জান্নাতের ভেতর পাখিরা উড়ে যাচ্ছে। কখনো উড়ে আসছে। সে পাখি জান্নাতীদের বলছে—হে আল্লাহর বন্ধু আমাকে খাও। অন্য একটি পাখি এসে বলবে, না একে নয় আমাকে খাও। তৃতীয় আরেকটি পাখি এসে কই কথা বলবে। পাখিরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে। কে কার আগে খাদ্য হবে। ঘরের মুরগি জবাই করার জন্য ধরতে চাইলে ছুটাছুটি করে পালিয়ে যেতে চায়। আর এখানে পাখিরা এসে বলছে আমাকে খাও । একটি পাখি বলছে—হে আল্লাহর বন্ধু! আমি জান্নাতুল ফিরদাউসের ঘাস খেয়েছি এবং তুবা বৃক্ষের নীচে সালসাবিল যে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হয়েছে সে ঝর্ণার পানি পান করেছি। আমার দেহে এক দিকে আছে ভূনা করা অপর দিকে আছে সুরুয়া দিয়ে রান্না করা। আমাকে কি খাবে না?
পাখিরা কাতার, ফলের বাহার নীচে ঝর্ণার প্রবাহ দুধের নহর, মধুর নহর পানির নহর। সেসব ঝর্ণার এক পাশে ইয়াকুত এক পাশে মোতি, নীচে কস্তুরি। সেই ঝর্ণার প্রবাহ আপনার প্রাসাদে এসে ঢেউ তুলেছে।
সূত্রঃ তাজা ঈমানের সত্য কাহিনী।
লেখকঃ মাওলানা তারিক জামীল।
The post জান্নাতী পাখিদের গল্প appeared first on Amar Bangla Post.