যৌন জীবনে সীমাবদ্ধতা বলতে কিছু নেই, আর থাকার কথাও নয়, কারণ যৌন জীবনের মাপ-কাঠি আপনে কিভাবে নির্ধারণ করবেন? মিলনে সময় বেঁধে দিবেন? তা কখনোই সম্ভব নয়। রাগমোচন না হওয়া পর্যন্ত কোন মিলনই সম্পূর্ণ হতে পারে না। আবার নারী-পুরুষের মধ্যে যদি কারোর রাগমোচন অসমাপ্ত থেকে যায়, সেক্ষেত্রে তার শুধু স্বাস্থ্যহানীই হতে পারে তা নয়, সে সাথে তার মানসিক চাঞ্চল্যতা বেড়ে যেতে পারে এবং যদি মিলনে বার বার তার রাগমোচন পূর্ণতা প্রাপ্তি না ঘটে, সে ক্ষেত্রে তার মনোবেকল ঘটতে পারে। আর যৌনক্রিয়াটা বিকৃতি বলে তার থেকে বিরত থাকবে না? তা তাও করা উচিত নয়, তাতে আরো বেশী বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে নারী কিংবা পুরুষের মনে। তখন সামাল দেয়া কগুবই কঠিন। অতএব, প্রকৃতির নিয়মে সেটা ঘটতে দিন, বাধা দিবেন না, কিংবা কৃত্রিম কোন বিকল্প পন্থাও যেন অবলম্বন করতে যাবেন না।
আসলে নারী পুরুষের যৌন জীবনে বিকৃতি বলতে কিছু নেই। এ অভিমত বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েডের। আমার যতদূর মনে হয়, যৌনক্রিয়া কথাটা আমাদের জানা থাকলেও তার অর্ন্তনিহিত অর্থটা বোধহয় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আর জানা নেই বলেই যঊন জীবনে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে চাই, নির্দিষ্ট একটা সময়ের একটা সময়সীমা টানতে চাই। এর পিছনে যে একটা ধারণা কাজ করে তা হল, যৌন জীবনে বিকৃতি বলতে আর কিছু থাকবে না তখন। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আর এ ভুল ধারণার মধ্যে দিয়েই যে কোণ রোগ ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা বলি যে, এর পিছনে নিশ্চয়ই একটা যৌন ব্যাপার আছে।
সেদিন এক বিখ্যাত কলেজের (কলেজের নাম এখানে উল্লেখ করতে চাই না বিশেষ কারণে) জনৈক প্রফেসার ভদ্রলোক কি নাজেহালই না হয়ে পড়েছিলেন তার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে। ছাত্র-ছাত্রীরা হঠাৎ প্রফেসারকে জানান, জনৈকা গর্ভবতী যুবতী নাকি সন্তান প্রসবের ভয়ে আছাড় খাচ্ছে হিস্টিরিয়া রোগীর মত। ছাত্র-ছাত্রীরা তো দারুণ আশঙ্কিত। তাদের ভয়ের কারণ হল, এটা যৌন জীবন-যাপনের কুফল। যাও হোক, প্রফেসর ভদ্রলোক তখন অনেক কাঠখড়া পুড়িয়ে তবে তার ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতে পারলেন যে, হিস্টিরিয়া রোগ আর সন্তান প্রসবের ব্যাপারটা এক করে ফেলাটা ভুল, দুটিই সম্পূর্ণ আলাদা, একটির সাথে আরেকটির কোণ সম্পর্ক নেই। তার সবাই সাইকোলজির ছাত্র-ছাত্রী, সমঝদার, প্রফেসারের বক্তব্য অনুধাবন করার পর তারা শান্ত হল, আসল ব্যাপারটা অনুধাবন করার পর তাদের আশংকা দূর হল, বিশেষ করে ছাত্রদের তো বটেই। কারণ তারা ভাবী মা, তাদের মনে প্রসব যন্ত্রণার ব্যাপারে যদি বিরূপ ধারণা জন্মে, তাহলে প্রফেসারের আশংকা, ভবিষ্যতে তারা হয়ত কখনো মা হবার ভয়ে তাদের স্বামীর সাথে মিলিত হতে চাইবে না। এর ফলে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভয়ঙ্কর অশান্তি ঘটতে পারে, এমন কি এর পরিণাম সুদূর প্রসারিত হতে পারে বিবাহ বিচ্ছেদের পর্যায়ে।
