Quantcast
Channel: Amar Bangla Post
Viewing all 2081 articles
Browse latest View live

মযী কি! মযী যেভাবে বের হয়। জেনে নিন মজি বের হলে করণীয়

$
0
0

পুরুষের বিব্রত সমস্যার একটি নাম হচ্ছে মযী।

এই বিব্রতকর সমস্যায় অনেক পুরুষই ভোগে থাকেন। মযী কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয়ে যায় কি না, মযি বের হলে অযু নষ্ট হয়ে যায় কি না কিংবা গোসল করা লাগবে কি না তা নিয়ে বহু পুরুষ চিন্তিত হয়ে পড়ে। মযী বের হবার কারণে অনেক ভাইদের নামায-কালাম পড়তে অসুবিধে হয়। তাই আসুন আমরা “পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন” বই থেকে জানি মযী কি এবং মজি বের হলে করণীয় সমূহ।

মযী সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)-মের হাদীস

আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমার অধিক পরিমাণে “মযী” বের হত। আমি একজনকে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করতে অনুরোধ করি। কেননা তার কন্যা (মা ফাতেমা) আমার স্ত্রী, আমার অধীনে ছিল। এ ব্যক্তি রাসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে-তিনি বলেন, এ অবস্থায় অযু করবে এবং পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলবে। (বুখারী)

তিরমিযী শরীফের বর্ণনাঃ

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, আমি রাসূল (সাঃ)-কে মযী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, মযী বের হলে অযু করতে হবে; আর মনীতে (বীর্যপাত হলে) গোসল করতে হবে। (তিরমিযী)

আলী (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (সাঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, মযী বা পাতলা আঠালো পানি দু’এক ফোঁটা বা আরও অধিক পরিমাণে বের হলেও গোসল করতে হবে না, বরং এ অবস্থায় অযু করলেই যথেষ্ট হবে। আর মনী (ঘন গাঢ় বীর্য) বের হলে গোসল করতে হবে।

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমার প্রায়ই মযী নির্গত হত এবং গোসল করতাম—এমনকি এ কারণে (ঠান্ডায়) আমার পিঠে ব্যথা হত। অতঃপর আমি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খিদমতে উপস্থাপন করি। (রাবী বলেন) কিংবা অন্য কারো দ্বারা বলানো হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তুমি এরূপ করবেনা, বরং যখনই মযী বের হয়েছে দেখবে, তখনই তা ধৌত করবে এবং নামায আদায়ের জন্য যে অযু কর সেভাবে অযু করে নিবে। অবুশ্য যদি উত্তেজনাবশতঃ বীর্য (মনী) বের হয়ে যায় তাহলে গোসল করবে। (আবু দাউদ)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সহীহ হাদীস থেকে আরও প্রমাণিত হয়-মযী কাপড়ে লেগে গেলে তা ধৌত করার কোন প্রয়োজন হয় না বরং মযী লেগে যাওয়ার স্থানে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে।

সাহাল বিন হোনাইফ (রাঃ) বর্ণনা, আমার অত্যাধিক লিঙ্গোত্থানের জন্য একাধিকবার মযী বের হত। তাই আমি বার বারই গোসল করতাম। আমি একথা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেঃ তিনি বলেনঃ এ কারণে তোমার অযু করাই যথেষ্ট হবে। আমি প্রশ্ন করলামঃ হে আল্লাহর! আমার কাপড়ে মযী লেগে গেলে কি করব? তখন তিনি বললেনঃ তুমি পানি নিয়ে যেখানে তোমার কাপড়ে মযী লেগেছে সেখানে ছিটিয়ে দিবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়, মযী বা পাতলা আঠাল পানি কাপড়ে লেগে গেলে কাপড় ধৌত করার কোন প্রয়োজন নেই বরং কাপড়ের এ মযী লেগে যাওয়ার স্থানে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে। তাছাড়া মযী লেগে আছে এ দ্বিধা দূর করার জন্য রাসূলুল্লাহ (৯সাঃ) পানি ছিটিয়ে দিতে বলেছেন। বিশেষ করে প্রত্যেক অযুর শেষে লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়।

আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ আমার কাছে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এসে বলেনঃ হে মুহাম্মদ! যখন তুমি অযু শেষ করবে তখন (লজ্জাস্থানে) পানির ছিটা দিবে (তিরমিযী)

আলী বিন আবূ তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি অত্যাধিক মযী বিশিষ্ট লোক ছিলাম। আমি আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-ক জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করলাম। মিকদাদ বিন আসওয়াদকে বললাম যেন, রাসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে। অতঃপর মিকদাদ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ অবস্থায় অযু করতে হবে। (বুখারী, মুসলিম)

মুসলিম শরীফের অপর বর্ণনা, নিজের লজ্জাস্থান ধৌত করবে এবং অযু করবে।

আহমদ এবং আবু দাউদের বর্ণানা, নিজ লজ্জাস্থান ও অন্ডকোষদ্বয় ধুবে এবং অযু করবে।

আবদুল্লাহ বিন দা’দ থেকে বর্ণিত, আমি “পানির পর পানি” (অর্থাৎ পেশাবের পর মযী বের হওয়া) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)_কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে, সেটি মযীর কারণে। প্রত্যেক যুবকেরই মযী বের হয়, এরকম হলে তুমি তোমার লজ্জাস্থান ও অন্দোকোষদ্বয় ধুবে এবং নামাযের জন্য অযু করবে। (আবু দাউদ)

মযী বের হওয়ার সম্পর্কে ইমাম আশশাওকানী আরও বলেনঃ

মযী বের হলে গোসল ফরয হয়না। এটিই সর্বসম্মত অভিমত, তিনি আরও দলীল গ্রহণ করেছেন যে, মযীর ফলে অযু করার নির্দেশটি প্রস্রাবের ফলে অযু করার নির্দেশের মত মযী পবিত্র করতে পানি লাগবে। কারণ হাদীসে বলা হয়েছে “এক অঞ্জলী পানি হাতে ছিটান”।

প্রস্রার করলে যেমনিভাবে অযু ভেঙ্গে যায়, আবার নতুন অযু করে নামায আদায় করতে হয়। তেমনিভাবে মযী বের হলেও অযু ভেঙ্গে যায়। তবে মযী যেমন কাপড়ে লেগে গেলে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হয়, তেমনিভাবে প্রস্রাবের ছিটা কাপড়ে লেগে গেলে পানির ছিটা মোটেই যথেষ্ট নয় বরং উত্তম রূপে প্রস্রাবের ছিটা ধৌত করে নেয়াটাই উত্তম।

আপনি পড়ছেন : পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন এর পর পড়ুনঃ ‘মনির’ পরিচয় 

আরও পড়ুন ঃ যৌন উত্তেজনায় বীর্যপাত হলে করনীয়

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আমাদের বই, আর্টিকেল, গল্প ও কবিতা পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে সাহায্য করুণ। আপনার মতামত জানাতে অবশ্যই কমেন্ট করুণ। আপনার মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের আপডেট পেতে আমাদের ফোন নাম্বার আপনার মোবাইলে সেভ করে নিন।

The post মযী কি! মযী যেভাবে বের হয়। জেনে নিন মজি বের হলে করণীয় appeared first on Amar Bangla Post.


বদমেজাজী স্বামীকে বশ করার উপায়

$
0
0

বদমেজাজী স্বামীকে বশ করতে স্ত্রীর করনীয়

বদমেজাজী স্বামীযদি কারো ভাগ্যে বদমেজাজীনিষ্ঠুর স্বামী ভাগ্যে জুটে যায়, তাহলে নববধূকে হতাশ হলে চলবে না, বরং যথাসম্ভব ঝগড়া-কলহ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য নববধূকে প্রথমে ঝগড়া-বিবাদের মূল কারণ ও হেতু চিহ্নিত করে সে অনুপাতে ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতায় আসতে হবে। মনে রাখতে হবে-সব মানুষের মন-মেজাজ এক রকম হয় না। তাই ভাগ্যের লিখন মনে করে বসে না থেকে এর পন্থা অবলম্বন করাই কর্তব্য।

কখনো কখনো এমন হয়ে থাকে যে, বাহ্যিকভাবে যে বিষয়টিকে ঝগড়া-বিবাদের কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়, মূলতঃ তা ঝগড়া-বিবাদের কারণ নয়। বরং কারণ হয়ত অন্য কিছু, যা উভয়ের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, যা দূর করার জন্য প্রয়োজন একে অপরের বুঝতে চেষ্টা করা এবং একনিষ্ঠততার সাথে একে অপরের সহযোগী হওয়া।

কখনো কখনো প্রাথমিক পর্যায়ে একে অপরের স্বভাবের সাথে, মেজাজের সাথে, মন-মানসিকতা ও অভ্যাসের সাথে পরিচিত না হওয়ার কারণেও ঝগড়া-বিবাদ হয়ে থাকে। পরস্পরে একটু ছাড় দিয়ে একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করলে তা নিরসন হয়ে যায়।

আবার কখনো কখনো এমনও হয়ে থাকে যে, স্বামী-স্ত্রীর গভীর প্রেম-ভালবাসার মাঝে কুটনী শাশুড়ী, ফাসাদী জা, হিংসুকে ননদ প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। তখন নববধূকে বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। যাতে সাপও মরে যায়, লাঠিও না ভাঙ্গে।

মোটকথা, ঝগড়া-বিবাদ যে কোন কারণেই হোক না কেন, উলামায়ে কিরাম বা দ্বীনদার বিজ্ঞজনের সাথে পরামর্শ করে সুরাহা করে নিতে হবে। যত বয়াবহ অবস্থাই হোক না কেন, নিরাশ হওয়া যাবে না। সমস্যা বৃদ্ধি না করে সমাধানের পথ করাই মঙ্গলজনক।

কখনো কখনো এমন দেখা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী প্রথম হতেই এটা উপলদ্ধি করতে পারে যে, তাদের বৈবাহিক জীবন হয়ত দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে না। যেমন, প্রথম হতেই স্বামীর কাছে তার স্ত্রী পছন্দনীয় হয়নি। আর অধিকাংশ সময় এটা তখনই হয়ে থাকে, যখন স্বামী বিবাহ করার প্রাক্কালে তার স্ত্রীকে না দেখে শুধুমাত্র মা বা বোনের কথার উপর নির্ভর করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

এজন্যই প্রতিটি পুরুষ ও মহিলার জন্য জরুরী হচ্ছে-বিবাহ কার্য সম্পাদনের পূর্বেই যাকে নিয়ে জীবনের পদযাত্রা শুরু করতে চায়, তাকে অন্যন্ত দক্ষতার সাথে যাচায়-বাচাই করা। তার আচার-আচরণ, রীতি-নীতি পর্যবেক্ষণ করা। আবেগের বশবর্তী হয়ে বা কারো প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে এরূপ গুরুত্বপূর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়।

আপনি পড়ছেনঃ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই থেকে।

আপনাকে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু পরামর্শমূলক আর্টিকেল…

০১। স্বামীকে খুশী  ও আনন্দময় রাখার উপায়…

স্বামীকে কিভাবে খুশি ও আনন্দময় এবং হাস্যোউজ্জ্বল রাখা যায় তাঁর উপায় ও নিয়ম গুলো জানুন। যেসব কাজ ও কথার দ্বারা স্বামী খুশী হয় তা এক বোনের প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

পড়ুন >> যা করলে স্বামীকে খুশী রাখা যায়

২। সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্ব (দাম্পত্য বিষয়ক বই)

কিভাবে সৌভাগ্যময় ঘর রচনা করা যায় এবং স্বামী স্ত্রী দ্বন্দ্ব নিরসন করে সুখী দাম্পত্য জীবন গঠন করা যায় তাঁর কলা-কৌশল ও নিয়মাবলি লেখক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার দাম্পত্য জীবনকে সৌভাগ্যময় করতে এবং ঝগড়া বিবাদ ও দ্বন্দ্ব দূর করে আনন্দময় সংসার গঠন করে তুলতে লেখকের এই বইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়ুন।

পড়ুন >> সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব

৩। যৌন জীবন আকর্ষণীয় ও আনন্দময় করার উপায়।

আপনার যৌন জীবনকে আনন্দময় ও আকর্ষণীয় করতে ৫টি পরামর্শ পড়ুন। এই ৫ টি পরামর্শ আপনাদের যৌন জীবনে প্রয়োগ করলে আপনাদের যৌন জীবনের আনন্দ পূর্বে চেয়ে বহু গুণ বেড়ে যাবে।

পড়ুন>> যৌন জীবন আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে পাঁচটি পরামর্শ

প্রিয় পাঠিকা, আমাদের পরামর্শ গুলো পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আমাদেরকে জানাতে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার মতামত তুলে ধরুন। আপনার  বান্ধবীদেরকে পড়াতে এটি শেয়ার করুণ।

The post বদমেজাজী স্বামীকে বশ করার উপায় appeared first on Amar Bangla Post.

ইসরাইল সন্ত্রাসী বাহিনীর ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণের ভিডিও দেখুন

$
0
0

আল জাজিরা টিভির খবরের ভিডিওতে দেখুন দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল সেনাবাহিনীর ফিলিস্তিন মুসলিমদের উপর আক্রমণ ও নির্যাতনের দৃশ্য।

এই বর্বর সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নারীরাও।

আন্দোলরত ফিলিস্তিনিদের রুখতে নারীদের উপর এভাবেই হামলে পড়ছে ইসরাইলের বর্বর সন্ত্রাসী বাহিনী।

আরও দেখুন ঃ ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইল সেনাবাহিনীর হামলা ও আক্রমণের ছবি

The post ইসরাইল সন্ত্রাসী বাহিনীর ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণের ভিডিও দেখুন appeared first on Amar Bangla Post.

পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন (ইসলামিক যৌনজ্ঞানের বই)

$
0
0

বর্ণনাঃ পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই লেখা হয়েছে বিজ্ঞান ও কোরআন হাদীসের আলোকে। বইটিতে মুসলিম স্বামী স্ত্রীর জীবন যাপন, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নানান দিক, গর্ভধারণ ও গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান, যৌন জীবনের পবিত্রতা, যৌন মাসআলা মাসায়েল সহ স্বামী স্ত্রীর যৌন জীবনের নানান দিক গুলো কোরআন-হাদিস ও বিজ্ঞান দ্বারা শালীন ভাষায় আলোকপাত করা হয়েছে। বইটি পড়ে মুসলিম স্বামী স্ত্রী কোরআন-হাদীস ও বিজ্ঞানের আলোকে আধুনিক যৌন জ্ঞান লাভ করতে পারবে। বইটি আমার বাংলা পোস্ট.কম পাঠক-পাঠিকাদের জন্য বিনামূল্যে পড়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। 

বইয়ের নাম ঃ পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।

লেখকঃ

প্রকাশকঃ

দামঃ

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আপনাদের সহজে পড়ার সুবিধার্থে এই বইয়ের সকল আলোচ্য বিষয় গুলো আলাদা আলাদা ভাবে  ব্লগে প্রকাশ করা হয়েছে। নিচের “সূচিপত্র” থেকে আপনার আলোচ্য বিষয়টি বেঁছে নিন এবং আপনার প্রয়োজনীয় আলোচ্য বিষয়টি পড়তে ক্লিক করুণ বা আলোচ্য বিষয়ের উপর আঘাত করুণ। তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত আলোচ্য বিষয়টি নতুন একটি পাতায় খোলে দেওয়া হবে।

সূচিপত্র…………

১৪ নব বিবাহিত ছেলে-মেয়েদের জন্য জানার মত কিছু কথা

১৫ ঋতুবতী নারীরা নাপাক নয়!

১৭ স্বপ্নদোষ হলে করণীয়

২১ যৌন উত্তেজনায় বীর্যপাত হলে করনীয়

২৬ যৌন কেশ পরিস্কার করার সম্পর্কে ইসলামের বিধান

২৭ মযী যেভাবে বের হয়

২৮ বদমেজাজী স্বামীকে বশ করার উপায়

 

প্রিয়-পাঠক-পাঠিকা, বইটি আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু দিনের ভিতরেই বইয়ের সকল আলোচ্য বিষয় গুলো পেয়ে যাবেন।

The post পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন (ইসলামিক যৌনজ্ঞানের বই) appeared first on Amar Bangla Post.

উ (O-u) দিয়ে ছেলেদের নাম

$
0
0

আপনার সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলের জন্য একটি সুন্দর ইসলামিক নাম রাখুন।

দেখুন  উ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম ও নামের অর্থ।

উ দিয়ে ছেলের নাম গুলো পড়ুন এবং আপনার পছন্দের সুন্দর অর্থবহ নামটি আপনার সদ্য জন্ম গ্রহণ ছেলের জন্য রেখে দিন।

এই নাম ও নামের অর্থ গুলো আপনার কাছে ভালো না লাগলে অন্য  তালিকা থেকে সুন্দর একটি নাম বেঁছে নিন।

 

ক্রমিক নং বাংলা ইংরেজী অর্থ
০১ উসামাহ Usamah বাঘ, বিশিষ্ট সাহাবীর নাম
০২ উসায়দ Usaid সিংহশাবক
০৩ উসলুব Uslub নিয়ম – পদ্ধতি
০৪ উলুল আবসার Ulul absar দৃষ্টিমান
০৫ উব্বাদ Ubaid ইবাদতকারী
০৬ উবায়েদ Ubaid ক্ষুদ্র সেবক, দাস
০৭ উতবা Utbah সাহাবীর নাম, গাটির নাম
০৮ উসমান Usman তৃতীয় খলিফার নাম
০৯ উরফী Urfi বিখ্যাত পারস্য কবি
১০ উযাইর Uzair একজন নবীর নাম
১১ উক্বাব Ugab  সম্পাদনকারী
১২ উমর Umar জীবন, দীর্ঘজীবী গাছ
১৩ উরফাত Orfat উঁচু জায়গা
১৪ উতমান Othman সুন্দর কলম, পাখির নাম
১৫ উতবা Utba সন্তুষ্টি
১৬ উযায়ের Ojair মার্জিত রুচিসম্পন্ন ব্যক্তি
১৭ উমর ফারুক Omar Faruque দ্বিতীয় খলিফার নাম
১৮ উছমান গণী Usman Gani তৃতীয় খলীফার নাম
১৯ উতবা মাহদী Utba Mahdi সৎপথ প্রাপ্ত সন্তুষ্টি ব্যক্তি
২০ উরফাত হাসান Orfat hasan সুন্দর উঁচু জায়গা
২১ উযায়ের রাযীন Ojair Razin মর্যাদাবান রুচি সম্পন্ন ব্যক্তি
২২ উবায়েদ হাসান Obaid Aasan সুন্দর গোনাম
২৩ উবায়দুল্লাহ Obaidullah আল্লাহর বান্দা
২৪ উরফাত মুফীদ Orfat Mofid উঁচু জায়গা যা উপকারী
২৫ উবাউদুর রহমান Obaidur Rahman করুণাময়ের দাস
২৬ উতবা মুবতাহিজ Otba Mobitahiz সন্তুষ্টি উৎফুল্ল
২৭ উবায়দুল হক Ubaidul Huque সত্যপ্রভুর বান্দা
২৮ উসামা ইবনে লাদেন Usamah ben Laden সৌদি এক ধন কুবের এর নাম,  ভাবী ইসলামী যুদ্ধের অমর সৈনিক

আরও ছেলেদের নামের তালিকা…

০১. আ দিয়ে ছেলেদের ২৩০ টি ইসলামিক সুন্দর নামের তালিকা

০২. আল্লাহর নামের সাথে “আবদ” যুক্ত নাম

০৩. ই ঈ অক্ষর দ্বারা ছেলেদের ইসলামিক সুন্দর নাম

আমাদের দেওয়া নামের অর্থ গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে? ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ দিন। আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুণ। একটি সুন্দর কার্যকরী সামাজিক ব্লগ প্লাটফর্ম নির্মাণে আপনিও ভূমিকা রাখুন।

The post উ (O-u) দিয়ে ছেলেদের নাম appeared first on Amar Bangla Post.

ও (W) দিয়ে মেয়েদের নাম

$
0
0

আপনার আদরের সোনামণির জন্য একটি সুন্দর ইসলামিক নাম রাখুন।

আপনার সোনামণির একটি সুন্দর নাম রাখতে দেখুন ও দিয়ে মেয়েদের সুন্দর নাম ও নামের অর্থ।

ও দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম গুলো পড়ুন এবং আপনাদের পছন্দের সবচেয়ে সুন্দর অর্থপূর্ণ নামটি রেখে দিন।

এই পর্বের নাম গুলো যদি আপনার কাছে ভালো না লাগে তাহলে অন্য অক্ষরের নাম গুলো থেকে আপনার মেয়ের জন্য সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করুণ।

ক্রমিক নং বাংলা ইংরেজী নামের অর্থ
০১ ওয়াহিদা Waheda এক, একলা, একাকী
০২ ওয়ারিসা Waresha উত্তরাধিকারিনী
০৩ ওয়াসিফা Wasefa প্রশংসাকারিণী
০৪ ওয়াসিজা Waeza উপদেশ দাতা
০৫ ওয়ামিয়া Wamea বৃষ্টি
০৬ ওয়াসীকা Wasiqa প্রমাম, বিশ্বাস, প্রত্যয়পত্র
০৭ ওয়াজীহা Wajiha সুন্দরী
০৮ ওয়াহীদা Wahida একক, চিরণ
০৯ ওয়াসীমা Wasima সুন্দরী, লাবণ্যময়ী
১০ ওয়াকীলা Wakila প্রতিনিধি
১১ ওয়ালীদা Walida বালিকা
১২ ওয়ালীয়া Waliya বান্ধবী,  হিতকারী
১৩ ওয়াসিলা Wasela সাক্ষাৎ কারিণী
১৪ ওয়াজেদাহ Wazada সংবেদনশীলা
১৫ ওয়াফিয়াহ Wafiah অনুগত, যথেষ্ট
১৬ ওয়াজদিয়া Wazdea আবেগময়ী, প্রেমময়ী
১৭ ওয়াফা Waafa অনুরক্ত
১৮ ওরদাত Ordat গোলাপী
১৯ ওয়াদীফা Wadifa সবুজঘন বাগান
২০ ওয়াসামা Wasama চমৎকার
২১ ওয়াফীকা Wafiqa সামঞ্জস্য
২২ ওয়ালীজা Waliza প্রকৃত বন্ধু
২৩ ওয়াশিজাত Washezat পরস্পরের আত্মীয়তা
২৪ ওয়াহফুন Wahfun ঘন কালো কেশ
২৫ ওয়াদীয়াত Wadeeat কোমলমতি, আমানত
২৬ ওয়াহফাত Wahfat আওয়াজ,  কালো পাথর
২৭ ওয়াস্বীক্কা Waseqa বিশ্বাসী
২৮ ওয়াসীমা মাকসূরা Waema maksusa সুন্দরী পর্দানশীন স্ত্রীলোক
২৯ ওয়াজীহা শাকেরা Wazeeha shakira সম্ভ্রান্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারিণী।
৩০ ওয়াফীয়া মুকারামা Wafia mokarama অনুগতা সম্মানিতা
৩১ ওয়াজীহা  মুবাশশিরাহ Wazeeh mubsaihira সম্ভ্রান্ত সুসংবাদ  বহন কারিণী।
৩২ ওরদাহ ক্বাসিমাত Wordah Quasimad গোলাপী চেহারা
৩৩ ওয়াফিয়া আত্বিয়া Wafia atia অনুগতা দানশীলা
৩৪ ওয়াফিয়া সানজিদা Wafeeasan zeeda অনুগতা সহযোগিনী
৩৪ ওয়াসীমা জিন্নাত Waseemat zinnat সুন্দরী সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোক
৩৫ ওয়াফিয়া সাদিকা Wafeeasadiqa অনুগতা সত্যবাদিনী
৩৬ ওয়াসীমা তায়্যেবা Wasima Taiybah সুন্দরী পবিত্রা
৩৭ ওয়াফীয়া জিন্নাত Wafia Zinnat অনুগতা সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোক
৩৮ ওয়াদীয়াত খালিসা Wadeatkhalisa কোমলমতী উত্তম স্ত্রীলোক
৩৯ ওয়াফিয়া তায়িবা Wafea Taiyaba অনুগতা পবিত্রা
৪০ ওয়াসিফা আনিকা Wasefa anika গুনবতী রূপসী

আরও মেয়েদের সুন্দর নামের তালিকা দেখুন…

০১। ই-ঈ (I-Y-E) অক্ষর দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

০২। গ দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

০৩। মহিলা সাহাবীদের নাম

০৪। খ দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

৫। অা দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

৬। K Q : ক দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

আমাদের দেওয়া নামের অর্থ গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে? ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ দিন। আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুণ। একটি সুন্দর কার্যকরী সামাজিক ব্লগ প্লাটফর্ম নির্মাণে আপনিও ভূমিকা রাখুন।

The post ও (W) দিয়ে মেয়েদের নাম appeared first on Amar Bangla Post.

অ (O) দিয়ে ছেলেদের নাম

$
0
0

সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া আপনার ছেলের জন্য একটি সুন্দর ইসলামিক নাম রাখুন।

আপনার ছেলের জন্য সুন্দর ইসলামিক নাম রাখতে,

দেখুন অ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক সুন্দর নাম ও নামের অর্থ।

বাংলা ইংরেজী নামের অর্থ
০১. অলী OLI বন্ধু, অভিভাবক
০২. অহি Ohi আল্লাহর বাণী প্রত্যাদেশ
০৩. অলী উল্লাহ Oli ullah আল্লাহর বন্ধু
০৪. অলি আহমাদ Oli Ahmed প্রশংসাকারী বন্ধু
০৫. অলি আহাদ Oli Ahad একক বন্ধু
০৬. অলি আবসার Oli Absar বন্ধু উন্নত দৃষ্টি
০৭. অমিত হাসান Omit Hasan সুদর্শন

আরও ছেলেদের নামের তালিকা…

০১. আ দিয়ে ছেলেদের ২৩০ টি ইসলামিক সুন্দর নামের তালিকা

০২. আল্লাহর নামের সাথে “আবদ” যুক্ত নাম

০৩. ই ঈ অক্ষর দ্বারা ছেলেদের ইসলামিক সুন্দর নাম

০৪. উ (O-u) দিয়ে ছেলেদের নাম

আমাদের দেওয়া নামের অর্থ গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে? ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ দিন। আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুণ। একটি সুন্দর কার্যকরী সামাজিক ব্লগ প্লাটফর্ম নির্মাণে আপনিও ভূমিকা রাখুন।

The post অ (O) দিয়ে ছেলেদের নাম appeared first on Amar Bangla Post.

