Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

আফ্রিকার দুলহান। (ইসলামিক যুদ্ধের গল্প বই)

$
0
0

আফ্রিকার দুলহানসংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ মুসলমানদের মিসর-সিরিয়া দখল করার খুন চাপে আফ্রিকার বলদর্পী সম্রাট জর্জিরের মাথায়। তথ্যটা যথা সময়ে পৌঁছে যায়  মিসরের গভর্নর প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সা’দ (রাঃ)-এর কানে। জবাবে তিনি জর্জিরকে ভালো মতো একটা কানমলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমীরুল মুমিনীন হযরত ওসমান (রাঃ)_এর অনুমোদনক্রমে মাত্র দশ হাজার মুজাহিদ নিয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন মুসলমানদের সার্বভৌমত্ত্বে আঘাত হানার স্বপ্নসাধ মিটিয়ে দিতে। একে-একে আফ্রিকার অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ দুটি দুর্ভেদ্য দুর্গ জয় করে মুখোমুখি হন দাম্ভিক সম্রাট জর্জিরের। দু-দিনের যুদ্ধে জর্জিরের বিশাল বাহিনী প্রচন্ড মার খায় মুসলমানদের হাতে। আসন্ন পরাজয় ঠেকাতে নিরুপায় জর্জির ঘোষণা দেন, যে-ব্যক্তি মুসলিম সেনাপতির মাথা কেটে আনবে, তার সঙ্গে আপন রূপসীকন্যা হেলেনকে বিয়ে দিবেন। বিপরীতে মুসলিম সেনাপতি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সা’দও (রাঃ) ঘোষণা দেন, যে-ব্যক্তি খৃষ্টান সম্রাট জর্জিরকে হত্যা করবে, জর্জির কন্যা হেলেনকে তাঁকে দান করবেন। কী হল তার পর?


বইয়ের নামঃ আফ্রিকার দুলহান।

রচনাঃ সাদেক হুসাইন (প্রখ্যাত উর্দু ঔপন্যাসিক, ভারত।

অনুবাদ : মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন।

প্রকাশনায়ঃ পরশমণি, দোকান নং-৪৩, ইসলামী টাওয়ার (১ম তলা) ১১/১ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।

ফাইল ধরণ : পিডিএফ

সাইজঃ ১০ মেগাবাইট।

ডাউনলোড করুন।

বই থেকে ক্ষুদ্র অংশ……..

খলীফাতুন মুসলিমীন হযরত ওসমান (রা.) যে-উটের পিঠে দাঁড়িয়ে জুমার খুতবা দান করেছিলেন, সেটিতে আরোহণ করে উচ্চকণ্ঠে বলতে শুরু করেন—

“ইসলামের মুজাহিদগণ, আমি সেই মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি বিশ্বজগতকে সৃষ্টি করেছেন। যিনি সমুদ্রের তলদেশে ও পাথরের অভ্যন্তরে বিরাজমান প্রাণীদেরকেও জীবিকা দান করেন। আমি গুণকীর্তন করছি আল্লাহর সেই রাসূলের, যিনি আবির্ভূত হয়ে কুফর ও গোমরাহির অন্ধকার দূর করে পৃথিবীকে ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন।

“ইসলামের জানবাজগণ আফ্রিকা মহাদেশে সেনাভিযান পরিচালনা করবে এমন কোন ইচ্ছা আমার ছিল না। কিন্তু সেখানকার খৃষ্টান রাজা ইসলামের মূলোৎপাটন ও মুসলমানদের নিহ্নিত করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, কোন শক্তি যদি কোনো-না-কোনভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালায়, ইসলামের মর্যাদা ও সমুন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; তাদের বিরুদ্ধে সমুচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ-জাতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজ হয়ে দাঁড়ায়। জিহাদের মাধ্যমে ফেতনা নির্মূল করে পৃথিবীর বুকে ইসলামকে সমুন্নত করা মুসলমানদের ঈমানি কর্তব্য। তাই বাধ্য হয়ে আমি আফ্রিকা-আক্রমণের অনুমতি দিয়েছি।

“ইসলামের শত্রুদেরকে আমাদের জানিয়ে দিতে হবে, ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার সাধ্য পৃথিবীর কোনো শক্তির নেই। পৃথিবীর পাতা থেকে আল্লাহর নাম মুছে ফেলার শক্তি কারও নেই। পৃথিবীর বুকে একজন মুসলমান বেঁচে থাকা পর্যন্ত ইসলাম ও আল্লাহর নাম জীবিত থাকবে। তোমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কোনপ কাজ করো না, যদ্দ্বারা ইসলামের দুর্নাম হবে এবং মুসলমানদের লজ্জিত হতে হবে। প্রথমে শত্রুকে সন্ধির প্রস্তাব দেবে। দুশমন যদি ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী তৎপরতা পরিহার করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং সন্ধির প্রস্তাব মেনে নেয়, তা হলে সাবধান! কারও রক্ত ঝরাবে না, সন্ধি করে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবে। কিন্তু যদি তাঁরা হটকারিতা পরিহার না করে, ইসলামের সঙ্গে শত্রুতা পরিত্যাগ না করে; তা হলে আল্লাহর নাম নিয়ে তার উপর ভরসা করে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং শক্তিমতা ও বীরত্বের প্রমাণ দেবে।………..

The post আফ্রিকার দুলহান। (ইসলামিক যুদ্ধের গল্প বই) appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 2081

Trending Articles