটা দেয়ায় তেল বেশী খরচ হয়েছে বলে স্ত্রীকে তিরস্কার করছে, সে করবে আমাকে দান! সেরেছে। তবু লোকটি হতাশ মন নিয়েই আল্লাহর নামে হাঁক দিল।
ভিক্ষুকের আওয়াজ শোনে হযরত ওসমান গনী (রাঃ) বের হয়ে আসলে লোকটি যখন বলল, নবীজি (সাঃ) আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন। কিছু সাহায্য করুন। তিনি গৃহাভ্যন্তরে চলে গেলেন এবং তিনহাজার দিরহাম পূর্ণ একটি থলে উঠিয়ে এনে গোটা থলেটাই তাকে দিয়ে দিলেন। লোকটির পরিচয়ও জানতে চাইলেন না এবং একথাও জিজ্ঞেস করলেন না যে, কত চাই। থলে হাতে পেয়ে লোকটি অবাক। বলল, ভাই! আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন? আমি চাওয়া মাত্র আপনি আমাকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে দিলেন যে, আমার ভবিষ্যত বংশধদের জন্যেও তা যথেষ্ট হবে। কিন্তু একটু পূর্বেই ঘরে আপনি স্ত্রীকে চেরাগের সলতে মোটা করে দেয়ার কারণে তিরস্কার করছিলেন। এর রহস্য কি? হযরত ওসমান গনী (রাঃ) বললেন—সেটা ছিল আমার নিজের জন্য ব্যয়। সেক্ষেত্রে যথাসাধ্য সঙ্কোচন করাই উচিত। আর এটা দিচ্ছি আল্লাহকে। আমি খুব কমই দিলাম। এক্ষেত্রে উচিত ছিল দু’হাত খুলে সামর্থের সবটুকু উজাড় করে বিলিয়ে দেয়া।-তাজা ঈমানের সত্য কাহিনী।
The post একেই বলে দানশীলতা appeared first on Amar Bangla Post.