আফসানা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর জন্মদিনের গল্প)

$
0
0

আফসানা একটা ঝলমলে তরুণী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী।

গরীব এক শিক্ষকের মেয়ে। তাঁরা দুটি ভাইবোনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মাসে ৫/৬ হাজার টাকা  জোগানো বাবার জন্য কষ্টকর-আফসানা  তা বুঝে। অন্যদিকে তাঁর অবুঝ অনুজ—বেপরোয়া, জেদি এবং বাপের আর্থিক কষ্টের প্রতি উদাসীন।

মেয়েটি একটা প্রাইভেট টিউশনি খোঁজে। সেখানেও ঠিকাদারি আছে। যারা টিউশনি জোগাড় করে দেয় তাদেরও একটা ভালো কমিশন দিতে হয়।

যা হোক, একটা টিউশন তাঁর জুটলো। বাচ্চাটি আমেরিকান স্কুলে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃকপক্ষ শর্ত দিয়েছে বাচ্ছাটির মাকেও ভালো ইংরেজী বলা শিখে নিতে হবে—তিন মাসের মধ্যে। যাতে করে বাচ্চার Pronuciation ঠিক হয়। বাসায় এসে স্কুলের শিক্ষা মাটি হয়ে না যায়। তো আফসানা একটা ধনীঘরের গিন্নি আর সন্তানের শিক্ষিকা হয়ে গেল। সপ্তাহে তিন দিন ঘড়ি ধরে মা ও মেয়েকে এক ঘন্টা এক ঘন্টা করে পড়াতে হয়।

ধানমন্ডির এই বাড়ির আলাদা বৈশিষ্ট্য—শাশুড়ি এখনও বাড়ির সর্বময় কর্ত্রী।

আফসানার সন্তুষ্টি মাস শেষে চার হাজার টাকা। উত্তম চা নাস্তা এবং রুচিশীল ব্যবহার।

৩১ আগস্ট, আফসানা গৃহকর্ত্রীকে জানায় ১ সেপ্টেম্বর তাঁর ছুটি চাই। বুড়ি বলেন, ঠিক আছে!

কিন্তু মুহূর্তেই তিনি ঘুরে দাঁড়ালেন। এবং বললেন, কেন মিস, কাল কী জন্য ছুটি চাচ্ছেন?

আফসানা বলতে চায় না, হে হুঁ করে, কিন্তু শেষে বলতে বাধ্য হয়—আমার জন্মদিন। হলের কজন বান্ধবী বিকেলে ছোট্ট একটা আয়োজন করে ফেলেছে।

কর্ত্রীর চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। বললেন, শোনেন মিস, জন্মদিন টন্মদিন এসব একজন টিউটরের জন্য ঘোড়ারোগ। কালকে আপনার আসতেই হবে। হলের অনুষ্ঠান আপনি রাতেও করতে পারেন।

থ হয়ে  যায় আফসানা, কোনও কথা মুখে আসে না। নিজের দারিদ্র্যের ওপর প্রচন্ড রাগ হয় তাঁর। নিজে নিজেকেই মনে মনে বলে, মরে যাচ্ছি না কেন!

হলে পৌঁছে পেঁচার মতো মুখ করে রাখে।

বান্ধবীরা জিজ্ঞেস করে, কী হয়েছেরে?

বলবে না, বলবে না করেও বলে সকল বৃত্তান্ত।

জানায় সে আর টিউশনটা করবে না।

বান্ধবীরা বলে, সর্বনাশ। হারামিদের উপযুক্ত শাস্তি চাকরি ছাড়া নয়রে। যা, তুই কাল—আমরা রাতেই করব অনুষ্ঠান।

আফসানা সারারাত ঘুমাতে পারে না। তাঁর আত্মশ্লাঘায় ঘা লেগেছে। আফটার অল, ‘মফু’ হলেও সম্মানিত পরিবারের সদস্য সে।

১ সেপ্টেম্বরের দিনটা তাঁর To be or not to be বোধে কাটে।

বাস্তবতা জয়ী হলো শেষে। ৩ টা ৩০ মিনিটে সে নিজেকে ধানমন্ডির নির্দিষ্ট বাসার কলিংবেলের ওপরে তর্জনী রাখতে দেখে।

অন্যরকম দিন, ভিন্নরকম অনুভূতির মধ্যে খোলে দরজা। কাজের বুয়া দরজা খোলে। সে তাঁর নির্দিষ্ট আসনে বসে অপেক্ষা করে ছাত্রের। না, কেউ আসছে না তো।

তাঁর ভাবনার দীর্ঘতম সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, উঠে যাবে সে—ঠিক এমন মুহূর্তে কেক আর কত কিছু (যা সে কখনও ভাবেওনি) আয়োজন নিয়ে এই পরিবারের সকলে হাজির হলো রুমে। বাড়ির কর্তা যাকে সে কখনও দেখেনি তিনিও হাসিমুখে দাঁড়িয়ে।

বুড়ি বললেন, মেয়ে তুমি আমাদের বড্ড পর ভাবো। ভালো মানুষের মেয়ে অথচ তুমি জন্মদিন পালন করছো হলে। আমাদের দাওয়াটাও দিলে না। আমার নাতি আর বউটাকে পড়াচ্ছো অথচ পর ভাবো। আমরা তোমার পর নইরে মা। আমরা তোমার জন্মদিনের উৎসব করছি দেখো।

হ্যাপি বার্থ ডে, কোরাস শুরু করেন অন্যরা।

বুড়ি বলেন, সময় পাইনি, আয়োজন বড়ো কম। তুমি কিছু মনে করো না মা।

তারপর কেক কাঁটা আরও কত কী।

আফসানার চোখে পানির জোয়ার। আহা কোনও কোনও ধনীও ভালো মানুষ হয়!

লেখকঃ কালাম আজাদ

আরও কিছু গল্প…

০১। বাতিঘর (কনে দেখার গল্প)

০২। ছেঁড়া ব্লাউজ (কুমারী মেয়ের গল্প)

গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করুণ। আরও গল্প পড়তে ভিজিট করুণ>> গল্প বিভাগে।

The post আফসানা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর জন্মদিনের গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.


সস্তা মেয়ে (প্রেমের গল্প)

$
0
0

শিপা আর রিপা দুই বোন।

মাঝারি এক কর্মকর্তা মজিদ সাহেব তাঁদের বাবা।

রিপা নেল পালিশ লাগাতে বড়ো বোন শিপাকে বলে, আপু, শাকিল ভাইয়ের সঙ্গে তোর কোনও চক্কর-মক্কর আছে নাকিরে?

শিপা বলে, কেনরে! এই ফাজলামো প্রশ্ন কেন?

না, বলছিলাম তোর কোনও চক্কর-মক্কর না-থাকলে আমি একটু বাজাতাম! আমার দিকে তাকায় না ব্যাটা!

শিপার বিয়ে হলো সহসা। কানাডা প্রবাসী সায়েফের সঙ্গে। প্রেম ট্রেম নয়। দুপক্ষ দেখা করিয়েছিল হোটেলে বোঝাপড়ার জন্য।

ছেলেটি ব্যক্তিত্ববান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চের কাজ করে। খুব সাধারণ জীবন  তাঁর। শিপাকে বলেছে প্রবাসে তারও কাজের সুযোগ থাকবে। প্রস্তাবটা বিবেচনা করতে।

শিপা বলে, প্রস্তাবটা তো আমিও দিতে পারতাম, ঠিক কি না?

না, আপনি পারতেন না। প্রার্থী তো আমি।

অন্তত আমাদের সমাজব্যবস্থায় এটিই সংগত।

বিয়ে হলো তাঁদের। খুব সুখে কয়েক মাস কাটিয়ে কানাডা যাচ্ছে সহসা।

শাকিলকে রিপা প্রশ্ন করে, এই আমরা বিয়ে করি না কেন। দেখছো না ওরা কত সুখের উড়াল দিচ্ছে।

শাকিল যেন আকাশ থেকে পড়ে।

বিয়ে, তোমাকে? কেন?

কেন  আবার। এভাবে আমাকে ব্যবহার করবে তুমি।

শাকিল হাসে, তোমার মতো পাঁচ ছজনের সঙ্গে আমার ডেটিং-ফেটিং হয়।

কেউ সেটিং চায়নি তুমি চেয়েছো, পেয়েছো।

আমার বাবাকে বলে তোমাকে টাইট করতে পারি জানো?

ছোটো একটা স্ট্রেপলার সাইজের জিনিস পকেট থেকে বের করল শাকিল।

টিপ দিতেই পাঁচ ছয়টি ফলা বের হলো এর থেকে।

চাকু। সামনে ধরে বলে, এটা দিয়ে তোমার নাড়িভুঁড়ি বের করে দিতে আমার কয়েক সেকেন্ড লাগবে।

“সস্তা মেয়েকে পুরুষ বিয়ে করে না, ভোগ করে। এটুকু জেনে রাখো”।

লেখকঃ কালাম আজাদ। 

আরও কিছু গল্প…

০১। নারীবাদী সুখী দম্পতির গল্প (স্বামী স্ত্রীর রম্যগল্প)

০২। কালো মেয়ের বাসর রাতের গল্প

গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করুণ।

The post সস্তা মেয়ে (প্রেমের গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

স্বামীকে বশ করার আমল ও দোয়া

$
0
0

স্বামীকে বশ করার আমলস্বামীদের মধ্যে অনেক স্বামী আছে যারা স্ত্রীকে সময় ও সান্নিধ্য দেয় না অথবা দিতে চায় না। নিজের প্রয়োজন হলে কেবল শুধু স্ত্রীর কাছে যায় এবং প্রয়োজনীয়তা শেষ করে চুপসে যায়।

প্রেম-ভাব প্রকাশ ত দূরের বিষয়, অনেক স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে দ্বায় ছাড়ার মতো কথা বলে। স্ত্রীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলে না, গল্প করে না এমন কি নিজের সুখ দুঃখ ভাগ করে না।

স্ত্রীর কথা শুনতে আগ্রহী নয়, স্ত্রী স্বামীর কাছে থেকে কি চায় সেদিকে আহমক স্বামীদের লক্ষ্য থাকে না। প্রেম-ভালোবাসাহীন স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া এই অসদ আচরণ স্ত্রীর কাছে কেবল নিজেকে স্বামীর যৌন উপভোগের বস্তু  মনে হয়। যা একজন স্ত্রীকে ভীষম কষ্ট ও পীড়া দেয়।  স্বামীর এই অসদ আচরণ একজন স্ত্রী কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনা।

তাই প্রেম-ভালোবাসাহীন স্বামীর কাছ থেকে নিজের  ভালোবাসার অধিকার আদায় করতে, স্বামীকে নিজের সান্নিধ্যে আনতে, বহু নারী পীর ফকিরদের কাছে ধরণা দেয়, তাবিজ-কবজ ও তদবিরের পিছনে টাকা পয়সা ব্যয় করে। তাদের সেই প্রচেষ্টা কতটুকু কাজে দেয় সেটা সেসব নারীরাই সঠিক বলতে পারবে। কিন্তু আপনি পীর ফকিরদের পিছনে না দৌঁড়িয়ে স্বামীর প্রেম ভালোবাসা আদায় করতে  কিছু আমলের দ্বারা স্বামীকে বশ করার চেষ্টা করতে পারেন।

স্বামীকে বশ করার আমল

২ রাকাত নফল নামায বা সালাতুল হাজত পড়িবেন। (উদ্দেশ্য পূরনের নামাজ)

সালাতুল হাজতের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা কাফিরুন ১১ বার পড়িবেন।

দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাছ ১১ বার পড়িবেন।

ছালাম ফিরানোর পর দুরুদ শরীফ ৭ বার পড়িবেন।

এরপর ইয়া ওয়াদুদু ৩১৩ বার পড়িবেন।

তারপর আবারও দুরুদ শরীফ ৭ বার পড়িবেন।

পরে মুনাজাত করিবেন। এই মুনাজাতে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে আপনার চাওয়া পাওয়ার বাসনা গুলো তুলে ধরবেন।

দোয়া কবুল হওয়ার ভাল সময়

হাদীস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “শেষ রাতে, সুবহে সাদিক, সূর্যোদয়ের সময় ও বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।”

স্বামীকে বশ করার আমল-তাবিজ সব কিছু নয়!

স্বামীর প্রেম ভালোবাসার পাওয়ার জন্য তাবিজ-কবজ ও আমল সব কিছু নয়। স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে হলে স্বামীকেও নিজের ভালোবাসা উজার করে দিতে হবে। খোলা মনে নিজের ভাব প্রকাশ করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর কাছে কি আশা করে স্ত্রী হিসেবে জানার চেষ্টা করতে হবে এবং বুঝতে হবে। নিজেকে স্বামীর কাছে সেরা বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। এসব করা ব্যতীত স্বামীর প্রেম ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হাতে তসবি নিয়ে জপতে থাকলে কোন কাজ হবে না।

পরামর্শঃ স্বামীকে নিজের বশের আনার জন্য বা নিজের সান্নিধ্যে রাখার জন্য স্বামী খুশি হয় এমন সব কাজ করুণ। নিজেকে আদর্শ স্ত্রী ও নারী হিসেবে গড়ে তুলুন। এসব জানতে ও শিখতে নিচের একটি আর্টিকেল ও দুইটি বই পড়ুন।

আর্টিকেল ঃ স্বামীকে খুশী করার কাজ ও করনীয়। 

বই ঃ আদর্শ স্বামী স্ত্রী ২ । 

বইটি একজন আদর্শবান স্ত্রী হওয়ার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং অন্য নারীরা তাদের স্বামীকে কিভাবে বশ করেছেন তাঁর গল্প লেখক তুলে ধরেছেন। তাই আপনি আদর্শ স্বামী স্ত্রী ২ বই টি পড়ুন। এখানে ক্লিক করুণ।

বইঃ আদর্শ নারী বা রমণী। 

নিজেকে আদর্শ নারী হিসেবে গড়ে  তুলতে এই বইটি পড়ুন। বইটি একজন আদর্শ নারী হওয়ার উপায় ও গুণাবলি তুলে ধরা হয়েছে। বইটি আপনাকে নিজের ঘর ও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে আপনাকে  ব্যক্তিত্ববান হওয়ার কলা-কৌশল ও উপায় তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি  আদর্শ রমণী বইটি পড়ুন। বইটি পড়তে>> এখানে ক্লিক করুণ।

লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

The post স্বামীকে বশ করার আমল ও দোয়া appeared first on Amar Bangla Post.

