Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

গৃহজীবনে সুখী হওয়ার সাতটি সহজ উপায়

$
0
0

couplesপঁচাত্তর বছর আগে ফ্রান্সের সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন, নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ভাইপো কাউন্টেস অব টেবা, মেরী ইউজিস ইগনেশ অগাস্টিন দ্য মন্টিনো’র প্রেমে পড়েন-তিনি ছিলেন বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠা সুন্দরী নেপোলিয়ন তাঁকে বিয়ে করেন। তার পরামর্শ দাতারা তাঁকে জানান মহিলাটি শুধুমাত্র একজন অনামা স্পেনীয় কাউন্টের মেয়ে। কিন্তু নেপোলিয়ন তাতে জবাব দেনঃ ‘তাতে কি হয়েছে?’ তার সৌন্দর্য যৌবন রূপ সবই তিনি স্বর্গীয় মনে করতেন। রাজকীয় আসন থেকে জাতির উদ্দেশ্যেই তিনি বলেনঃ ‘আমি এমন একজন রমণীকে বেছে নিয়েছি যাকে আমি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। কোন অচেনা মেয়ের চেয়ে এই রকম মেয়েই আমি পছন্দ করি।’

নেপোলিয়ন আর তার স্ত্রীর কি না ছিলো-স্বাস্থ্য, সম্পদ, ক্ষমতা, খায়তি, সৌন্দর্য, ভালোবাসা, প্রেম-রোমান্স ভরা জীবনে যা যা দরকার। কোন ভালো বাসায় ভরা আলোকজ্জ্বল জীবন এর চেয়ে ভালো হয়ে ছুটতে পারে না।

কিন্তু হায়, সেই আলো শিগিরই যেন নিচে এলো-পড়ে রইল এক মুঠো ছাই। নেপোলিয়ন ইউজিনকে সাম্রাজ্ঞী করেছিলেন, কিন্তু নেপো;ইয়নের প্রেম বা সিংহাসন  তার ঘ্যানর ঘ্যানর করা বন্ধ করতে পারেনি।

ঈর্ষার আগুনে দগ্ধ হয়ে আর সন্দেহের জ্বালায় ইউজিন নেপোলিয়নের কোন কথাই শোনেননি এমনকি তাঁকে এক মুহুর্তও একাকী থাকতে দেননি। শাসন কাজ চালানোর সময় রাজসভায় ঢুকেও তিনি অতি দরকারী কাজকর্মে বাধা দিয়েছেন। তিনি তাঁকে একেবারেই একা থাকতে দিতে চাননি, এই ভয়ে যে হয়ত তিনি অন্য কোন রমণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠাতা করছেন।

প্রায়ই ইউজিন তার বোনের কাছে স্বামীর নামে অভিযোগ করতেন। আর সঙ্গে কান্নাকাটি; ঘ্যানর ঘ্যানর করতেন। ভয় দেখাতেন। পাঠাগারে ঢুকে স্বামীকে গালাগাল দিতেন। ফ্রান্সের সম্রাটের এক ডজন প্রাসাদ থাকা সত্ত্বেও কোথাও তিনি শান্তি পেতেন না।

এ সব করে ইউজিনের কি লাভ হয়?

উত্তরটা এই রকমঃ আমি ই. এ. রাইনহার্টের লেখা ‘নেপোলিয়ান ইউজিন’ নামে বই থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা এমনই দাঁড়ালো যে নেপোলিয়ন প্রায়ই রাত্রিবেলা নিজের চোখ টুপিতে ঢেকে পিছনের দরজা দিয়ে গোপনে প্রাসাদ ছেড়ে এক সুন্দরী মহিলার আকছে যেতেন। মহিলাটি তাঁকে ভালোবাসতেন। পাথরের রাস্তায় একলা হেঁটে বেড়াতেন সম্রাট। রূপ কথাতেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। সম্রাট খালি ভাবতেন, আহা আমার জীবন যদি সত্যিই এমন হতো।

ঘ্যানর ঘ্যানর করার ফলে ইউজিনের জীবনে এই রকমই ঘটে যায়। সত্যি তিনি ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। এটাও সত্যিই পৃথিবীতে সে সময় সবসেবা সুন্দরী ছিলেন তিনিই। তা সত্বেও কিন্তু ঘ্যানর ঘ্যানরের বিষাক্ত কামড় তিনি ত্যাগ করতে পারেননি।

প্রাচীন কালের জনের মত ইউজিনও তাই বিলাপ করতে পারতেনঃ ‘যা ভয় করেছিলাম আমার জীবনেই তাই ঘটেছে।’ তার জীবনে এটা এসেছে? মোটেই না, বেচারি মহিলাটি ঈর্ষা আর ঘ্যানর করে নিজেই তা এনেছেন।