ছাত্রীরা শিক্ষিত এবং সমঝদার, কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শেষ না জানা পর্যন্ত তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেয় না। এক্ষেত্রে এ প্রফেসর ভদ্রলোক যখন ব্যাপারটা তাদের কাছে পরিস্কার করে দিলে তখন তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠতে দেখা যায়, অর্থাৎ ভবিষ্যতে বিবাহিত জীবনে স্বামীর সাথে দেহ মিলনে আর কোন বাধা রইলনা, ভয় রইল না গর্ভবতী হয়ে পড়ার পরবর্তী ঘটনার জন্যে। এ তো গেল শিক্ষিতা, আলোকপ্রাপ্তা মেয়েদের ব্যাপার; কিন্তু অশিক্ষিতা কিংবা অল্প শিক্ষিতা গ্রাম্য মেয়েদের বেলায়? তাদেরকে কে বোঝাবে প্রফেসার ভদ্রলোকের মত? তাছাড়া তাদের বোঝানোর জন্য কোন সহৃদয় মনোবিজ্ঞানী এগিয়ে এলে তারা কি শিক্ষিত ছাত্রীদের মত ব্যাপারটা সহজে বুঝে নিবে? তাই এসব অধিকাংশ মেয়েদের নিয়েই আজকের সমাজে যত সমস্যা।
অন্যদিকে আনার দেখা যায়, যৌন পরিতৃপ্তির জন্যে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন কায়দা। কোন রকম স্পর্শ কিংবা চাক্ষুস করা ছাড়াও নিজের গোপন অঙ্গ দেখিয়েও বহু নারী পুরুষ যথেষ্ট তৃপ্তিলাভ করে থাকে। এসব কি বিকৃতি পরিচয় নয়?
আপনারা নিশ্চয়ই সময় সময় শুনে থাকবেন, এমন অনেক স্বামী আছে, যারা তাদের স্ত্রীকে বেধড়ক না পেটানো পর্যন্ত শান্তি পায় না, কিংবা সে বিশেষ কাজটুকু, অর্থাৎ যৌন মিলনের প্রস্তুতি হিসেবে এ নির্মম পন্থাটা বেছে নিয়ে থাকে। এর পিছনে অবশ্য একটা উদ্দেশ্যের আভাস পাওয়া যায়।
যৌন ব্যাপারটা এমন জটিল যে, স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক বলতে কিছু নেই, আসলে এ ব্যাপারে এ শব্দগুলো একেবারেই অর্থহীন, যার কোন সামাজিক আবেদনই নেই। সিগমন্ডু ফ্রয়েডের মতে স্বাভাবিক রতিক্রিয়ার মধ্যেই স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক ব্যাপার গুলো মিশে একাকার হয়ে যায়। ফ্রয়েডের গবেষণালব্ধ মতামত অনুধাবন করলে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, যৌন তৃপ্তির ব্যাপারে বিশেষ এক মনোবিকলনকে মাছ কাঁটা বাছার মত করে দেখা মানেই এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেয়া। অনিয়ম ও অস্বাভাবিকতার আবর্তে আবর্তিত হয়ে নিজেই নিজের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে মারতে গেলে এ অদ্ভুত রহস্যগুলো কাজ করে।
হস্তমৈথুন থেকে চুম্বন, সব কিছু যদি আপনাকে যৌন জীবনের এক একটি অঙ্গ হিসেবে ভয় পেয়ে দেয়, তাহলে তার চেয়ে বিড়ম্বনা আর কিই বা হতে পারে? কিন্তু এ অযৌক্তিক ধারণা? এ বিড়ম্বনা থেকে কি রেহাই পাওয়া যায় না? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পাওয়া যায় বৈকি। তবে সবার আগে দরকার এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অযৌক্তিক ধারণা গুলোতে বিনষ্ট করা।
