
হালাকু খান যখন বাগদাদ নগরী জয় করল তখন সর্বেশেষ আব্বাসী খলীফা মু’তাসিম বিল্লাহকে হত্যা করে তাঁর স্ত্রীকে নিজের অধীনে নিয়ে নেয়। এ অবস্থায় খলীফার স্ত্রী চিন্তা করলেন এর হাতে পড়া মানে নিজের ইজ্জত ও সতীত্ব পাষণ্ডের হাতে জলাঞ্জলী দেয়া। তাই তিনি একটা বুদ্ধি বের করে বাঁদীকে ডেকে কানে কানে এক কথা বললেন। তাঁরা দু’জন একত্রে হালাকু খানের কাছে এগিয়ে গেল। বাঁদী বলল—জাঁহাপনা! আব্বাসী খান্দানের মহিলাদের ব্যাপারে পুর্ব থেকে কিন্তু একটা বিষয় প্রচলি আছে—তা হল, তরবারী তাদের মধ্যে কোন আসর করে না, তরবারীর আঘাত ফতাদের শরীরে লাগে না। হালাকু খান বলল, এটা আবার কেমন কথা? বাঁদী বলল বিশ্বাস না হয় দেখুন। আমি আপনাকে পরীক্ষা করে দেখাই। হালাকু খান বলল, দেখাও তাহলে। বাঁদী তরবারী তুলে মারল বেগমের মাথায়। সাথে সাথে বেগমের শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এমনই ভয় আল্লাহর। নিজের ইজ্জত বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়ে দিলেন। হালাকু খান বুঝতে পারল তাঁর সাথে ধোকাবাজি করা হয়েছে। তাঁর মুখের খাবার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাই সে বাঁদীকে কষ্টের পর কষ্ট দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করল। এমনই অত্যাচার করা হল যা দেখলে বা শুনলে শরীরের লোম শিহরিত হয়ে ওঠে। এ আল্লাহভীরু মহিলা জীবন দিয়ে নিজের ইজ্জত হিফাজত করে গেলেন।
সূত্রঃ তাজা ঈমানের সত্য কাহিনী।
লেখকঃ মাওলানা তারিক জামীল।
The post সতীত্ব রক্ষায় জীবন দান appeared first on Amar Bangla Post.