নরকের শয়তান প্রেম ভালোবাসা ধ্বংস করার জন্যে যত রকম উপায় উদ্ভাবন করেছে ঘ্যানর ঘ্যানর তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এ কখনও ব্যর্থ হয় না। গোখরো সাপের বিষের মত এটা সব নষ্ট করে শেষ করে দেয়।

কাউন্ট লিও টলস্টয়ের স্ত্রীও সেটা আবিস্কার করেন তবে বড় দেরীতে। মৃত্যুর আগে তিনি তার মেয়েদের কাছে স্বীকার করেনঃ ‘তোদের বাবার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী।’ তার মেয়েরা জবাব দিয়নি। তারা সবাই কাঁদছিলো। তারা জানতো তাদের মা ঠিক কথাই বলছেন। ওরা জানতো সারা জীবন ধরে শুধু অভিযোগ করে, সমালোচনা করে আর শুধু ঘ্যানর ঘ্যানর করেই তিনি স্বামীর মৃত্যুর কারণ হন।

অথচ কাউন্ট লিও টলস্টয় আর তার স্ত্রী নানা অসুবিধা সত্ত্বেও সুখী হতে পারতেন। তিনি ছিলেন সর্বকালের একজন শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক। তার দুটি অমর সৃষ্টি ‘ওয়ান অ্যান্ড পীস’ আর ‘আনা কারেনিনা’ চিরকাল ধরেই পৃথিবীর সাহিত্যাকাশে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

টলস্টয় এতই বিখ্যাত ছিলেন যে তার স্তাবকরা দিনরাত ছায়ার মতই তাঁকে অনুসরণ করতো আর তিনি যা বলতেন, সবই তারা সর্টহ্যান্ডে লিখে রাখতো। তিনি যদি বলতেন, ‘মনে হচ্ছে এবার শুতে যাব’ তাহলে এই সাধারণ কথাও তারা লিখে রাখতো। এখন রুশ সরকার তিনি সারা জীবনে যা যা লিখেছেন সবই প্রকাশ করতে চলেছেন, আর তার সব লেখার সংখ্যা দাঁড়াবে একশটা বই।

খ্যাতি ছাড়াও টলস্টয় আর তার স্ত্রী ছিলো সম্পদ, সামাজিক প্রতিষ্ঠা, ছেলেমেয়ে। কোন বিবাহই এত সুন্দর হয় না। গোড়ায় মনে হয় তাদের বিবাহিত জীবন বুঝি খুবই আনন্দের হবে। তাঁরা তাই হাঁটু গেড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানাল যেন এমন সুখ চিরকাল থাকে।

তারপরেই একটা আশ্চর্য ব্যাপার ঘটে গেলো। টলস্টয় আস্তে আস্তে বদলে গেলেন। তিনি হয়ে পড়লেন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। যে সব বিখ্যাত বই তিনি লিখেছিলেন সেগুলোর জন্য তিনি লজ্জিত হয়ে পড়লেন আর তখন থেকে সারা জীবন উৎসর্গ করলেন শান্তি প্রচার আর যুদ্ধ ও দারিদ্র বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে প্রচার পত্র লেখা শুরু করেন।

যে মানুষ যৌবনে একবার স্বীকার করেন সমস্ত রকম অপরাধই তিনি করেছেন-এমন কি খুনও—তিনিই আবার যীশুর শিক্ষা অনুসরণ করতে শুরু করেন। তিনি নিজের সব জমি দান করে দিয়ে দারিদ্রের জীবন বেছে নেন। তিনি নিজের জুতো নিজেই বানাতেন, মাঠে আকজ করতেন, খড় কাটতেন। নিজেই নিজের ঘর ঝাঁট দিয়ে কাঠের পাত্রে খেতেন আর শত্রুদের ভালো করার চেষ্টা করতেন।

লিও টলস্টয়ের জীবন একটা বিয়োগান্ত অধ্যায় আর এর জন্য দায়ী ছিলো তার বিয়ে। তার স্ত্রী বিলাসিতা পছন্দ করতেন কিন্তু টলস্টয় সেটা ঘৃণা করতেন। তার স্ত্রী চাইতেন খাতি আর সামাজিক প্রতিষ্ঠা, কিন্তু এসব সামান্য জিনিস তিনি চাইতেন না, এর কোন দাম তার কাছে ছিলো না। তার স্ত্রী চাইতেন টাকা পয়সা আর সম্পদ, আর তিনি ভাবতেন ধন দৌলত আর ব্যক্তিগত সম্পত্তি রাখা পাপ।