যৌন জীবন কোন সাধারণ ব্যাপার নয়, জীবনের আর পাঁচটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহার্য বিষয় নয়, এ একটা বড় জটিল বিষয়-বস্তু। এ সম্পর্কে বহু মনোওবিজ্ঞানীরা নানান দিক গভীরভাবে গবেষণা করেছেন বিভিন্ন সময়ে, সে কোন মনুষ্য সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত, সিগমন্ড ফ্রয়েড তাদের মধ্যে অন্যতম। তাদের সে গবেষণালব্ধ মতবাদ যত জটিল কিংবা দুরূহই হোক না কেন, একটি সত্য খুবই পরিস্কারভাবে জানা গেছে যে, আমাদের জীবনে যৌনচর্চা একটা উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা আছে এবং সেটা আমাদের জটিল জীবনে যেন একটা বিশেষ মাত্রা এনে দিতে পারে। তাই আজই আমাদের এব্যাপারে সাবারই সচেষ্ট হয়ে উঠা উচিত। এখন কথা হচ্ছে যে, এ যৌনচর্চা তা সে “কামুকথা” কিংবা ‘বিকৃতি’ নামে চিহ্নিত হোক না কেন, আমরা কেহই কিন্তু এড়িয়ে যেতে পারি না। এ সমকামিতার কথাই ধরা যাক। এ অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন, সমলিঙ্গের মানসিকতা যখন পরস্পরের প্রতি ভীষণভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, কেবল তখনি এটা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ এরা অনুভব করে না এবং প্রজননের বা সৃজনশীলতার ব্যাপারে এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই প্রধানত দুটি কারণে। প্রথমত হয় তারাচ বিপরীত লিঙ্গ কর্তৃক প্রত্যাখ্যান হয় কিংবা সামাজিক অনুমাসন, লজ্জা বা ভয়ে তারা বিপরীত লিঙ্গের কাছে ঘেঁষতে চায় না। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট নারী পাছে গর্ভবতী হয়ে পড়ে, সে ভয়টা নারীদের কাছ থেকে পুরুষদের দূরে সরিয়ে রাখে। অনুরূপভাবে নারীরাও পুরুষদের সঙ্গ এড়িয়ে চলে। উভয়েই খুব ভাল করে জানে যে, নারী-পুরুষের অগাধ মিলন এমনি একটা জটিল ব্যাপার যে, যদি সেটাকে প্রশ্রয় দেয়া হয়, তার পরিণাম ভয়াবহ, সে কলঙ্কের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর সম্ভব হয় না। আর এই ভয়টাই প্রজননের ব্যাপারে নারী ও পুরুষকে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বের দায়িত্ব বিমুখ করে তোলে।
আত্মরতি কিংবা সমকামী মনোভাব যখন গড়ে ওঠে, তখনি একটি পুরুষ কিংবা নারী অত্যন্ত সচেতন এক বুদ্ধির জগতে আশ্রয় নিয়ে থাকে। এর ফলে তাদের মধ্যে বিশেষ একটি চরিত্রনীতি গড়ে উঠতে বেশী সময় লাগে না। আর এ চরিত্রনীতির জন্যেই কি তাদের মধ্যে বিচিত্র এক যৌনতা বর্ধন হয় নানানভাবে? এভাবেই এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা সমাজে অপাংতেও যাদের মানুষ বলে গন্য করে না সমাজের উঁচু তলার মানুষজন, এ ক্ষেত্রে তারাই আবার উচ্চমানের ব্যক্তিত্বের সমান হয়ে যায়।
প্রসঙ্গক্রমে ফ্রয়েড বলেছেন, সেন্ট অ্যানটিকে উত্তেজিত করার জন্য ভয়াবহ যৌন ভয়ালতার সৃষ্টি করা হত। তবে এখানে একটা কথা বলা যায়, ব্যাপারটা যতই অদ্ভুত বলে মনে হোক না কেন, কামোদ্দীপনার জন্য এ ধরণের অদ্ভুত, উদ্ভট ব্যাপার-স্যাপারেরও একটা বিশেষ ভূমিকা আছে, যা অস্বীকার করা যায় না। তবে এ কথাও ঠিক যে, একটা স্রেফ মনের ব্যাপার এবং কোনটা বিকৃতি আর কোনটাই বা বিকৃত নয় সেটা ঠিক করার ভার আপনার মনের উপর নির্ভর একান্তভাবে করে। বিকৃত যেমন মেয়েদের স্তন, উরু, অন্তর্বাস থেকে শুরু করে…চুম্বন-আলিঙ্গন, যা কিছুর মধ্যেই বিকৃতির গন্ধ পাওয়া যায়।