যৌন জীবনে যেভাবে পূর্ণ তৃপ্তি ও সুখ লাভ করতে পারবেন

$
0
0

এদেশ একটি ইসলামী দেশ। শতকরা ৯০ ভাগ জন মানুষ মুসলমান যাদের ধর্ম ইসলাম। ইসলামের অবাধ যৌনতা নিষিদ্ধ। ফলে এদেশে অবাধ যৌনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তর। যা করতে নিষেধ করা হয় তা আরও বেশি করা হয়। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিতে এ কাজের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামের সুখ ও শাস্তির কথা উল্লেখ করে ভাল—মন্দ দেখে চলতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। এদেশে যৌনতার প্রধান মাধ্যম বিয়ে। বিয়ে বৈধভাবে জৈবিক চাহিদা মিটানোর বা যৌন প্রবৃত্তি চরিতার্থের প্রধান এবং ধর্ম ও রাষ্ট্র স্বীকৃত মাধ্যম। কিন্তু এতে অবাধ যৌনতা থেকে থাকেনি। আড়ালে আবডালে এখন তা ইসলামী সমাজের প্রতি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ। এ অবাধ যৌনতার সুযোগে কেহ কেহ নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে অকালে যৌবন হারিয়ে ফেলে। পরে বিয়ে করা বউকে যৌনমিলনে সুখী করতে পারেনা। আবার অনেকেই প্রকৃত যৌন জ্ঞানের অভাবে স্ত্রীকে খুশী করতে পারেনা। তাই বলে যদি কেহ ইসলামী ধ্যান—ধারনায় জীবন পরিচালনা করে তাহলে এসবের জন্য কোন আশংকাই থাকবে না।

বিবাহ হল পুরুষ ও নারীর আইন সম্মত যৌনসম্ভোগের অধিকার। অবশ্যই শুধু যৌনসম্ভোগে এই বিবাহের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। এদেশে অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের আগে পর্যন্ত যুবক-যুবতী ধৈর্য ধরে বিয়ের পরে সুন্দর সুষ্ঠ উপভোগ করবে বলে প্রস্তুত হতে থাকে এ সঙ্গম কষ্টসাধ্য সন্দেহ নেই। তাই অনেক সময়েই বিয়ের ঠিক পরেই, অর্থাৎ অবাধে রতিক্রিয়া করার ছাড়পত্র পাবার পরই যুবক যুবতী খুব বেশী মাত্রায় রতিসম্ভোগ লেগে যায়। এ বাড়াবাড়িতে অনেকের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। মিলনের নানা পদ্ধতি উপযুক্ত কলাকৌশল এবং কি উপায়ে মিলনকে বেশী আনন্দপ্রদ করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেরই জ্ঞান থাকে না।

অনেকের ধারণা আছে, পুরুষ নারীর যৌন সংস্পর্শ অত্যন্ত ঘৃণার বস্তু। অনেকে ভুল বুঝে নাপাক বলে আখ্যা দেয়। কারণ অনেক পুরুষ তাদের কাম পাত্রীর প্রতি মনোযোগ না দিয়ে নারী লোলুপ হয়ে নারী দেহ ভোগ করে। এরূপ ভোগ্য ঘৃণ্য, এ লালসা কুশ্রী ও কর্দয তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এ সঙ্কোচই পরস্পরের নিবিড় ভালবাসায় ভাবের স্বচ্ছন্দ আদান-প্রদানে অন্য রূপ নেয়। এ অবস্থায় ভোগ কদর্য নয়। উভয় উভয়ের সাহায্য সম্পূর্ণতায়, ভোগের আশায় পরস্পরের দেহ সমুদ্রে অবগাহন করে। কোন ব্যবধান রাখতে চায় না। সমাজে অতি তৃপ্তিদায়ক এ সম্ভোগের অনুভূতি। এও সত্য যে, এ এ সম্ভোগ পুরুষ নারী উভয়ে তৃপ্তি না থাকলে পরস্পরের ভালবাসা স্থায়ী হয় না। পুরুষের তৃপ্তি সহজেই আসে কিন্তু নারীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেয়া কঠিন। তবে সাধনায় সবই আয়ত্ব হয়। দাম্পত্য জীবন মধুর ও স্থায়ীভাবে আনন্দদায়ক করতে হলে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটির সম্যক জ্ঞান থাকা দরকার। সাধনার দরকার। দাম্পত্য মিলনকে আনন্দায়ক করতে হলে মিলনের মাত্রা, সময় মিলনকালীন নানা অভ্যাস মিলনের নানা উপায় ধৈর্য ধরে অনেকক্ষণ বা অল্পক্ষণ রতিক্রিয়া করার শক্তি ইত্যাদি সাধনার দ্বারা আয়ত্ব করতে হবে। স্বামী এবং স্ত্রীর রতি কামনা অবসান হয় না। চেষ্টার দ্বারা পরস্পরের ভাবের আদান প্রদান উভয় এ রতিকামনার পার্থক্যের সমস্যা সাধন করতে পারে।

পুরুষ যৌনক্রিয়ায় খুব সহজেই উদ্দিপ্ত হয়। কিন্তু নারী কামবাসনাকে জাগাতে হয় এবং পুরুষের মত এত সহজে নারী কামোত্তেজিতা হয় না। কাজেই পরস্পরের রতিধারনের তীব্রতার সততা সাধিত সাধিত না হলে পুরুষ হয়ত সহজেই উদ্দিপ্ত হয়ে রতিক্রিয়া শেষে শুক্রস্খলন করে ক্লান্তিতে ঢলে পড়লে নারী অতৃপ্ত থেকে বিরক্তি বোধ করবে। এভাবে দাম্পত্য ব্যবহারে প্রায়ই পুরো আনন্দ লাভ করতে না পারলে ফলে স্ত্রীর দেহমন নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। হিস্টিরিয়া, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদির প্রদান কারণও এটাই। যৌনক্রিয়ার পুরুষ কর্তা জোর কর্মা। অর্থাৎ পুরুষ যৌনক্রিয়া করে এবং নারী সে কাজে নিজের দেহ দেয় মাত্র। যুগ যুগান্ত থেকে এ ধারণাই চলে আসছে। নারীরাও সে কামনা-বাসনায় তীব্রতর এটাকে যেন আমল দেয়াই হয়নি। নারীও নিজের বাসনা চেপে রেখে স্বামীর ভোগ লালসার কাছে নিজের আহুতি দিয়ে আসছে। পুরুষ স্ত্রীর যৌনবাসনার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে রতিক্রিয়া করে আর নারী নিজেকে উপলক্ষ্য রূপে স্বামীর প্রবল ইচ্ছার কাছে সঁপে দিয়ে বিতৃষ্ণা ভোগ করে। এক্ষেত্রে স্বামীকে দেখতে হবে স্ত্রীর রতিতৃপ্তি লাভ হল কিনাঃ না হলে জানতে হবে কেন হল না এবং নানা উপাচারে চেষ্টা করে স্ত্রীর রতি তৃপ্তিতে সাহায্য করতে হবে। সব সময়েই মনে রাখতে হবে যে পুরুষ যেমন একই রতিক্রিয়া সম্পাদন করতে পারে না; দরকার হয় একটি মেয়ের- তেমন সে মেয়ে রতিপুলক লাভে সাহায্য করার দায়িত্বও তাঁর।

পড়ুন>> স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম

পুরুষ নারীর রতিবাসনার পার্থক্য আছে অর্থাৎ দু’য়ের রতিবাসনা সমান তীব্র নয়। এমন অনেক পুরুষ আছে যাদের রতিক্ষমতা অসাধারণ রকমের বেশি এবং রতিক্রিয়াতেও এরা অসাধারণ পটু। এ সমস্ত পুরুষ নিজেদের অসাধারণ রতিক্ষমতা স্ত্রীর ওপর প্রয়োগ করলে স্ত্রীর আনন্দ পাওয়া দূরে থাক রতিক্রিয়া অপরিসীম কষ্টে এবং যন্ত্রণার কারন হয়ে পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক কোন পুরুষ ২/৩ বারের কম স্ত্রী সহবাস করে তৃপ্ত হয় না। এরা প্রতিবারেই অন্তত ১০/১২ মিনিটের আগে শুক্রস্খলন হয় না অথচ তাঁর স্ত্রী হয়ত ৫/৬ মিনিটের সকর্মক অবস্থায় বাড়তি সময়টা স্ত্রীর পক্ষে যে বিশেষ জুলুম বলে মনে হয় এ আর বিচিত্র কি? এক্ষেত্রে স্বামীকে অভ্যাস এবং চেষ্টায় ৭/৮ মিনিটের রতি তৃপ্তি লাভ আয়ত্ব করতে হবে এবং সংযম অবলম্বন করে ২/৩ বারের মাত্র ১ বারে আনতে হবে। কারণ আনন্দের বদলে বা একজনের পক্ষে অত্যাচার সে ক্রিয়াকে দেয়া যায় না। স্বামীরও এ সংযমে প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও পরে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হলে এ কষ্টকে আর কষ্ট বলে মনে হবে না।

আবার এর বিপরীত অবস্থাও দেখা যায়। যেমন নারীর রতিশক্তি বেশি এবং পুরুশের রতিশক্তি কম হওয়া। এ অবস্থায় রতিকলা সাধনার দ্বারা আয়ত্ব করা যেতে পারে এবং উভয়েই রতিক্রিয়ার পূর্ণ আনন্দ লাভ করতে পারে।

পড়ুন >> সহবাসের সময় বাড়ানোর ১৩ টি উপায় ও কলা-কৌশল

এমন কতক পুরুষ আছে যাদের অঙ্গ খুব মোটা এবং লম্বা। এরা অল্প প্রশস্ত ভগাঙ্কর মেয়ের সাথে রতিক্রিয়া করলে সে ক্রিয়া সে মেয়ের পক্ষে কষ্টদায়ক হতে বাধ্য। আবার অনেকের অঙ্গ ছোট এবং অনেক মেয়ের যোনি খুব প্রশস্ত। এ ধরনের পুরুষ নারীর সঙ্গমে নারীর পক্ষে রতি তৃপ্তি লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এসব অসুবিধা যে একাবারেই দূর করা যায় না তা নয়। নানা রকম কলাকৌশল নানা পদ্ধতির সাহায্যে এ ছোট বড় পার্থক্য জনিত অসুবিধার অনেকখানি দূর করে পরিপূর্ণ আনন্দ লাভ করা সম্ভব।

বার বার স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার হলে স্ত্রী খুব শীগগিরই স্বাস্থ্য ও যৌবন হারিয়ে ফেলে। স্বামীর পক্ষেও অনেক সময় সন্তান প্রতিপালনে এবং অন্যান্য নানা অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাই কলাকৌশল আয়ত্ত করে এ বিপদকে সহজেই যৌনবোধ করা যায়। জীব জগতে যৌনমিলন কাউকে শেখাতে হয় না হঠাৎই পুরুষ পশু নারী পশুতে উপগত হতে পারে। কিন্তু মানুষের কিছু শিক্ষার কিছু উপদেশের প্রয়োজন আছে। এ গুলোর অভাবে প্রথম প্রথম মানুষ যথার্থভাবে সুসম্পূর্ণ সঙ্গম করতে পারে না।  আবার সহজাত বৃত্তিগুলোর বলে যৌনবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে পুরুষ নারী অনেক রকম বাড়াবাড়ি বা ক্ষতিকর কান্ড করে বসতে পারে। সেজন্য তাদের পরস্পরের মনোভাব জেনে উপযুক্ত উপাচার প্রয়োগ রতিক্রিয়া চরমোপকর্ষ দেখানোর জন্য যথেষ্ট শিক্ষায় শিক্ষিত হবার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে অযথা লজ্জা পরিহার করাই কর্তব্য। এভাবে পরস্পরের মিলনের সাহায্য পরস্পরের আনন্দ লাভ সহজ হবে।

আরও পড়ুনঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ করার উপায় সমূহ 

আদর্শ মিলন তবে কি?

