কিডনির রোগ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। লক্ষণ প্রকাশ পেলেও রোগ ধরা পড়তে দেরী হয় যায়। অবশেষে যখন ধরা পরে তখন চূড়ান্ত অবস্থায় থাকে।
তখন আর কিছুই করার থাকে না। আবার কিডনি জটিল অবস্থায় না পৌছালে, অনেক ক্ষেত্রেই আগাম লক্ষণ দেখা যায় না। আপনার জানা সুবিধার্থে কিডনিতে পাথর হওয়ার ১০ টি লক্ষণ তুলে ধরলাম। এ থেকে যদি ২-৩টি লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে চেপে না যেয়ে ডাক্তারের কাছে যান।
০১. বারবার প্রসাব পাচ্ছে? প্রসাব পরিষ্কার হচ্ছে না: আপনার প্রস্রাবে যদি হঠাৎ করে এমন পরিবর্তন আসে, তাহলে আগে থেকেই সতর্ক হোন। ঘনঘন প্রস্রাব ও প্রস্রাব করতে করতে গিয়ে থেমে যাওয়া, এসবই কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ।
০২. ঘনগন শ্বাস : কিডনির সমস্যা তৈরি হলেই অতিরিক্ত ফ্লুইড ফুসফুসে গিয়ে জমা হয়। যার কারণে শ্বাসের কষ্ট হয়। ঘনঘন শ্বাস পড়ে। একটু ছুটো-ছুটিতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়।
০৩. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোনো : আপনার প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত পড়ে, তাহলে দেরী না করে ডাক্তারের সাহায্য নিন। কিডনির সমস্যায় এটি বড় লক্ষণ।
০৪. প্রস্রাবে ফেনা হওয়া : এটা একদম কোন স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। কিডনির সমস্যায় এমনটা হয়। শরীর থেকে প্রোটিন গিয়ে মুত্র মেশার কারণেই ফেনা তৈরী হয়।
০৫. পয়া ফুলে যাওয়া : টক্সিন, বর্জ্য ছাড়াও শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করে দেওয়ার কাজ করে কিডনি। যখন কিডনি তা নিঃসরণ করতে পারেনা, তখন ফ্লুইড সহ সমস্তটাই শরীরে জমে থাকে। যার ফলে পয়া ফুলে যায় আর সাথে মুখ ভার ভার লাগে।
০৬. সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়া : এরিথ্রোপোয়েটিন হরমোন কিডনি থেকে নির্গত হয়। এই হরমোন লোহিত রক্তকণিকাকে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে, সে ক্ষেত্রে এরিথ্রোপোয়েটিনের পরিমাণ কমে আসে। যার ফলে রক্তাল্পতাঁর লক্ষণ প্রকাশ পায়। শরীর দুর্বল লাগে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি চেয়ে বসে।
০৭. মাঝে-মধ্যে মাথা ঘুরা : মনঃসংযোগ করতে পারছেন না? অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার ক্ষেত্রেও এমন লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে, কিডনির সমস্যার ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো আরো প্রকোট। মস্তিঙ্কে কম অক্সিজেন কারণেই হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘুরে যায়। মনঃসংযোগের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে।
০৮. গরমে ঠান্ডা বোধ করা : চারপাশে গরম থাকা সত্ত্বেও যদি আপনি শীত অনুভব করেন এবং এটা যদি বেশ কিছুদিনব ধরে চসলতে থাকে, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিশ্চিতভাবেই এটি কিডনির সমস্যার একটি লক্ষণ।
০৯. ফুসকুড়ি ও চুলকুনিতে নাজেহাল? : কিডনিতে সমস্যা শুরু হলে, গায়ে ঘনঘন ফুসকুড়ি বা র্যােশ বেরোয়। ত্বকে চুলকানির লক্ষণ দেয়া যায়। অ্যালার্জি বলে ধরে নিয়ে প্রায় সময়ই আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু ভুললে চলবে না কিডনির কোনও অসুখ হলে বা কিডনি একদম কাজ না করলেও এমনটা হতে পারে।
১০. বমি বমি ভাব : নানা কারনে গা গুলিয়ে উঠতে পারে। তবে কিডনির সমস্যায় ক্ষেত্রে এটা কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষণ বলে ধরে নিতে পারেন। রক্তে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ মিএ গেলে, শরীর আর তখন নিতে পারেনা। ফলে খাবার দেখলেই গা গুলিয়ে ওঠে। সবসময় বমি বমি ভাব থাকে। মাঝে-মধ্যে বমিও হয়।
তাই সাবধান। এর থেকে যদি কয়েকটি লক্ষণ আপনার সাথে মিলে যায়, ভয় না-পেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সাবধানের বিপদ নেই।
উৎস : indiatimes
The post কিডনিতে পাথর হওয়ার ১০ টি লক্ষণ appeared first on Amar Bangla Post.