যৌবনের আমদানি হঠাৎ করে হয়নি। যৌনতার নানান ছলাকলা বা বৈচিত্র্য সেই কোন আদিম যুগ থেকে চলে আসছে আজও। এ সময়কামিতার ব্যাপারটাই উল্লেখ করা যেতে পারে, সমলিঙ্গের আসক্তি আসে বিশেষ চিতিত্রনীতি।
আর প্রসবের ব্যাপারে যৌনতা অনুপস্থিত হলেও কামতৃপ্তির ব্যাপারে জননেন্দ্রিয়ের ভূমিকা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না। পুরুষের যা কিছু যৌন উত্তেজনা, ছটফটানি সবই নারীর এ বিশেষ অঙ্গটিকে ঘিরে এবং ফ্রয়েড তার গবেষণার কাজে লক্ষ্য করেছেন, এর মাধ্যমেই তাদের যৌন পিপাসার অবসান ঘটে থাকে, চরম তৃপ্তির স্বাদ পেয়ে থাকে তারা। কিন্তু একটু যদি তলিয়ে দেখা যায়, এর মধ্যে বিকৃতি নামক উদ্ভত ব্যাপারটার সন্ধান পাবেন না? হ্যাঁ, যদি তেমন সন্ধানী চোখ নিয়ে দেখেন অবশ্যই পাবেন। তা না হলে নারী-পুরুষের গোপনাঙ্গ, উত্তেজনা নিয়ে কেনই বা আমরা বা বার আলোচনা করি? মনোবিকলন অথবা বিকৃতির কথা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় যে, এ বিকৃতি স্থায়ী নয়, কখনো বাড়ে, আবার কখনো বা কমে যায়।
লক্ষ্য করবেন, যখনি কারোর মনে স্নায়ুবিক দুর্বলতার মধ্যে আতঙ্ক, বিষাদ বা ব্যর্থতা প্রকাশ পায়, তখনি যৌনতার স্বাভাবিক ব্যাপারগুলো দারুণভাবে বৃদ্ধি পায়, অথবা বিপরিতভাবে হ্রাস পায়।
মোদ্দা কথা হল, যৌন ব্যাপারে হতাশ হলে, ঠিক তখন আপনার মনোবিকলন ঘটবে এবং সেটা আপনাকে গ্রাস করে ফেলবে। এ যে যৌনকাঙ্ক্ষাতে, অথচ কিছু করতে পারছেন না অর্থাৎ সুখ ভোগ করতে পারছেন না, সে হতাশাই আপনাকে স্বাভাবিকভাবে এমন এক দ্বন্ধের মধ্যে ফেলে দেবে যে, অত সহজ সরল বিষয়ও আপনার কাছে ভীষণ জটিল বলে মনে হবে তখন।
ব্যাপারটা আরো গোলমালে কেন ‘স্বাভাবিক’ ও ‘বিকৃতি’ এ শব্দ দু’টিই যত গোলমাল। প্রেম, বিশ্বাস এবং ধারণা আপনা থেকেই আপনার মনে কখন যে ঢুকে পড়বে এ বহুল প্রচলিত শব্দ তিনটির মধ্যে দিয়ে তা আপনি অনুমানও করতে পারবেন না।
আসল কথা, বিকৃতির কোনরূপ নেই, উদাহরণ নেই, এর উৎস যে কোথা থেকেও তাও কারোর জানা নেই। সিহমন্ড ফ্রয়েডের ধারণা মত, বিকৃতির জন্ম হয় গোড়াঁমি, অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার থেকে। যেমন কোন কিশরী প্রথম ঋতু দর্শনের পর যখন তার জরায়ুতে তীব্র কাম সচেতনতা অনুভব করে, তখন মনে যদি কোন পুরুষ সঙ্গলিপ্সা দেখা দেয়, সেটাও একান্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এ স্বাভাবিক ধর্মকে অন্য আলোয় দেখাটাই অস্বাভাবিক। মনে রাখবেন, বিকৃতি মানেই মানুষের মনের জিজ্ঞাসা। কাল্পনিক ভীতি অথবা অবাস্তবতার মধ্যে যদি এ জিজ্ঞাসা হঠাৎ কখনো ঢুকে পড়ে, এর ফলে তখন সারা জীবন অস্থির হয়ে জীবিত-মৃতের মত বেঁচে থাকা ছাড়া অন্য আর কোন উপায় থাকে না। শৈশব থেকে যে জীবন শুরু, আরোপিত বিকার সে জীবনকে পঙ্গু করা কোন মতেই গ্রাহ্য করা যায় না। তাই এ নীতি পরিহার করা অবশ্যই দরকার। – পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন
The post প্রেম ভালোবাসার যৌন জীবন সীমাবদ্ধতা appeared first on Amar Bangla Post.