আদর্শ মিলনের রূপ অনেকটা এ রকম পুরুষ ও নারী ও যৌনক্রিয়ার জন্য উদ্দীপ্ত হবে। উভয়ের যথেষ্ট উদ্দীপ্ত হলে তারপর আঙ্গিক মিলন হবে নারীরও পুরুষের যৌনঅঙ্গ শ্লৈন্মিক শিল্পী প্রধান। আঙ্গিক মিলনের পর উভয়ের বিশেষতঃ পুরুষের অঙ্গ চালনা সহ্য ও সাধ্যমত চলতে থাকবে। নারীরও সকর্মক হতে হবে। এতে দোষের কিছুই নেই। এভাবে উভয়ের অঙ্গ চালনার মধ্য দিয়ে পুরুষের শুক্রস্খলন এবং ঠিক এ সময়েই নারীরও চরমানন্দ লাভ হবে। উভয়েরই সমস্ত দেহ মনে স্নায়ুবিক উত্তেজনার প্রশান্তি হবে।

আদর্শ মিলনের এ ব্যাখ্যায় প্রধান বিষয় হবে স্বামী স্ত্রী উভয়ের ঠিক এক সময়ের যৌন আনন্দ পেয়ে চরমানন্দ লাভ করা। খুব সামান্য সম্যের ব্যতিক্রমে। কিন্তু এ সময়ের পার্থক্য যদি বেশি হয় তা হলে চিন্তার কারন আছে বৈকি? সঙ্গমের উদ্দেশ্যই যদি তাতে ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে দাম্পত্য জীবনও ব্যর্থতার পথে পা বাড়াবে।

আপনি পড়ছেনঃ পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন বই থেকে।

The post যৌন জীবনে যেভাবে পূর্ণ তৃপ্তি ও সুখ লাভ করতে পারবেন appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন (মাস্টারবেশন) করার ভালো নিয়ম কি?

$
0
0

মাস্টারবেশনপ্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার ভালো নিয়ম কি?

তেল বা জেল লাগিয়ে হস্তমৈথুন করলে কি লিঙ্গের ক্ষতি হয়?

আমার বাংলা পোস্ট.কম সামাজিক ব্লগের উত্তর…

উত্তরঃ নারী সঙ্গীনি ব্যতীত পুরুষের যৌন আনন্দ উপভোগের বিকল্প মাধ্যম হচ্ছে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন। এর দ্বারা পুরষেরা বিকল্প ভাবে জৈবিক চাহিদা পূরণ করে। পেনিস কে পিচ্ছিল করার জন্য অনেক পুরুষেই তেল কিংবা জেল জাতীয় পিচ্ছিল পদার্থ ব্যবহার করে। কিন্তু আপনি মিথুন ক্রিয়া পিচ্ছল্য করার জন্য আপনি যতই তেল বা জেল ব্যবহার করেন না কেনো এর কোনটাই যোনির পথের বিকল্প হতে পারে না এবং আপনার লিঙ্গের ক্ষতি করা থেকে বাঁচাতে পারবে না।

তেল বা জেল ব্যবহার করার ফলে আপনার হাত পিচ্ছিল্য হতে পারে কিন্তু যোনিপথের ন্যায় তো আর নরম হয় না। যে তেল আর জেল ব্যবহার করে মৈথুন ক্রিয়াকে পিচ্ছিল্য করার কথা ভাবছেন, এই রকম পিচ্ছিল্য পদার্থ দিয়ে নারীর যোনি পথও ভেজা থাকে।

যখন একজন নারীর দেহে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তখন তখন পিচ্ছিল্য স্রাব দিয়ে তাঁর যোনিপথ ভিজে যায়। যার ফলে পুরুষাঙ্গ অনায়াসে যাতায়াত করতে পারেন এবং নারী পুরুষের উভয়ের মিলনটাই সুখের হয়।

কিছু কিছু ডাক্তারগণ আছেন যুবকদেরকে বিয়ে করা থেকে ভুলিয়ে রাখতে তারা বলে বেড়ায় হস্তমৈথুন করলে কোনো ক্ষতি নেই। এটা পুরোপরি সত্য নয়। কয়েকবার করলে হয়তো তেমন কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু যারা এটা করে মজা পেয়ে যায় তারা এর প্রতি নেশার মতো আসক্ত হয়ে যায়। আর ইচ্ছে জাগলেই হস্তমৈথুন ঘটিয়ে ফেলে। আর এভাবেই চলতে থাকে বছরের পর বছর। যার ফলে লিঙ্গের বিরাট ক্ষতি-সাধন করী ফেলে। অনেকের লিঙ্গদ্বয়ের এমন অবস্থা করে ফেলে তাঁর লিঙ্গ শক্ত হয় না এবং দেহে উত্তেজনাও আসে না।

আশা করি আপনি আমাদের দেওয়া উত্তর বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

“যারা হস্তমৈথুন করে নিজের বিরাট ক্ষতিসাধন করে ফেলেছেন তারা দেরি না করে যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মনিরুজ্জামান এম ডি স্যারের সাহায্য নিন। দেরি করবেন না। নয়তো আপনার ভবিষ্যৎ হারিয়ে ফেলতে পারেন। স্যারের চিকিৎসা ও পরামর্শ পেতে নির্দ্বিধায় কল করুণ : 01707330660 | ”

আরও পড়ুন…

০১। মাস্টারবেশন করার ক্ষতি

তেল কিংবা জেল দিয়ে মাস্টারবেশন করার পূর্বে মাস্টারবেশন করার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন। আরও পড়ুন>>

০২। মাস্টারবেশন থেকে বাচার উপায় (আগামী লেখায় আলোচনা করা হবে)

উত্তর লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম

The post প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন (মাস্টারবেশন) করার ভালো নিয়ম কি? appeared first on Amar Bangla Post.

বয়ঃসন্ধির পাশবিকতা-আল মাহমুদ

$
0
0

সংবাদপত্র খুললেই হত্যা,  ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার কোনো কোনো সংবাদে পাঠকদের মেজাজটা ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে, মনে হয় জিভের ওপর একটা অস্বস্তিকর তেতো স্বাদ কে যেন জোর করে ছড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের প্রতি মানুষের স্বাভাবিক মানবিক মাতা-মমতার বন্ধন যদি না থাকে তখনই হতাশার কালো অন্ধকার দেশকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে বাধ্য। এই অন্ধকারের বাসিন্দারাই অতিশয় সামান্য স্বার্থপরতার কারণে, যে কারণ স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনার মানুষের কাছে অতিশয় তুচ্ছ, পরস্পরকে হত্যা করতে পারে। এমন কি অল্প বয়স্ক কিশোর তাঁর কিশোরী সহপাঠিনীকে বাগে পেয়ে প্রেমে সাড়া না দেয়ার অপরাধে পাট ক্ষেতে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। পারে ব্যর্থ প্রেমিক তাঁর নারাজ প্রেমিকার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে তাঁকে চিরকালের মট পঙ্গু করে দিতে। এই সবি হল উপযুক্ত শিক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের যথোপযুক্ত অভাবের দরুন একটি শিশুর  মনে যে হতাশা ও পাশবিকতা দেখা দেয় তার বয়ঃসন্ধিকালীন আকস্মিক বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের কোন পরিবারই এখন এই মূল্য বোধের পতনের হাত থেকে প্রকৃত অর্থে মুক্ত নয়। একজন কিষাণ সন্তানের মধ্যে যে যে কর্তব্যবোধ শ্রমের প্রতি নিষ্ঠা ও পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতি দায়িত্ববোধ অবচেতন মনে একদা কাজ করতো  আজ আর তা তেমন সতেজ নয়। একজন শিক্ষকের সন্তানের মধ্যে একদা লেখাপড়া, জ্ঞান ও বিদ্বানের প্রতি সম্মান দেখানোর যে অভ্যাস ছিল, অভ্যাস ছিল দেশ ও দশের প্রতি দায়িত্ববোধের, আজ তাঁর চিহ্নমাত্র ঐ সমস্ত পরিবারের আচরণীয় বিষয় নয়। মূল্যবোধের অবক্ষয় কাকে যে কোথায় ছিটকে ফেলতে চাইছে, সামাজিক কোন পরিবর্তন বা স্থিতিশীলতা যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজ কাঠামোকে সুস্থির না করবে ততদিন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রভাত আমাদের জন্য নিয়ে আসবে দুর্ঘটনার সংবাদ। চলতে থাকবে  ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনএসিড নিক্ষেপের ভয়ার্ত কাহিনী। আমরা বুকে হাত রেখে হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানি শুনতে শুনতে প্রায় প্রত্যহ তা পাঠ করতে করতে একদিন স্বাভাবিক হয়ে যাব।

গত পরশু সকালের পত্রিকার প্রথম পাতার অস্বস্তিকর  সংবাদগুলোর মধ্যে দু’টি শিশুকে দু’টি মাত্র সোনার দুলের জন্য পানিতে চুবিয়ে হত্যার বিবরণ এতই হৃদয়বিদারক যে, অনিচ্ছায়, ভয়াবহ এক অস্বস্তির মধ্যে সংবাদটি পাঠ করে সারাটা দিন মনের ওপর একটা দুর্ভর চাপ নিয়ে নিজের কাজকর্ম করে গেছি। অনুভূতিশীল মানুষ প্রায় প্রত্যহই এ ধরনের মানসিক প্রেসারের মধ্যে জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে।

আমাদের সব মূল্যবোধই যখন এক এক করে পাল্টে যাচ্ছে,  তখনও কিন্তু কয়েকটি কুসংস্কার পাল্টায়নি। যেমন সোনার অলংকার ধারণ। উজ্জ্বল ধাতু হিসাবে সোনাকে অত্যধিক মূল্য দেয়া। বিয়ে-শাদীতে সোনাকে লেনদেনের বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা ইত্যাদি। পৃথিবীতে কোথাও এই উপমহাদেশের মট সোনার অলংকার পরার রেওয়াজ নেই। অতীতে থাকলেও এখন উঠে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকায় কোনো নারীই সোনার অলংকারকে তাঁর রূপ সৌন্দর্যের সহযোগী মনে করেন না। তাঁরা যে কোনো উজ্জ্বল কমদামের ধাতুর গয়নাতেই সন্তুষ্ট। সোনা যেহেতু সব সময় শয়তানের লালসা-লোভকেই চাঙ্গা করে তোলে; তাছাড়া দামী ধাতু বয়ে বেড়ানো চিরকালই বিপজ্জনক সে কারণে পাশ্চাত্যের বুদ্ধিমতী নারীরা বহু আগেই সোনাকে অলংকার ধাতু হিসেবে পরিত্যাগ করেছে। পাথরের, লোহার, নিকেলের অলংকারই বর্তমানে শ্বেতাঙ্গিনীদের শোভা বৃদ্ধির সহায়ক শক্তি হিসাবে পরিগণিত।

বাংলাদেশে সোনা প্রতি মুহুর্তে নানাবিধ অঘটনের কারণ বা জন্মদাত্রী। প্রায় প্রত্যহই বেআইনিভাবে বিদেশ থেকে সোনা আনার ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। চোরাপথে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সোনা আনতে গিয়ে কাস্টমের হাতে ধরা পড়ার সচিত্র খবর দেখে দেখে ভাবি, এই ধরা পড়ার জন্য যে পাচারকারীরা খুব বিব্রত তা মনে হয় না। আমাদের কাছে যা লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাপার,  পাচারকারীদের কাছে তা কিছুই নয়। এ যেন এক ধরনের অবজ্ঞাপ্রসুত ব্যাপার। তা না হলে গত কয়েক মাসে বিমানবন্দরে কাস্টমস যে তাল তাল সোনার বেআইনি আমদানী হাতেনাতে ধরলো, তাতে কি গোল্ড স্মাগলিং বন্ধ হয়েছে বলে মনে হয়? আমাদের তো তা মনে হয় না। মনে হয় সোনার যে কুসংস্কার সারাটা দেশকে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে তা যতদিন উপশম না হবে ততদিন সোনার মূল্য কমবে না।

সোনা ছাড়া বিয়ে হয় না। আগেই জেনে নিতে হয়, কনের শরীরে কত ভরি সোনা সেঁটে দেওয়া হয়েছে।  জড়োয়া যে সব সময় মানুষের শরীরকে সুন্দর করে তোলে এমন কোনো কথা নয়,  তবুও বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ে ভাবে, স্বপ্ন দেখে তাঁর গা ভরা গয়না। অধিকাংশ মেয়েকেই যে সোনার গয়নায় কুৎসিত দেখায় এটা কুসংস্কারের জন্য কেউ বলতে পারে না। যদিও আর্থিক কারণে সবাই আশ মিটিয়ে সোনার অলংকার প্রতে পারে না, তবুও সোনার কোনো কিছু পেলেই তা শরীরে ধারণ করার একটা জঘন্য অভ্যেস বাঙ্গালি নারীরা আজও ত্যাগ করতে পারেনি। অবশ্য শহর অঞ্চলে দু একটি পাশ্চাত্য শিক্ষিত পরিবার থেকে সোনার অলংকারের অভ্যেস একটু একটু উঠে যাচ্ছে বলে মনে হয়।

গত পরশু সংবাদপত্রে দু’টি শিশু হত্যার ঘটনার বলা হয়েছে, খুলনার খালিশপুরের এক গৃহ পরিচারিকা এক আনা ওজনের কানের দুলের জন্য পাশের বাড়ীর এক ভদ্রলোকের মেয়ে ও নাতনীকে, যাদের বয়স মাত্র চার কিম্বা পাঁচ পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। এই হত্যার নির্মমতা এ ভয়াবহতার দিকে আমরা দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, একটি শিশুর কানের একবিন্দু দুলই দু’টি শিশুর অকালে জীবাননাশের কারণ হল। যদি এক আনা সোনার এই দুলটি মেয়েটির কানে না থাকতো তবে সম্ভবত দুটি অমূল্য প্রাণের এমন অসহায় অবসান দেশবাসীর দেখতে হত না।

যে পরিচারিকাটি মেরিনা ও সুমি নামের শিশু দুটিকে চরম নির্মমতার সাথে দুটি এক আনা সোনার দুলের জন্য হত্যা করেছে তাঁর নাম হালিমা। হালিমা বিধবা, তারও সুমি ও মেরিনার মট চার পাঁচ বছরের দু’টি মেয়ে আছে। সোনার লোভ যে সর্বনাশ করেছে তা অবর্ণনীয়। যদি হালিমা সুমি ও মেরিনার কাছ থেকে সাবধানে দুল দুটি অপহরণ করতে পারতো তবে সৃষ্টি হত অন্য দৃশ্যের।  বঞ্চিত এক বিধবার সন্তানের আনে হয়ত এই এক আনা সোনার দুল দুটি দুলতো। হালিমার মাতৃহৃদয় এতে পরিতৃপ্তি হতো। দৈব তাঁকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে অদৃশ শয়তানের হাতে সঁপে দিয়েছে। যার প্রভাব অর্থাৎ অবৈধ লোভে সে প্রতিওবেশির পরিচিত দু’টি বাচ্চাকে নাম বলে দেবে এই ভয়ে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি। হায়রে সোনার দূল!

