21- عَنْمَعْقِلَبْنَيَسَارٍرَضِيَاللَّهُعَنْهُ،قَالَ: سَمِعْتُالنَّبِيَّصَلَّىاللَّهُعَلَيْهِوَسَلَّمَيَقُوْلُ: “مَامِنْعَبْدٍاسْتَرْعَاهُاللَّهُرَعِيَّةً؛فَلَمْيَحُطْهَابِنَصِيحَةٍإِلاَّلَمْيَجِدْرَائِحَةَالْجَنَّةِ”.
(صحيحالبخاري،رقمالحديث7150،واللفظله،وصحيحمسلم،رقمالحديث 227 – (142)،).
21 – অর্থ: মাকেল বিন ইয়াসার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন:আমি আল্লাহর নাবী[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন: “মহান আল্লাহ যে ব্যক্তিকে জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করবেন আর সে তাদের জন্য আন্তরিকতার সহিত কল্যাণদায়ক কর্ম সম্পাদন করবে না, তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না”।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং 7150 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 227 – (142), তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে]।* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:
মাকেল বিন ইয়াসার আল্ মুজানী[রাদিয়াল্লাহু আনহু]শামদেশ থেকেআল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর কাছে আগমন করেছিলেন। এবং হুদায়বীয়ার সন্ধির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনি আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর কাছে বৃক্ষের নীচে আনুগত্যের শপথও গ্রহণ করেছিলেন।আর আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন বৃক্ষের নীচে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করছিলেন, তখন তিনি বৃক্ষের ডাল আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পবিত্র চেহারা হতে উপরে উঠিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা 34 টি।
আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মৃত্যুবরণের পর রিদ্দার যুদ্ধ খালিফা আবু বাকার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর শাসনামলে সংঘটিত হয়, সেই যুদ্ধে তিনি অংশ গ্রহণ করেন।আর পারস্য বিজয়ের যুদ্ধেও তিনি মুসলিম সেনা বাহিনীর সাথে অংশগ্রহণ করেন।
খালিফা ওমার[রাযিয়াল্লাহু আনহু]তাঁকে বাসরা শহরে আমীর নিযুক্ত করেছিলেন।সেখানে তিনি খালিফা ওমার [রাযিয়াল্লাহু আনহু] এর উপদেশ অনুযায়ী মাটি খনন করে একটি নদী তৈরি করেছিলেন।আর সেই বাসরা শহরে তিনি স্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। এবং সেখানেই তিনি বসবাস করতে করতে সন65 হিজরীতে অথবা 60 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন [রাদিয়াল্লাহু আনহু]।এই বিষয়ে অন্য উক্তিও রয়েছে ।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
1।এই হাদীসটি ভয়ানক সতর্কবার্তা বহন করে ওই সমস্ত কর্মকর্তার জন্য যারা লোকজনের কাজে তাদেরকে প্রতারিত করে এবং তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেই সমস্ত কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের হোক কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ের হোক অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, পারিবাকি বা ব্যক্তিগত বিষয়ের হোক। সকলের জন্য এই হাদীসে রয়েছে সতর্ক বাণী। সুতরাং যে সমস্ত কর্মকর্তা বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে সমস্ত কর্মকর্তার জন্য পরম সুখময় স্থান জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। এবং তাদের জন্য অতি কষ্টদায়ক স্থান আগুনের জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে যাবে।
2।এই হাদীসটি ভয়ানক সতর্ক বাণী বহন করে প্রতারণাকারী ও বিশ্বাসভঙ্গকারী কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের জন্য। কেননা এতে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদরয়েছে। আর প্রকৃত ইসলামের একটি বিধান হলো এই যে, জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহজান্নাত লাভের সুসংবাদসমূহের সাথে যুক্ত করা অপরিহার্য। যেহেতু জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ সমূহ কার্যকর হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কেননা মহান আল্লাহ জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ গুলিকে কার্যকর না করার কতকগুলি উপাদান নির্ধারণ করে রেখেছেন। উক্ত উপাদান গুলির মধ্যে রয়েছে: মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী পাপ মোচনকারী সৎকর্ম এবং যারা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে নি, তাদের জন্য সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর ইচ্ছানুসারে ক্ষমা প্রদান। এই কারণে জান্নাত লাভের সুসংবাদ ও জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ সমূহকে আরবী ভাষায় বলা হয়:
) اَلْوَعْدُوَالْوَعِيْدُ(
অর্থ:জান্নাত লাভের সুসংবাদ ও জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ।
3। ইসলাম হলো সকল আমানতকারীদের আমানত সঠিকভাবে ফেরত দেওয়ার ধর্ম।অনুরূপভাবে ইসলাম হলো ব্যক্তি, দল ও সম্প্রদায়ের সমস্ত অধিকার সংরক্ষণের ধর্ম।
সূত্র : নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খন্ড
এই হাদীসটি আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। পবিত্র ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন।
The post প্রকৃত ইসলাম জনগণের অধিকার সংরক্ষণের ধর্ম appeared first on Amar Bangla Post.