পিত্রালয়ে গিয়ে কিছুতেই স্বামীর বাড়ির দুর্ণাম করবে না। এমনকি চিঠি-পত্রের মাধ্যমেও নয়। কেননা এমন অনেক দুর্ণাম আছে, যার কারণে গুনাহ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। স্বামীর বাড়ীর দুর্ণাম করা ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচায়ক নয়। এর কারণেই অধিকাংশ সময় উভয় পক্ষে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
অনুরূপ স্বামীর বাড়ীতে গিয়ে নিজের পিত্রালয়ের প্রশংসা করা কিংবা তা নিয়ে অহংকার করা উচিত নয়। অযথা পিত্রালয়ের পক্ষপাতিত্বও করতে যাবে না। এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নিজেই হবে। তাছাড়া এটা সুস্পষ্ট অহংকার। আল্লাহ অহংকারকারীকে পছন্দ করেন না। উপরন্ত স্বামীর বাড়ীর সকলে বলবে, মহিলাটি তার স্বামীকে ও আমাদেরকে তুচ্ছ মনে করে।। ফলে তাঁদের কাছে তোমার কোন মর্যাদা থাকবে না। হাদীস শরীফে আছেঃ
“যে মানুষের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।”
স্মরণ রাখবে, যতক্ষণ না তুমি স্বামীর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মহান আল্লাহ তোমার কোন ইবাদত কবুল করবেন না। আল্লাহ চান, তিনি যখন তার কোন বান্দার মাধ্যমে তোমাকে কোন নে’আমত দান করেন, তখন তুমি যেন আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে উক্ত বান্দারও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো।
আল্লাহর এমন অনেক বান্দীও আছে যারা স্বামীর ছোট বড় যে কোন জিনিসকে কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করে। স্বামীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় বিষয় মনে করে।
সূত্র : কুরআন হাদীসের আলোকে পারিবারিক জীবন
নারীদের জন্য সহায়ক বই আদর্শ রমণী বইটি পড়ে নিন।
The post মহিলাদের জন্য একটি জরুরী উপদেশ appeared first on Amar Bangla Post.