আমরা বিষয়টির মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে আর  যেতে চাই না। তবে সোনার প্রতি এ দেশের মানুষের একটা কুসংস্কারজনিত ব্যাধি নিয়ে দু’চার কথা বলতে চাই। সোনা খুব মূল্যবান ধাতু বলেই এটা বিপজ্জনক। এ ধাতুর অলংকার নিরাপদে ঘরে রাখা যায় না। গলায় পরে একা একা বিচরণ করা যায় না। অন্যকে ধার দিয়ে ব্যবহার করতে দিয়েও স্বস্তি নেই। এ এক নিত্য দুশ্চিন্তার ব্যাপার। এ ধরণের ধাতু বা অলংকারের প্রতি ইসলামের কোন সমর্থন নেই। সোনা স্তূপীকৃত করার বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর নিষেধবাণী উচ্চারিত হয়েছে। মোটকথা, সোনার ব্যাপক ব্যবহারের ব্যাপারে ইসলাম মানুষকে মূলত আমার বিবেচনায় নিরুৎসাহ করতে চায়। পুরুষ মানুষকে তো সোনার আংটি পর্যন্ত ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।

আমাদের ধর্ম সোনার ব্যবহারকে উৎসাহ দেয়নি। এই এই দিকটির প্রতি নজর রেখে দেশ থেকে সোনার অলংকার ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলনের বিরুদ্ধে নৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যদি অলংকার হিসেবে সোনার প্রচলন ও ব্যবহারকে নিরুৎসাহ করা সম্ভবপর হয়, তবে কত যে অঘটন, ডাকাতি, রাহাজানী ও হত্যাকাণ্ডের হাত থেকে মানুষ রেহাই  পাবে এর ইয়ত্তা নেই।

লেখকঃ আল মাহমুদ। নারী নিগ্রহ ১৫/৫/৮৫

আরও পড়ুন>> সতী নারী কাকে বলে! সতী নারীর পরিচয়

আরও পড়ুন>> প্রেম করলে কি নারীর দেহ ভোগ করা যায়?

The post বয়ঃসন্ধির পাশবিকতা-আল মাহমুদ appeared first on Amar Bangla Post.

সালাম সাহেবের পাপ-হুমায়ূন আহমেদের গল্প

$
0
0

মিসির আলি আমার দিকে খানিকটা ঝুঁকে এসে  বললেন, ‘অবসেশন’ শব্দটার বাংলা কী বলুন তো!

আমি খানিকটা ধাঁধায় পড়ে গেলাম। চট করে মাথায় কিছু আসছে না।

তাই তো, অবসেশনের ঠিক বাংলাটি কী?

মিসির  আলি মিটিমিটি হাসছেন। সচরাচর তাঁকে হাসতে দেখা যায় না।

তাঁর হাসি দেখে ভালো লাগছে। বেচারা দীর্ঘদিন রোগভোগ করে কাহিল হয়ে আছেন। পনেরো দিন পর গতকাল প্রথম শিং মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়েছেন। আমি গিয়েছি রোগী দেখতে।

মিসির আলি আবার বললেন, অবসেশনের বাংলা বলতে পারছেন না, তাই না?

আমি বললাম,  মাথায় আসছে। মুখে আসছে না।

মিসির আলি বললেন,  ইংরেজী অনেক শব্দ আছে যার সঠিক বাংলা নেই। আবার অনেক বাংলা শব্দও যার ইংরেজী হয় না। যেমন—‘অভিমান’। অভিমানের ইংরেজি বলতে পারবেন?

আমি বললাম, ভাষাতত্ত্ব থাকুক, আপনার শরীর কেমন বলুন।

মিসির আলি বললেন, শরীর সেরে গেছে। এই জন্যে মনটা সামান্য খারাপ। শরীর সারায় মন খারাপ কেন?

মিসির আলি বললেন, শরীর যখন খুব খারাপ থাকে তখন মনের অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়। ঘরলাগা ভাব তৈরি হয়। এই অবস্থাটা আমার পছন্দের।  ঘোরলাগা  অবস্থায় কোনো কিছু ভাবতে ভালো লাগে।

আমি বললাম,  চেষ্টা করুণ আবার যেন অসুখে পড়তে পারেন। শীতের সময় আছে, ধানমণ্ডি লেকের নোংরা পানিতে ডুব দিয়ে এলে কেমন হয়?

খারাপ হয় না। চলুন যাই।

মিসির আলি খাট থেকে নেমে গেলেন। আমি আঁৎকে উঠলাম।  উনি কি সত্যি লেকে গোসল করার কথা ভাবছেন? মিসির আলী জাতীয় মানুষরা উদ্ভট কর্মকান্ড পছন্দ করে। আমি বললাম, যাচ্ছেন কোথায়?

মিসির আলী বললেন, আপনাকে একজন মানুষের ছবি দেখাব।

আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। মিসির আলী বললেন, আপনি কি ভেবেছিলেন?  লেকে গোসল করার জন্য টাওয়েল আনতে যাচ্ছি?

আপনাকে দ্রুত খাট থেকে নামতে দেখে সেরকমই ভেবেছি।

আমি খুব সাধারণ মানুষ। ‘অ্যাকসেনট্রিক’ কেউ না। আমি একজন অ্যাকসেনট্রিক মানুষের ছবি আপনাকে দেখাব। ভালো কথা, ‘অ্যাকসেনট্রিক’ শব্দটার বাংলা বলুন তো?

আমার হাতে একজন বুড়ো মানুষের সাদাকালো ছবি। মাথাভর্তি আইনস্টাইনের মতো চুল। সব চুল সাদা। বড় বড় চোখ। তিনি ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে আছেন।

মিসির আলী বললেন, ছবি দেখে লোকটাকে কেমন মনে হচ্ছে?

ভালো মানুষ মনে হচ্ছে।

ভালোমানুষ মনে হচ্ছে কেন?  চোখ বড় সেই জন্যে? সরু চোখের মানুষরা ভালো হয় না? সব জাপানি কি খারাপ?

আমি বললাম, আপনার সঙ্গে কূটতর্কে যেতে চাচ্ছি না।  কী বলবেন বলুন।

মিসির আলী বললেন, ভদ্রলোকের নাম মোহম্মদ সালাম। কৃষ ব্যাংকে কাজ করতেন।  এখন রিটায়ার করেছেন। অতি ভালোমানুষ।  দুই ছেলে এক মেয়ে এবং স্ত্রী নিয়ে সুখী সংসার। তাঁর বড় ছেলেটি ভালো রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়।

একটু আগে ‘অবসেশন’ শব্দটা নিয়ে কথ বললাম না? ঐ ভদ্রলোকের একটা ভয়াবহ অবসেশন আছে। যখন আমি অসুখে পড়েছিলাম তখন ভদ্রলোকের অবসেশনটা নিয়েই ভেবেছি। তাঁর অবসেশনের গল্পটা শুনবেন?

শোনার মতো হলে শুনতে পারি।

শোনার মতো তো বটেই, তবে ছোট্ট সমস্যা আছে।

কী সমস্যা?

ভদ্রলোকের গল্প শুনলে তাঁর অবসেশন আপনার ভেতর ঢুকে যেতে পারে। তাঁর ফল শুভ হবে না।

গল্পটা বলুন।

মিসির আলী বললেন, চা বানিয়ে আনি। চা খেতে খেতে বলি। আপনি খাটে পা উঠিয়ে আরাম করে বসুন।

আমি আরাম করে বসেছি। চা খাচ্ছি। রাত নয়টার মতো বাজে। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। মিসির আলী খাটে হেলান দিয়ে #গল্প বলছেন।

মোহাম্মদ সালাম সাহেব এরকম এক বর্ষার রাতে বাড়ির সবাইকে নিয়ে টিভিতে কী একটা নাটক দেখছিলেন। হাসির কোনো নাটক। সবাই হাসছে। তিনিও হাসছেন। নাটকের মাঝখানে হঠাৎ তিনি উঠে বারান্দায় চলে গেলেন। বেশ কিছুক্ষণ হলো তিনি ফিরছেন না। তাঁর স্ত্রী, উনার নাম মহল, স্বামীর  সন্ধানে বারান্দায় এসে দেখেন—ভদ্রলোক বেতের চেয়ারে পাথরের মূর্তির মতো বসে আছেন।

মহল বললেন, কী হয়েছে? নাটক দেখবে না?

সালাম সাহেব জবাব দিলেন না। তাঁর চোখ চকচক করছে। মহল বিস্মিত হয়ে বললেন, কাঁদছ না-কি?

সালাম সাহেব চাপা গলায় বললেন,  মহল, আমি আমার জীবনে ভয়ঙ্কর একটা অপরাধ করেছি। অপরাধের প্রায়শ্চিত্য করা দরকার। আমি কাল থেকে প্রায়শ্চিত্য শুরু করব।

মহল বললেন, কী অপরাধ করেছ?

সালাম জবাব দিলেন না। মাথা নিচু করে রাখলেন।

মহল বললেন, অফিসের টাকা পয়সা মেরে দিয়েছ?

সালাম বললেন, ছি! তুমি আমাকে চেনো না।

মহল বললেন, তাহলে কী? অফিসের কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে? তাঁকে নিয়ে হোটেল ফোটেলে গেছ? রুম ভাড়া করেছ?

সালাম বললেন, ছি ছি!

মহল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, তাহলে উঠে আস।

সালাম বললেন, না।

মহল বললেন, নাটক না দেখলে ভাত খেতে আস। ঝিম ধরে বসে থাকবে না।

সালাম সাহেব উঠে গেলেন। স্বাভাবিকভাবে ভাত খেত খেলেন। জর্দা দিয়ে পান খেলেন। দিনের শেষ সিগারেট খেয়ে ঘুমুতে গেলেন। মাঝরাতে মহলের ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন সালাম শোবার ঘরের কাঠের চেয়ারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন। মহল বললেন, এই কী হয়েছে?

সালাম বললেন, কিছু না।

চেয়ারে বসে আছ কেন?

ঘুম আসছে না।

ঘুম আসছে না কেন?

পাপটা মাথায় ঘুরছে। ভয়ঙ্কর একটা পাপ করেছি মহল।

মহল বললেন, খুন করেছ কাউকে?

সালাম বিস্মিত হয়ে বললেন, আমি খুন করব মানে?  কাকে খুন করব?

মহল বললেন, পাপটা তাহলে কী? বলো আমাকে?

সালাম মাথা নিচু করে রইলেন।  কিছু বললেন না।

মহল বললেন, ঘুমের ওষুধ দেই, খেয়ে ঘুয়াও।

সালাম বললেন, দাও।

তিনি দু’টা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েও সারারাত জেগে বসে রইলেন। তাঁর সমস্যা সে-রাত থেকেই শুরু হলো।

চাকরি শেষ হাব্র আগেই রিটায়ারমেন্টে চলে গেলেন। আলাদা ঘরে বাস করতে লাগলেন। সারাদিন একা থাকেন। কারো সঙ্গে কথা বলেন না। রাতে ঘুমান না। তাঁকে বড় বড় সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো হলো। সাইকিয়াট্রিস্টরা রোগ ধরতে পারলেন।  রোগের নাম অ্যাকিউট অবসেশন। কোনো একটা বিষয়  মাথার ভেতর গভীরভাবে গেঁথে। এই রোগ সারাতে হলে পাপটা কী তা জানতে হবে?  সালাম সাহেব এই বিষয়ে কিছুই বললেন না। তাঁর স্ত্রী নানানভাবে চেষ্টা করলেন। যেমন—

মহল   : শোন, তুমি  কি বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে কিছু করেছ? করে থাকলে বলো।  আমি কিছুই মনে করব না।

সালাম    : ছি মহল, ছি~ আমি কি এত ছোট!

মহল        : অফিসের গাড়ি নিয়ে আসার সময় গাড়ির ড্রাইভার কাউকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলে?

সালাম    : না।

মহল        : আচ্ছা শোন! তুমি কি সমকামী? এই নিয়ে কোনো সমস্যা?

সালাম    : মহল, তুমি আমাকে নিয়ে এত নোংরা চিন্তা কীভাবে করছ?

এই পর্যায়ে সালাম সাহেবের স্ত্রী আমার কাছে কেঁদে পড়লেন। তাঁর ধারণা আমি কথা বললেই সব ঠিক হয়ে যাবে।  তিনি ভদ্রলোককে নিয়ে আমার বাসায় উপস্থিত হলেন। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ। সাধারণ কথাবার্তা। আমি তাঁকে চা খেতে দিলাম। তিনি আগ্রহ নিয়ে চা খেলেন।  আমি বললাম, ভাই পাপের ডেফিনেশন কী? কোনটাকে আপনি পাপ ভাবেন?