বছরের পর বছর ধরে টলস্টয়ের স্ত্রী ঘ্যানর ঘ্যানর করে, গালাগাল দিয়ে চিৎকার করতেন যেহেতু তিনি কোন টাকা পয়সা না নিয়ে তার বই স্বাধীনভাবে ছাপতে দিয়ে দেন। তার স্ত্রী চাইতেন এর পরিবর্তে টাকা।

তাঁকে বাধা দিলে শ্রীমতি টলস্টয় পাগলের মত চিৎকার করে গড়াগড়ি খেয়ে আফিঙ্গ খেতে যান। তিনি শপথ করেন আত্যাহত্যা করবেন, তাই একবার তিনি কুঁয়োর ঝাঁপিয়েও পড়তে যান।

ওদের বিবাহিত জীবনে এমন একটা ঘটনা আছে যেটাকে আমার মনে হয় ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। আমি আগেই বলেছি ওদের বিবাহিত জীবন গভীর আনন্দময় বলেই মনে হয়েছিলো অথচ আট চল্লিশ বছর পর টলস্টয় তার স্ত্রীকে দেখতেও  রাজি ছিলেন না। একদিন সন্ধ্যায় এই ভগ্নহৃদয় বৃদ্ধা, প্রেমের আর আদরের প্রয়াসী টলস্টয়ের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে কাতর আবেদন জানালেন পঞ্চাশ বছর আগে তিনি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তার ডায়েরীতে যে প্রেমের নিবেদন লিখেছিলেন সেগুলো পাঠ করে শোনাতে। তিনি যখন সেগুলো পড়তে শুরু করলেন, সেই সুন্দর হারানো সুখের দিন গুলো যেন আবার ফিরে এসেছিলো। দুজনের চোখেই তখন পানি। বহুকাল আগে যে রোমান্টিক দিন তাদের জীবনকে আনন্দের আবরণে ঘিরে রেখেছিলো সে স্বপ্ন আজ কোথায় হারিয়ে গেছে।

শেষ পর্যন্ত টলস্টয় আশি বছরে পা দিতে তিনি গৃহকোণের আনন্দহীন জীবন আর সহ্য করতে পারলেন না। তাই তুষারপাতে আচ্ছন্ন ১৯১০ সালের অক্টোবরের এক রাতে তিনি গৃহত্যাগ করে চলে গেছেন। কোথায় চলেছেন না জেনেই সেই ঠান্ডা আর অন্ধকারে তিনি হারিয়ে যেতে চাইলেন।

এগারো দিন পরে একটা রেল স্টেশনে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেলেন। আর তার মৃত্যুকালীন অনুরোধ ছিলো তার স্ত্রীকে যেন তার সামনে আসতে দেয়া না হয়।

কাউন্টেস টলস্টয় তার ঘ্যানর ঘ্যানরে, অনুযোগ আর হিস্টিরিয়ার জন্য এই দামই দিয়েছিলেন।

পাঠক হয়তো ভাবছেন তার ঘ্যানর ঘ্যানর করার যথেষ্ট কারণ ছিলো। সেটা মানছি। কিন্তু আসল কথা তা নয়। প্রশ্ন হলোঃ ঘ্যানর ঘ্যানর তার কি ভাল হয়। না তাতে খারাপ আর খারাপ হয়ে যায়?

‘আমার মনে  হয় আমি সত্যি পাগল ছিলাম’ এই কথাই কাউন্টেস টলস্টয় ভাবতেন-তবে তখন ঢের দেরি হয়ে গিয়েছিলো।

আব্রাহাম লিঙ্কনের জীবনের দুঃখময় পরিচ্ছেদও একই কারণ-তার বিয়ে। তার হত্যাকান্ড নয়, তার বিয়ে। বুথ যখন গুলি করে, লিঙ্কন বুঝতেই পারেননি তাকে গুলি করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তেইশ বছর ধরে অনুভব করেছেন তার বিবাহিত জীবনে বিষাক্ত জ্বালা। এটা কম করেই বলা হলো। প্রায় শতাব্দীর এক চতুর্থাংশ ধরে মিসেস লিঙ্কন ঘ্যানর ঘ্যানর করে তার জীবনকে বিষাক্ত করে তুলেছিলেন।

তিনি সব সময় অভিযোগ করতেন আর স্বামীকে সমালোচনা করতেন, লিঙ্কনের কোন কাজই ঠিক ছিলো না। তার কাঁধ বাঁকানো। তিনি অদ্ভুত ভাবে হাঁটেন, ডান পা বেশি তোলেন, অনেকটা রেড ইন্ডিয়ানদের মত, এই ছিলো অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করতেন তার চলাফেরার কোন ছন্দ নেই, তিনি ব্যঙ্গ করে তার হাঁটা দেখাতেন যেহেতু তিনি নিজে মাদাম মেন্টেলের স্কুলে শিক্ষা পান। কাউন্টেস টলস্টয় স্বামীর বড় বড় কাজ পছন্দ করতেন না। তিনি এও বলেছিলেন তাঁর নাকটা বড় খাড়া, ঠোঁট উঁচু, তাঁকে যক্ষারোগীর মত দেখায়। তাঁর হাত পা বড্ড বড় বড় আর মাথাটা আকারে খুব ছোট।

