ঘুম যদি ভালো না হয় তাহলে মন-মেজাজ ঠিক থাকে না কাজ করতেও ভালো লাগে না। মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। নানানবিদ টেনশন, অধিক কাজের চাপ, অফিসের নানান রকমের দুশ্চিন্তা ও অস্থাস্থ্য খাবারের কারণে ঘুমের ব্যাথাত ঘটে। চা, কফি পান করা এবং পান-সুপারি, চকলেট, বেগুন ও ফরমালিন যুক্ত খাবার খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে এবং শরীর তরতাজা করে। কিছু পদার্থ আছে যা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। যেমনঃ মেলাটনিন পদার্থ। এটি বয়স্কদের জন্য খুবই প্রয়োজন। এই পদার্থ দিনের বেলায় কোন কাজ করে না। আর এসব পাওয়া যায় আমাদের নিত্য দিনের খাবারের মধ্যেই। আসুন জেনে নেয় কি কি খাবার আমাদের ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।
০১. ভাত, কলা, ভূট্টা, রসুন, টমোটো ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। এসব খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটনিন থাকে।
০২. ট্রিপটোফ্যন পদার্থ ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। দুধ, ছানা, পনির, আম, সূর্যমুখী তেল, তিলের তেল এ প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফ্যন থাকে।
০৩. রুটি,কলা, আলুতে সারাটনিন পদার্থ থাকে যা ঘুম পাড়াতে খুব সাহায্য করে।
০৪. ভিটামিন-বি৬, বি-৩ ভালো ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক। মসুর ডাল, আখরোট, তিলের তেল ইত্যাদিতে ভিটামিন বি-৬ আছে। সবুজ শাক, সবুজ সবজিতে প্রচুর পরিমানে বি-৩ ভিটামিন আছে।
৫. প্রতিদিন খালিপেটে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার কমাতে হবে অথবা বাদ দিতে হবে। ডিহাইড্রেশনও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফলমূল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ফলে ঘুমও ভালো হয়।
০৬. ভালো ঘুমের জন্য ভিটামিন বি ও সি যুক্ত খাবার বেশী খেতে হবে।
০৭. কাজের ফাঁকে দিনের বেলায় কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারলে অনেক উপকার হয়। যেমন_ এনার্জি ও চিন্তা শক্তি বাড়ে ও মুড ভালো হয় এবং তার সাথে শরীরের ক্লান্তি দূর করে। দুপুরের নামাযের পর ঘুমানো আমাদের নবী করীম (সাঃ) এর সুন্নত।
০৮. নারীদের মেনস্টুয়াল ব্লিডিং শুরু হওয়ার আগে হরমোন জনিত কারণে ঘুমের সমস্যা হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেনস্টুয়াল সাইলের কারণে ঘুমের সমস্যা বেড়ে যায়। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও ঘুম কম হয়।
ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে গরম দুধ, লেটুস পাতা, কলা, আলু ও ওটমিল খেলে ভালো ঘুম হবে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কম পক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমাতে হবে এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করলে ঘুম ভালো হবে।
The post ঘুম ভালো হওয়ার উপায় appeared first on Amar Bangla Post.