তিনি বললেন, যেটা ইমমোরাল সেটাই  পাপ।

আমি বললাম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোরালিটি বদলায়। একটা সময় ছিল যখন বিবাহ নামের ইনস্টিটিউশন তৈরি হত না। তখন যে-কোন ছেলে যে-কোন মেয়ের সঙ্গে ঘুমুতে পারত। কেউ বিষয়টাকে ইমমোরাল ভাবত না।

এখন ভাবে।

সালাম সাহেব বললেন, আপনার কথা বুঝতে পারছি।

আমি বললাম, আপনি কি কোনো ইম্মোরাল কাজ করেছেন?

তিনি বললেন, জি-না, তবে তাঁর চেয়েও অনেক বড় পাপ করেছি।

সেটা কি আপনি বলবেন না?

জি-না।

আপনার কারণে আপনার স্ত্রী কষ্ট পাচ্ছেন। আপনারা বাচ্ছারা কষ্ট পাচ্ছে। এটাকে কি আপনার পাপ বলে মনে হয়?

সালাম সাহেব বললেন, জি পাপ। তবে আমি যে পাপ করেছি তাঁর চেয়ে অনেক ছোট পাপ।

এখন পাপের প্রায়শ্চিত্য করছেন?

জি। যেদিন প্রায়শ্চিত্য শেষ হবে সেদিনই আমি স্বাভাবিক হয়ে যাব।

আমি আল্লাহপাকের ক্ষমা চাচ্ছি।

তিনি কি ক্ষমা করবেন?

বুঝতে পারছি না। যে ভয়ঙ্কর পাপ করেছি ক্ষমা পাওয়ার কথা না।

তাঁরপরেও তিনি রহমানুর রাহিম।

সালাম সাহেব এক পর্যায়ে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেলেন।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছের নিচে পাটি পেতে বসে থাকেন।  খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ।

মিসির আলী বললেন,  গল্প শেষ।

আমি অবাক হয়ে বললাম, গল্প শেষ মানে? সালাম সাহেবের কি হলো?

উনি পাপটা কী করেছেন বলবেন না?

মিসির আলী হাই তুলতে তুলতে বললেন, সালাম সাহেবের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে পাপটা কী সেটা মনে হয় জানি! অসুস্থ অবস্থায় যখন বিছানায় পড়েছিলাম তখন চিন্তা করে বের করেছি।

আমি বললাম, বলুন শুনি।

মিসির আলী বললেন,  আমি গল্পের শুরুতেই বলেছিলাম সালাম সাহেবের গল্পটা আপনার মাথায় ঢুকে গেছে। এই গল্প মাথায় নিয়ে আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে। অসংখ্যবার আপনার মনে হবে সালাম সাহেব পাপটা কী করেছিলেন। উত্তর পাবেন না।

আমি বললাম, আপনি সত্যি বলবেন না?

মিসির আলী গম্ভীর গলায় বললেন না।

The post সালাম সাহেবের পাপ-হুমায়ূন আহমেদের গল্প appeared first on Amar Bangla Post.

আমার স্বামীর ২ মিনিটের ভিতরে বীর্যপাত হয়ে যায়। পরামর্শ দিন

$
0
0

এক বোন আমাদের কাছে একটি প্রশ্ন পাঠিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেনঃ দাদা আমাদের বিয়ে হয়েছে কয়েক মাস হলো। তো আমার স্বামী মিলনের শুরুতেই ১-২ মিনিটেই বীর্যস্খলন হয়ে যায়। তার এখন কি করা উচিত। ডাক্তার দেখাতে জেতে চাই না। বলে দিলে ভালো হয়।

আমার বাংলা পোস্ট.কম এর উত্তরঃ আমরা বলবো এটা যদি প্রতি নিয়ত চলতে থাকলে তাকে যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন। মানুষের অসুখ বিসুখ হতেই পারে। এর জন্য লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে রাখলে দাম্পত্য জীবনের প্রকৃত সুখ লাভ থেকে বঞ্চিত হবেন। দাম্পত্য জীবনে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হবে। দেখা দিবে অশান্তি। তাই লজ্জায় মুখ না লুকিয়ে সমস্যা কাটানোর জন্য উদ্বেগ নিতে হবে।

স্বামীর যৌন দুর্বলতায় পরামর্শ

আমাদের প্রথম পরামর্শ হচ্ছে ডাক্তারের সাহায্য নিন। আপনারা ইচ্ছা করলে নিজ বাসস্থান থেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। ডাক্তারের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে কথা বলুন ডাক্তার মনিরুজ্জামান এম ডি স্যারের সাথে। ফোনঃ ০১৭০৭৩৩০৬৬০

দ্বিতীয় পরামর্শ হচ্ছে তাকে যৌন শক্তিবর্ধক খাবার বেশি করে খেতে দিন। তাতে তার যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

দেখুনঃ যৌন শক্তি বাড়ানোর খাবার সমূহ

তৃতীয় পরামর্শ হচ্ছে যৌন কলা কৌশল প্রয়োগ করে যৌন মিলনের সময় বৃদ্ধি করা যায়। ইতিপূর্বে এ নিয়ে আমাদের পোস্ট আছে।

পড়ুনঃ যৌন মিলনের সময় বাড়ানোর কলা-কৌশল।

আপনাকে যৌন জীবনে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু আর্টিকেল ও বইয়ের লিঙ্কঃ

০১। বাংলা যৌন টিপ্স পড়ুন। 

এই যৌন টিপস গুলো আপনার যৌন জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করবে। তাই আপনার যৌন জীবন কে অধিক আনন্দময় হিসেবে গড়ে তুলতে এবং যৌন মিলনের সময় স্বামী স্ত্রীর আনন্দ বৃদ্ধি করতে এই টিপস গুলো পড়ুন।

০২। স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য বিষয়ক বই পড়ুন।

সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে এবং আপনাদের দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করতে দাম্পত্য বিষয়ক বই গুলো পড়ুন।

সব গুলো বই আপনি সম্পূর্ণ বিয়ামূল্যে আমার বাংলা পোস্ট.কম ব্লগ থেকে পড়তে পারবেন। এই সুযোগটি হারাবেন না।

আশা করি আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাহায্য করতে পেরেছি। আপনাদের দাম্পত্য জীবন আনন্দময় হোক।

উত্তর দিয়েছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

 

যৌন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন আছে? থাকলে আপনার প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন বিনা দ্বিধায়।

The post আমার স্বামীর ২ মিনিটের ভিতরে বীর্যপাত হয়ে যায়। পরামর্শ দিন appeared first on Amar Bangla Post.


প্রশ্নঃ পশ্চিম দিকে হয়ে সহবাস করা যাবে কি? নাকি গুনাহ হবে?

$
0
0

প্রশ্নঃ পশ্চিম দিকে হয়ে সহবাস করা যাবে কি? নাকি গুনাহ হবে?

উত্তরঃ পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কিংবা সহবাস করার সম্পর্কে একটু ভিন্নতা আছে। বিষয় টি মূলত পশ্চিম দিকে নয়। এটির সঠিকতা হবে কেবলা দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কিংবা সহবাস করা যাবে কি না। মুসলিম ধর্মালম্বীদের কেবলার দিকে পা রেখে ঘুমানো কিংবা সহবাস করা যাবে না। এটি কেবলার সাথে বেয়াদপী ও গুনাহের কাজ।

ভোগলিক ভাবে বাংলাদেশের মুসলিমদের কেবলা পরেছে পশ্চিম দিকে। তবে বাংলাদেশের সব স্থানের দিক এক নয়। কোন কোন স্থানে খানিকটা ভিন্নতা আছে। আঞ্চলিক ভাবে যেদিকে কেবলা পরে সেদিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা যাবে না। এখন বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাবে কেবলা পশ্চিম দিকেই পরেছে। তাই কেউ পশ্চিম দিকে পা মেলে শুতে পারবে না এমনকি কেবলাকে সামনে রেখে প্রস্রাব-পায়খানাও করতে পারবে না।

তাই কারোর বাসার অভ্যন্তরীয় সমস্যার কারণে যদি উত্তর-দক্ষিণ পরিবর্তে পূর্বে পশ্চিম হয়ে ঘুমাতে হয়, তাহলে এ অবস্থায় সহবাস করতে পারবে। পশ্চিম দিকে মাথা এবং পূর্বে দিকে পা রেখে ঘুমাতে পারলে স্বামী স্ত্রী এমতাবস্তায় সহবাসেও লিপ্ত হতে পারবে কোন সমস্যা নেই এবং এতে গুনাহও হবে না বা এতে আমি গুনাহের কারণ দেখি না।

তাই সহবাস করার খেয়াল করবেন আপনার কেবলা কোন দিকে পড়েছে।

স্বামী স্ত্রীর সহবাসের জ্ঞান অর্জন করুণ।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, সহবাস বিষয়ে আমাদের আরো অনেক তথ্য জ্ঞান সমৃদ্ধ ইসলাম ও বিজ্ঞান ভিত্তিক আর্টিকেল আছে এবং সেখানে সহবাসের যাবতীয় নিয়ম নীতি উল্লেখ্য আছে।

সহবাস সম্পর্কে আপনাত পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় আর্টিকেল গুলো পড়ে নিতে পারেন।

দেখুন >> সঙ্গম বা সহবাস | সহবাসের সঠিক জ্ঞান অর্জন করুণ

প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দাম্পত্য জীবন হোক আনন্দময়।

আরও পড়ুন ঃ মেডিক্যাল সেক্স গাইড। (বাংলা যৌন জ্ঞানের বই)

বিজ্ঞানের আলোকে আপনার সেক্স জ্ঞান অর্জন করুণ। বইটি লিখেছেন যৌন বিজ্ঞানী হ্যাভলক এলিস। বইটি পড়লে আপনি কুসংস্কার মুক্ত যৌন জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। এবং বইটি বিনামূল্যেই পড়তে পারবেন আমার বাংলা পোস্ট.কম এ।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আমাদের প্রশ্নের উত্তর পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে এটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে সাহায্য করুণ।

The post প্রশ্নঃ পশ্চিম দিকে হয়ে সহবাস করা যাবে কি? নাকি গুনাহ হবে? appeared first on Amar Bangla Post.

শিরক বিদআত সম্পর্কে আলোচনা- যুবায়ের আহমেদ আনছারী বাংলা ওয়াজ ২০১৭

$
0
0

হাফেজ যুবায়ের আহমেদের বাংলা ওয়াজ শিরক বিদআত সম্পর্কে আলোচনা।

আপনার মোবাইল থেকে শুনতে ডাউনলোড করুণ।

আলোচনাটি থেকে শিরক কি ও বিদআত কি ও এর কুফল সম্পর্কে জানা যাবে।

আলোচকঃ যুবায়ের আহমেদ আনছারী।

বিভাগঃ বাংলা ওয়াজ

ফরম্যাটঃ MP3

আকারঃ 15 MB

বিটরেটঃ 64

ডাউনলোড করুণ

যুবায়ের আহমেদ আনছারী হুজুরের আরও কিছু ওয়াজ মাহফিল…

০১। আল্লাহর পরীক্ষা-যুবায়ের আহমেদ আনছারী

০২। আমানত দারী-যুবায়ের আহমেদ আনছারী

০৩। আয়াতুল কুরশীর তাফসীর-যুবায়ের আহমেদ আনছারী

এই ওয়াজ মাহফীল টি আপনার বন্ধুদেরকে শুনাতে শেয়ার করুণ।

The post শিরক বিদআত সম্পর্কে আলোচনা- যুবায়ের আহমেদ আনছারী বাংলা ওয়াজ ২০১৭ appeared first on Amar Bangla Post.

