লেখকের সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম
মরহুম আবুল হোসেন ভট্টাচার্য একটি ইতিহাস, একটি অনন্য উদ্যম ও অনুপ্রেরণার নাম। অদম্য অনুসন্ধিৎসার দীপ্ত উদাহরণ, সত্য ও কল্যাণের জন্যে আত্মনিবেদনের একটি মহৎ দৃষ্টান্ত।
সত্যের প্রতি সহৃদয় আকর্ষণ তাঁকে ঘরছাড়া করেছিল। ধর্মাধর্মের চিন্ত তাঁকে ব্যাকুল করেছিল। সত্যের মহিমান্তিক আহ্বানকে সবার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য তিনি ছিলেন সদাসচেষ্ট।
মরহুম আবুল হোসেন ভট্টাচার্য ১৯১৬ সালে বৃহত্তর ফরিদপুর (বর্তমানে শরীয়তপউর) জেলার গোসাইর হাট উপজেলা দাসের জংগল গ্রামে এক পুরোহিত ব্রাহ্মণ পরি বারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শশীকান্ত ভট্টাচার্য। মাতা ক্ষিরদা সুন্দরী (রাঙাবউ) ।
ইসলামগ্রহণের আগে তার নাম ছিল সুদর্শন ভট্টাচার্য। গ্রামের পাঠশালাতেই তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয়। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৩৭ সালে ২১ বছর বয়সে তিনি ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেন। তার মুসলিম নাম রাখা হয় আবুল হোসেন। কিন্তু পৈতৃক পদবী “ভট্টাচার্য’” যুক্ত করে তিনি নিজের নাম লিখতেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলতেন, ‘যারা হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করে থাকেন তাদের সকলেই হিন্দু জাতির তফসিলী সম্প্রদায়ভুক্ত বলে একশ্রেণীর হিন্দুলেখক ও বুদ্ধিজীবি অপপ্রচার চালিয়ে এসেছেন। তাদের প্রচারণা যে সর্বাংশে সত্য নয় তা প্রমাণ করার জন্যে আমি নিজ নামের শেষে ‘ভট্টাচার্য’ পদবী ব্যবহার করি একান্ত বাধ্য হয়েই; বংশীয় পদমর্যাদা বা বাহাদুরী প্রকাশের জন্যে নয়।’
বাল্যকাল থেকেই তার মনে বিশ্বস্রষ্টার সংখ্যা সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উদয় হয়। তিনি যখন স্কুলে লেখা-পড়া করতেন তখন জৈনিক মুসলমান শিক্ষকের প্রভাব তার উপর পড়ে। সেই শিক্ষক একদা শিশু সুদর্শনকে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘কর্তা অনেক হলে গোলমাল বাঁধে। সারা জাহানের কর্তা একজনই। আমরা মুসলমানরা সকল কিছুর মূল হিসেবে একজন কর্তাকেই মানি। তুমি একজনকেই খুঁজতে চেষ্টা করবে।”
সুদর্শন ভট্টাচার্য তার শ্রদ্বেয় শিক্ষকের একথা জীবনে কোনওদিন ভুলতে পারেননি। ‘তুমি একজনকেই খুঁজতে চেষ্টা করবে’ এ মহান উপদেশ তার শিশুমনে শেকড় গেড়ে বসে এবং পরবর্তীতে বিরাটকায় মহীরুহে পরিণত হয়। কালের চক্র আবর্তিত হয়। সুদর্শন ভট্টাচার্যের মনোজগতেও নানান জিজ্ঞাসা প্রবলতর হয়ে ওঠে। অনুসন্ধিৎসার ব্যাকুলতাই তাঁকে খৃষ্টান ও মুসলিম পন্ডিতদের সান্নিধ্যে টেনে আনে। অবশেষে ইসলামী জীবনাদর্শের মধ্যেই তিনি তার সমস্ত জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজে পান।
এক পর্যায়ে তিনি মাওলানা আকরম খাঁ, খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ, মাওলানা মনিরুজ্জামান আনওয়ারী, মাওলানা আব্দুল্লাহিল কাফি আল-কোরায়শী প্রমুখের সান্নিধ্যে আসেন। তাদের পান্ডিত্যপূর্ণ আলোচনা ও পরামর্শ সুদর্শন ভট্টাচার্যকে ইসলাম গ্রহণে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে। ইসলামগ্রহণের পর আবুল হোসেন ভট্টাচার্য রংপুরের মহিমাগঞ্জ আলিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।- সম্পূর্ণ বইটি পড়তে ডাউনলোড করে নিন।
বইয়ের নামঃ আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম।
লেখকঃ আবুল হোসেন ভট্টাচার্য (প্রাক্তন পুরোহিত)
প্রকাশনায়ঃ জ্ঞান বিতরণী।
ধরণঃ PDF
ডাউনলোড করুন।Download Now
এই বইটির সম্পর্কে আপনার বন্ধুদেরকে জানাতে এই ফেসবুক, গুগল ও টুইটার অথবা ইমু ও হোয়াটঅ্যাপে শেয়ার করুন।
The post আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম।(বই) appeared first on Amar Bangla Post.