আব্রাহাম লিঙ্কন আর মেরী টড লিঙ্কন সব দিক থেকেই আলাদা ছিলেন। সেটা শিক্ষা-দীক্ষা, অতীত, রুচি, মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি সব কিছুতেই। তারা পরস্পর সব সময়ে বিরক্তি উৎপাদন করতেন।

সেনেটর অ্যালবার্ট যে, বেভারিজ যিনি এ যুগের সবসেরা, লিঙ্কন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ তিনি লিখেছেন মিসেস লিঙ্কনের গলার স্বর ছিলো কর্কশ। বহুদূর থেকেই সেটা শ্রুতি গোচর হত। তাঁর বাড়ির কাছাকাছি সকলেই ওদের ঝগড়ার ব্যাপার জানা ছিল। প্রায়ই মিসেস লিঙ্কনের ক্রোধের প্রকাশ ঘটাতো অন্যভাবেও। আর এটা ছিল অসংখ্য।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মিঃ আর মিসেস লিঙ্কন তাদের বিয়ের পর মিসেস জ্যাকব নামের এক মহিলার বাড়িতে থেকেছেন।

এক সকালে মিঃ আর মিসেস লিঙ্কন যখন প্রাতরাশে বসেছিলেন কোন কারণে লিঙ্কনের কথায় তাঁর স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীর মুখে গরম কফির কাপ ছুঁড়ে মারেন। আর এটা তিনি করেন সকলের সামনেই।

কোন কথা না বলে লিঙ্কন লজ্জিত হয়ে চুপচাপ বসে থাকেন আর গৃহকর্ত্রী একটা তোয়ালে এনে তাঁর মুখ আর পোশাক মুছে দেন।

মিসেস লিঙ্কনের ঈর্ষা এমনই মূর্খের মত আর অবিশ্বাস্য ছিলো যে এগুলো আলচনা করলে বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। সকলের সামনেই তিনি এসব করতেন। তিনি অর্থাৎ মিসেস লিঙ্কন শেষ পর্যন্ত পাগল হয়ে যান। হয়তো তিনি বরাবরই পাগল ছিলেন।

এই সব ঘ্যানর ঘ্যানর আর গালমন্দ আর আর কি লিঙ্কনকে বদলে দেয়? এক রকম তাই। অন্তত স্ত্রীর প্রতি তাঁর আচরণ। নিজের বিয়ে সম্বন্ধে তাঁর মোহ কেটে যায় আর স্ত্রীকে তাই তিনি যথাসাধ্য পরিহার করে চলতেন।

দুঃখের কথা যে লিঙ্কন স্প্রিংফিল্ডে থাকতে চাইতেন না। বছরের পর বছর এরকম চলেছিলো। বাড়ি থাকতে তাঁর ভয় হতো। শীত আর বসন্ত কালের তিনটি করে মাস তিনি অন্য জায়গায় থাকতেন কখনও স্প্রিংফিল্ডের ধারে কাছে যেতেন না।

মিসেস লিঙ্কন, সম্রাজ্ঞী ইউজিনি আর কাউন্টেস টলস্টয়ের ঘ্যানর ঘ্যানরের ফলাফল হয় এই রকমই। তারা নিজেদের জীবন নিজেরাই বিষাদময় করে তোলেন। এই ভাবেই নিজেদের সবচেয়ে প্রিয়জনদের তাঁরা ধ্বংস করেন।

নিউইয়র্কের আদালতে পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়ে এগারো বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বেমি হ্যামবার্জর হাজার হাজার বিচ্ছেদের ঘটনা আলোচনা করে বলেছেন যে, বহু স্ত্রী-ই ঘ্যানর ঘ্যানর করে নিজেদের বিবাহিত জীবনের সমাধি খুড়েছেন। অতএব পারিবারিক জীবনে সুখী হতে হলে ১ নম্বর নিয়ম হলোঃ “ঘ্যানর ঘ্যানর কখনও করবেন না।”

লেখকঃ ডেলকার্নেগী। বিষয়ঃ পারিবারিক জীবনে সুখী সুখী হওয়ার কৌশল

The post গৃহজীবনে সুখী হওয়ার সাতটি সহজ উপায় appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

Trending Articles