ফাউ খাওয়ার গল্প (হাসির গল্প)

$
0
0

জীবনে তো অনেক #গল্প পড়েছেন। এবার ফাউখোরদের বাস্তব গল্প পড়ুন। এখানে ৩টি বিনা দাওয়াতে বিয়ে খাওয়ার লোকদের বাস্তব গল্প আছে। হাসতে চাইলে অবশ্যই পড়ুন…

গল্প ১। ফাউ খেতে মই ভাড়া।

এক ফাউখোর বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেল। কিন্তু তাঁকে ঢুকতে দেয়া হলো না। সে দোকানে গিয়ে একটি মই ভাড়া করে আনলো। মই বেয়ে ঘরের দেয়ালে উঠে মেয়েদের দিকে উঁকিঝুঁকি মারতে লাগলো।

মহিলারা দেখে ধমকে উঠলো এই কে তুই? এভাবে বেহায়ার মতো মেয়েদেরকে দেখছিস। যা এখান থেকে।

তখন সে কোরআনের এই আয়াত পড়লো

অর্থঃ তুমি ভালো করেই জানো মেয়েদের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। আমরা কি চাই সেটাও তুমি ভালো করেই জানো।

গৃহকর্তা হাসি আটকাতে পারল না। নিচে নেমে তাঁকে খেতে বলল।

গল্প ২। লেখাহীন চিঠি।

মুহাম্মদ ইবনে আলী বর্ণনা করেন, এক ফাউখোর এক বিয়ে বাড়িতে ঢুক্তে চাইলো। নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধা দিল, প্রবেশ করতে দিল না। সে কোনো ভাবে জানতে পেরেছিল, বরের বড় ভাই আসেনি। সে এক টুকরো সাদা কাগজ ভাঁজ করে খামে ভরলো। খামের উপরে লিখলো “ভাইয়ের পক্ষ থেকে বরের প্রতি”।

গেটের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে জানালো, আমার কাছে বরের ভাইয়ের চিঠি আছে, চিঠি পৌঁছাতে হবে।

তাঁকে যেতে দেওয়া হলো। ভিতরে গিয়ে লোকদেরকে চিঠি দেখালে তাঁরা খামটা হাতে উল্টে পাল্টে দেখে মন্তব্য করলো,

আজব তো! আমরা আজ পর্যন্ত এমন অদ্ভুত চিঠি দেখিনি। প্রাপকের নামটি পর্যন্ত লেখা নেই।
তাঁর চেয়েও আশ্চর্য্যের ব্যাপার কি জানেন? ভিতরের চিঠিতে কোন কিছু লেখাও নেই। সম্পূর্ণ সাদা কাগজ। প্রেরক অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন তো তাই কিছু লেখার সময় পাননি।

তাঁর কথা শুনে উপস্থিত সবাই হাসিতে ফেটে পড়লো। বুঝতে পারল সে ভিতরে আসার একটি কৌশল খাটিয়েছে। তাঁকে খানা খাইয়ে দিল।

৩। ফাউখোরের এলাকা

এক ফাউখোরের এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখল, আগে থেকেই অন্য এলাকার দুই ফাউখোর এসে বসে আছে।

মনে মনে বললো, পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি। সে দুই ফাউখোরকে বলল, বিয়ে বাড়র এই গ্যাঞ্জামে আপনারা নিশ্চয়ই কষ্ট পাচ্ছেন। আসুন আপনাদেরকে নিরিবিলি কোন স্থানে নিয়ে বসাই।

সে দোতলা উঠার মইয়ের নিকট তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে বলল, মই বেয়ে উপরে উঠে যান। খানা দেয়া হলে আপনাদের জন্য স্পেশাল খানা নিয়ে আসবো।

তাঁরা সরল মনে উপরে উঠে গেল। উপরে পৌঁছামাত্রই সে মই সরিয়ে ফেলল।

তাঁরা হতবাক হয়ে বলল, করেন কি? করেন কি? মই সরালেন কেন?

সে আর তাঁদের দিকে ফিরেও তাকালো না।

খাবার দেয়া হলো। মেহমানরা তৃপ্তি সহকারে খানা খেতে লাগলো।

উপরের দুইজন করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারলোনা। তাঁদের ভাগ্যে একটি হাড্ডিও জুটলো না।

খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ হলে সে মই লাগিয়ে ধমক লাগালো, জলদি নেমে এসো।

তাঁরা নেমে আসলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাটি থেকে বের করে দিল।

রাগত স্বরে বললো, বেরিয়ে যাও। আমার এলাকা দখল করতে এসেছো। আর কোনদিন এই এলাকায় দেখলে ট্যাং ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দেব।

গল্পের সুত্রঃ প্রতিভার গল্প ২ বই থেকে।

আরও গল্প >> জামাই বউয়ের রম্য গল্প

গল্প টি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুণ।

The post ফাউ খাওয়ার গল্প (হাসির গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন রোগ সংক্রমণ

$
0
0

যৌনতা মানুষের আদি সহজাত প্রবৃত্তিগুলোর অন্যতম। বিকৃত যৌনতায় মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা, যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বার ব্যবহৃত হচ্ছে। বিকৃত যৌনতার কারনে মুখে আলসার থেকে শুরু করে শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগের বিস্তার লাভ করেছে। মুইখের আলসারের চিকিৎসায় ওরোজেনিটাল সেক্স সত্যিই বড় এক চ্যালেঞ্জ। ওরাল সেক্সের ক্ষেত্রে অসাবধানতা এবং অজ্ঞতার জন্য মুখের জটিল রোগ থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিকৃত যৌনতায় কেউ যদি অভ্যস্ত থাকে তা হলে চিকিৎসককে বিষয়টি না জানালে আপনার মুখের আলসারের যথার্থ চিকিৎসা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

ওরাল সেক্সের ক্ষতি

সব চেয়ে ভালো হয় বিকৃত যৌনচার পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন সংক্রমিত রোগ বিস্তার লাভ করে। সব চেয়ে বেশি বিওস্তার লাভ করে হারপিস   সিমপ্লেক্স ভাইরাস। এ ভাইরাস টাইপ-১ সাধারণত ঠোঁটকে আক্রান্ত করে, যা কোল্ডসোর নামে পরিচিত। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের মাধ্যমে ফ্যারিনজাইটিস, গলাব্যথা সহ আলসার হতে পারে।

আপনার ঠোঁটে যদি কোল্ডসোর থাকে তা হলে আপনার সঙ্গীকে ঠোঁটে চুমু দেয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ওরাল সেক্সের কথা তো এক্ষেত্রে চিন্তাই করা যাবে না। ওরাল সেক্স অংশগ্রহণকারী একজন যদি অন্যজনের সংক্রমণজনিত খোলা আলসারের সংস্পর্শে আসে তা হলে সিফিলিসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে সিফিলিসজজিত জিহ্বার আলসার দেখা দিতে পারে। ওরাল সেক্স অংশগ্রহণকারী দু’জনের একজনের যদি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থাকে তা হলে অন্যজনের জন্য তা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ভাইরাস জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোটার সৃষ্টি করে থাকে। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে একজন যদি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় থাকে তা হলে অন্যজনের দেহ সংক্রমিত হতে পারে এবং মুখের পাশে বা ভেতরে ওয়ারটস বা গোটা অর্থাৎ মুখের ভেতরে ভাইরাসের গোটা দেখা দিতে পারে।  সে ক্ষেত্রে ওরাল সেক্সের অভ্যাসের কথা ডাক্তারকে রোগী অবগত না করলে বা লুকিয়ে গেলে  চিকিৎসা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ওরাল সেক্স চলতে থাকে তা হলে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

ওরো অ্যানাল সেক্স অর্থাৎ মুখ ও পায়ু পথের যৌনতায় সালমোনিলা, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। এর মাধ্যমে মুখে আলসার ছাড়া পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে। হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে জন্ডিস ও পেটে ব্যথা হতে পারে। ভাগ্য খারাপ হলে ওরো অন্যাল সেক্সের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস বিস্তার লাভ করে। ওরাল সেক্স করার সময় যদি রক্ত বের হয় আর সঙ্গীর যদি হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস থাকে তা হলে তা সংক্রমিত হতে পারে। এইডস রোগের ক্ষেত্রেও রক্ত সঞ্চালিত না হলে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে বিস্তার লাভের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ‘বি’ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিভিন্ন প্যারাসাইট ওরো অন্যাল সেক্সের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। তাই মুখের আলসার প্রতিরোধে ওরাল সেক্স পরিহার করা উচিৎ।

আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর যৌনরোগ গণোরিয়া-সিফিলিস_এইডস কি জানুন

শুধু ওরাল সেক্সের মাধ্যমে মানবদেহে যৌন রোগের বিস্তার ঘটে না, যৌন রোগ সংক্রমণের জন্য রয়েছে অন্য মাধ্যম ও কারণ। স্বাস্থ্য সচেতনতায় যৌনরোগ সংক্রমণ এবং যৌনরোগ সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে জানুন।

আরও পড়ুনঃ ওরাল সেক্সে ইসলাম কি বলে? 

সহবাসের সময় যৌনাবেগ বশ-বতী হয়ে স্বামী স্ত্রীর যোনি লেহন এবং স্ত্রী মুখমেহন করে ফেলে। স্বামী স্ত্রীর একে অপরের যৌনাঙ্গ লেহন সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন প্রশ্ন পেয়ে থাকি। পাঠক-পাঠিকাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর পড়ে আপনিও উপকৃত হোন। যৌনাঙ্গ লেহন সম্পর্কে কমনসেন্স উত্তর জানতে…

পড়ুন >> যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

স্বাস্থ্য সচেতনতায় আপনিও ভূমিকা রাখুন। এটি ফেসবুক, টুইটার সহ আপনার ব্যবহৃত সামাজিক মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করুণ।

The post ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন রোগ সংক্রমণ appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ ওরাল সেক্স করা কি ইসলামে জায়েয?

$
0
0

প্রশ্নঃ ওরাল সেক্স করা কি ইসলামে জায়েয?

সহবাসের সময় স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীকে এবং স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ওরাল সেক্সের (মুখমেহন বা যোনিলেহন) যৌনতা উপভোগ করে, তাহলে তা কি না জায়েয হবে?

উত্তরঃ ওরাল সেক্স নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছি। ওরাল সেক্স করার সাম্ভাব্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আমার বাংলা পোস্ট.কম এ প্রকাশ করা হয়েছে। তবুও পাঠকদের মধ্যে থেকে প্রতিদিনই আমরা বেশ প্রশ্ন পাচ্ছি। তাই ওরাল সেক্স বিষয়ে আমরা আরো একটি আর্টিকেল লিখার প্রয়োজন বোধ করছি। ওরাল সেক্স নিয়ে আগের সব পোস্ট গুলো দেখুন এখানে।

প্রথমত্বঃ #ওরাল সেক্স বিষয়ে ইসলামিক যৌন গ্রন্থ গুলোতে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর সম্ভবত আলেম ওলামারা এবিষয়ে অবগত নয়। হয়তো তাঁরা অবগত হতে পারে কিন্তু আমি জানিনা। ইসলামিক যৌন গ্রন্থগুলি পড়লে দেখা যায় যৌন সুখ লাভের জন্য ইসলাম স্বামী স্ত্রীর যৌন অঙ্গকেই গুরুত্বারোপ করে। কৃত্রিম ভাবে যৌন সুখ লাভের অনুমতি দেয় না। যেমন ইসলামে স্ত্রীর মাসিক চলাকালে, নেফাস চলাকালে এবং তাঁর পায়ুপথে সহবাস করা হারাম করে দিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) সাহাবীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সহবাসের সময় যেন স্ত্রীকে আলিঙ্গণের মাধ্যমে স্ত্রীকে উত্তেজিত করে সহবাস শুরু করার। এবং নিজের বীর্যপাত ঘটে গেলে সাথে সাথে স্ত্রীর উপর থেকে নেমে না যাওয়ার। যাতে স্ত্রী সহবাসের পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করতে পারে।

যদি আল্লাহর রাসূল এরকমটি নির্দেশ দিতেন যে “স্ত্রীর মাসিক চলাকালে সে যেন তাঁর স্বামীকে মুখের মাধ্যমে আনন্দ দেয়” তাহলে বুঝা যেতে মুখ সঙ্গম ইসলামে জায়েজ। যেহেতু আল্লাহর রাসূল স্বামীর যৌন চাহিদা গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে নারীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বামী স্ত্রীকে বিছানার দিকে আহ্বান করলে সে যেন কোন অজুহাত পেশ না করে তাঁর কাছে ছুটে যায় এবং তাঁর প্রয়োজন পূরণ করে যদিও সে রান্না ঘরে থাকে।

তাহলে আমরা এখান থেকে জানতে পারছি ইসলাম কৃত্রিম যৌন আচরণকে সমর্থন করে না। এবং ইসলাম নারীর যোনিপথ ও পুরুষের পুরুষাঙ্গের মাধ্যমেই নারী পুরুষের যৌন সুখ লাভের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নারীর পায়ুপথকে যৌন সুখের লাভের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায় বলে ইসলাম একে হারাম করে দিয়েছেন। এথেকে বুঝা যায় মুখের মাধ্যমে যোনি লেহন বা স্বামীর লিঙ্গ চোষণ প্রকৃত যৌন সুখের মাধ্যম নয়। হয়তো তাই এব্যাপারে ইসলামের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এটি যে বিকৃত আচরণ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর এই বিকৃত যৌন আচরণ পর্ণগ্রাফীর মাধ্যমে সমাজে প্রসার লাভ করছে। এই বিকৃত যৌনাচারের মাধ্যমে দেহে যৌন রোগের সংক্রমণ ঘটে পারে।

পড়ুন ঃ ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন রোগ সংক্রমণ

তবে আমি শুনেছি যে বাংলাদেশের আলেম ওলামারা একে মাহরূহ বলেছেন। সূত্র সঠিক বলে আমি মনে করিনা। যদিও এটি মাকরূহ হয় তাহলেও কোন মুসলিম নারী পুরুষ এটি করতে পারে না। কেননা মাকরূহ হচ্ছে আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ যা কেউ করলে আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। আপনি যদি মানুষের চাওয়া-পাওয়া, পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব দিতে পারেন তাহলে কেনো আল্লাহর পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব দিবেন না? বস্তুত আল্লাহই তো সবচেয়ে বেশি হকদার। প্রকৃত মুসলিম তো সে ব্যক্তি যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার সাথে মিলিয়ে নেয়। তাই একজন মুসলিম হিসেবে পশ্চিমা বিকৃত যৌন সংস্কৃতি পরিহার করুণ। যৌনাবেগকে নিয়ন্ত্রণ করুণ।  আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝা দান করুক। আমরা যেন পবিত্র জবানে তাঁর তাসবীহ ও তাহলীল পাঠ করতে পারি সে তাওফিক আমাদেরকে দান করুণ। আমীন।

উত্তর লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক)

The post প্রশ্নঃ ওরাল সেক্স করা কি ইসলামে জায়েয? appeared first on Amar Bangla Post.

Viewing all 2081 articles
Browse latest View live